প্রধান সড়কগুলো ছিলো আইন-শৃংখলা বাহিনীর দখলে
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
অনিকেত মাসুদ : করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার বরিশাল নগরীর প্রধান সড়কগুলো ছিলো আইন-শৃংখলা বাহিনীর দখলে। ছুটির দিন হওয়ায় নগরীতে জনসাধারণের উপস্থিতি ছিলো কম। শহরে রিক্সা ও জরুরী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের গাড়ি বাদে কোন যান চলাচল করেনি। দোকানপাটও ছিলো পুরোপুরি বন্ধ।
নগরীতে জনসমাগম রোধে বরিশাল জেলা প্রশাসনের একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের দল কাজ করছে। প্রধান সড়কগুলোর মোড়ে মোড়ে পুলিশ-র্যাবের বিশেষ চেকপোস্ট রয়েছে। শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছেন জরুরী কাজে বের হওয়া ব্যক্তিরা।
শহরতলীর এলাকাগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে অহেতুক ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। তবে বরিশাল নগরীর কোথাও গণপরিবহণ চলাচল করতে দেখা যায়নি। এতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে জরুরী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের।
কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে বরিশাল নগরীর বাণিজ্যিক এলাকাসহ প্রধান সড়কগুলোতে জনসমাগম রোধে আইন শৃংখলা বাহিনীর কার্যক্রম ছিলো চোখে পড়ার মত। এতে করে নগরীর মধ্যে চলাচলরত শতভাগ মানুষকে পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখা গেছে।
নগরজুড়ে রিক্সা চলাচল করলেও গণপরিবহণ মুক্ত ছিলো। জনসাধারণকে সচেতন করতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচারপ্রচারণা চালানো হয়েছে।
এছাড়া মেট্রোপলিটন পুলিশের ২০টি দল নগরীতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি মাঠে রয়েছে জেলা প্রশাসনের ২০টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের দল। অভিযানে খুব জরুরী কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হলেই দিতে হচ্ছে অর্থদ-।
সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় চাকুরীজীবীদের চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে। সড়ক যানশূন্য থাকায় গুণতে হয়েছে অতিরিক্ত ভাড়া। আইন শৃংখলা বাহিনীর তৎপরতার কারনে নগরীর বাণিজ্যিক এলাকা সদর রোড, গীর্জা মহল্লা, চকবাজার, কাটপট্টিসহ অধিকাংশ এলাকার দোকানপাট ছিলো বন্ধ।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম বাড়ৈ জানান, খুব জরুরী কাজ ছাড়া বাইরে আসলেই তাদের আমরা জরিমানা করছি। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে বরিশালে কঠোর অভিযান চালাচ্ছে ২০টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের দল।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান বলেন, কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে পুলিশের ২০টি দল কাজ করে যাচ্ছে। নগরবাসীকে ঘরে রাখতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।