ভারতেও অক্সফোর্ডের টিকা অনুমোদন
ফাইজারকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
অনলাইন ডেস্ক : অক্সফোর্ডের বহুল প্রত্যাশিত কভিড টিকা অবশেষে ভারতেও অনুমোদন পেল। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের পক্ষ থেকে শুক্রবার এই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানায় এনডিটিভি।
ফলে টিকাটি ভারতে প্রয়োগের পথ সুগম হলো। ভারতে এই প্রথম কভিডের কোনো টিকা অনুমোদন করা হলো। আশা করা হচ্ছে কিছুদিনের মধ্যেই বাংলাদেশেও টিকাটির প্রয়োগ শুরু হবে। এদিকে ফাইজারের টিকাকে ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কভিশিল্ড টিকাটিকে ভারতে তৈরি করবে সিরাম ইনস্টিটিউট। সেখান থেকে তিন কোটি ডোজ কিনছে বাংলাদেশ সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, জানুয়ারির মাঝামাঝি অক্সফোর্ডের টিকা বাংলাদেশে আসতে পারে।
গত সপ্তাহেই অক্সফোর্ডের টিকা প্রয়োগের অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য সরকার। সোমবার থেকে সেখানে এ টিকা প্রয়োগ শুরু হবে। ভারতে কবে থেকে এ টিকা প্রয়োগ করা হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে দেশটিতে টিকা দেওয়ার মহড়া চলছে। শনিবার ভারতজুড়েই এ মহড়া চলবে। সিরাম ইনস্টিটিউট ইতোমধ্যেই ৫ কোটি ডোজের বেশি কভিশিল্ড তৈরি করেছে। এগুলো ভারতে বিতরণ করা হবে।
অক্সফোর্ডের টিকাটিই বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বড় ভরসা। এটির দাম যেমন কম, তেমনি পরিবহন ও সংরক্ষণও অনেক সহজ। রেফ্রিজারেটরে তাপমাত্রায় এটি সংরক্ষণ করা যায়। অন্যদিকে ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার টিকার দাম বেশি এবং এটি পরিবহন ও সংরক্ষণও কঠিন। তবে অক্সফোর্ডের টিকা ৭০ শতাংশ কার্যকর। বিপরীতে ফাইজার ও মডার্নার টিকা ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর।
ফাইজারের টিকা ব্যবহারের ছাড়পত্র দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা : ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বৃহস্পতিবার ডব্লিউএইচও টিকাটির অনুমোদন দেয় বলে জানায় এএফপি। ডব্লিউএইচওর এই সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্বব্যাপী টিকাটির আমদানি ও বণ্টনের বিষয়টি দ্রুত অনুমোদনের পথ প্রশস্ত হলো।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য গত ২ ডিসেম্বর ফাইজারের করোনার টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। ৮ ডিসেম্বর দেশটিতে এই টিকার প্রয়োগ শুরু হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, বাহরাইন, সৌদি আরব, ইউরোপীয় দেশগুলোসহ বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশ ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার অনুমোদন ও প্রয়োগ শুরু করে।
এক বছর আগে চীনে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকাটিই প্রথম ডব্লিউএইচওর কাছ থেকে জরুরি বৈধতা পেল। ডব্লিউএইচওর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা মারিয়াঞ্জেলা সিমাও বলেন, করোনার টিকার বৈশ্বিক প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এটি খুবই ইতিবাচক একটি পদক্ষেপ।
টিকা ব্যবহারের নিরাপত্তা, সাবধানতা প্রসঙ্গে সংস্থাটির নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘প্রতিটি টিকার নিরাপত্তা, কর্মক্ষমতা, ঝুঁকির বিষয়গুলো বিস্তারিত পর্যালোচনা করতে হবে। সেগুলো আশাপ্রদ থাকলে তবেই ছাড়পত্র দিতে হবে টিকাকে।’ যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও জার্মানির প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের উদ্ভাবিত করোনার টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর।