নদী ভাঙ্গনে বিলুপ্তির পথে ফসলী জমি ও বসত বাড়ি
নদী ভাঙ্গনে বিলুপ্তির পথে ফসলী জমি ও বসত বাড়ি
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
দীন মোহাম্মদ দীনু, বাকেরগঞ্জ : তুলাতলা নদীর ভাঙ্গনে হুমকীর মুখে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ১০ কিলোমিটার রাস্তা ও কয়েক হাজার একর ফসলী জমি ও বসত বাড়ি।
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার তুলাতলা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনের মূখে পৌরসভার সাহেবগঞ্জ খেয়া ঘাট থেকে মশিউর রহমানের ফিহা ব্রিক্স হয়ে ২ নং, ৩ নং ও ৫ নং ওয়ার্ড মিলিয়ে ১০ কিলোমিটার রাস্ত নদী ভাঙ্গনের ফলে হুমকীর মুখে বাকেরগঞ্জ পৌরসভা। আর বিলুপ্তির পথে কয়েক হাজার একর ফসলী জমি ও বসত বাড়ি।
জানা যায়, বৃষ্টি ও জোয়ারের প্রবল পানির চাপে নদী ভাঙ্গন দিন দিন প্রকট আকার ধারন করছে। এবিষয় ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোকলেচুর রহমান জানান, নদী ভাঙ্গনে পৌরসভার কয়েক হাজার একর জমির নদী গর্ভে চলে গেছে। আর বিলুপ্ত হয়েছে কয়েক শত বসবাড়ি। বার বার নদী ভাঙ্গন রোধের জন্য আবেদন কোন ফল পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগী আব্দুল খালেক হাওলাদার জানান, এ যাবৎ আমি ১০ বার নতুন ঘর উঠিয়েছি। পূর্বের ঘর নদী মাঝে চলে গেছে। আর কত? সরকার কি আমাদের নদী ভাঙ্গন রোধে কোন বরাদ্ধ দেয় না।
এবিষয় পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া জানান, নদী ভাঙ্গন রোধে প্রকল্প তৈরির জন্য পানিউন্নয়ন বোর্ডে আবেদন করেছি। তারা জানিয়েছেন সরকারী বরাদ্ধ আসলে আমাদের এখানে কাজ হবে। এলাকাবাসী জানান, আর এভাবে চলতে থাকলে নদী ভাঙ্গনে ফলে ফসলী জমিসহ অনেক ঘরবাড়ি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
এবিষয় বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধবী রায় জানান, আমরা নদী ভাঙ্গন রোধে একটি প্রকল্প পাঠিয়েছি। বরাদ্ধ আসলে ভাঙ্গন রোধে কাজ শুরু হবে।
এবিষয়ে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ শফিউদ্দিন বলেন, ইতোমধ্যে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে বিষয়টি সংশিøষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধান করা হবে। ###