মহিপুর থানার ওসি বিরুদ্ধে হয়রানীর অভিযোগ
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া : পটুয়াখালীর মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যানের পক্ষে এবং থানার ওসির বিরুদ্ধে সোমবার সকাল ১১টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে ওসিকে দায়ি করে ওই ইউনিয়ন পরিষদের ১০জন সদস্য এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য মোঃ জাফর উদ্দিন কুতুব লিখিত বক্তব্যে বলেন, মহিপুর থানার ওসির দূর্নীতি ও চাঁদাবাজী এখন সাধারন মানুষের কাছে দৃশ্যমান। নিজের দূর্নীতি ও অপকর্ম আড়াল করতে অপ-কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। ওসি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না করে থানাকে বিচার শালিসির কেন্দ্র বিন্দু হিসেবে প্রতিষ্ঠা করছেন বলে দাবী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের। গত ২৫ জুলাই বরিশাল থেকে প্রকাশিত আঞ্চলিক পত্রিকাসহ কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে “নেপথ্যে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা “সিন্ডিকেটের ফাঁদে পুলিশ” মহিপুর থানার ওসির চেষ্টায় আইনের সেবা নিতে আগ্রহী সাধারন মানুষ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে মহিপুর থানাধীন লতাচাপলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আনসার উদ্দিন মোল্লাকে জড়িয়ে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবী করেন ইউপি সদস্যরা। ইউপি সদস্য মোঃ জাফর উদ্দিন কুতুব বলেন, লতাচাপলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনছার উদ্দিন মোল্লাকে জড়িয়ে মহিপুর থানার ওসির ইন্দনে যেসব কথা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহলের ইশারায় ওসি সংবাদ কর্মীদের ভুল তথ্য দিয়ে উক্ত সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। চেয়ারম্যান মোঃ আনছার উদ্দিন মোল্লা করোনা আক্রান্ত, প্রকাশিত সংবাদে চেয়ারম্যানের কোন বক্তব্য নেওয়া হয়নি। চাঁদাবাজী, মাসোয়ারা আদায়, ভূমি দস্যুতা, টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া, মাদক সিন্ডিকেট পরিচালনা এবং সালিশ বাণিজ্যের কথা বলা হলেও যার পুরোটাই মিথ্যা। বরং চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে গ্রাম আদালতের নিয়ম অনুযায়ী সালিশ বোর্ডের মাধ্যমে সালিশ মীমাংশা করে থাকেন। ইউপি সদস্য আলম ফকির বলেন, কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব জহিরুল ইসলাম খান উদ্দেশ্যমূলক চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে প্রকাশিত ওই সংবাদে মানহানীকর বক্তব্য দিয়েছেন। তার জমি নিয়ে মূলত রাখাইনদের সাথে আদালতে মামলা চলমান, যা আদালতের নিস্পত্তির বিষয়। সেখানে চেয়ারম্যানের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এছাড়া চেয়ারম্যানকে নিয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামানের ভাষ্যে সালিশ বাণিজ্যের কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে ওসি মনিরুজ্জামান থানা ভবনের নিচতলায় প্রতিদিন সালিশ বাণিজ্য নিয়ে বসেন। ওসির অন্যায় অপকর্ম আড়াল করতে সুকৌশলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে আলম ফকির দাবি করেছেন।
কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ্ব কুদ্দুস মাহমুদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আলম হাওলাদার,মোঃ জাফর উদ্দিন কুতুব, মোঃ আলম ফকির, শাহানাজ বেগম,মোঃ আবুল হোসেন কাজী,মোঃ ইউসুফ হাওলাদার,মোঃ হারুন অর রশিদ ভদ্র,ইব্রাহিম ব্যাপারী,দুলাল হাওলাদার,মজিবর মুসুল্লী,কুয়াকাটা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান এবং কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা দাবী করেন,ওসি মনিরুজ্জামান গ্রাম আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে জমিজমা থেকে শুরু করে সকল ধরনের বিরোধীপুর্ণ বিষয়ে শালিস বৈঠকের নামে সাধারন মানুষকে জিম্বি করে নিজের স্বার্থ হাসিল করছেন। তার এখতিয়ার বহিভূত এবং অনৈতিক বিষয়ে নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে নানা ভাবে হয়রানী করে আসছে বলে তাদের দাবী। ###