image-sizes
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/barishaldorpon/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114উত্তরপ্রদেশের মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যসূচি থেকে রবীন্দ্রনাথ-রাধাকৃষ্ণণদের লেখা বাদ দিল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। সেই তালিকায় নাম রয়েছে যোগগুরু রামদেব ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের!
কিছু দিন আগেই উত্তরপ্রদেশ সরকারের সুপারিশ মেনে চৌধুরি চরণ সিংহ বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগের পাঠ্যক্রমে রামদেবের বই ‘যোগ চিকিৎসা রহস্য’ এবং যোগী আদিত্যনাথের ‘হঠযোগ স্বরূপ এবং সাধনা’ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আর অপরদিকে, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যসূচি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে রবীন্দ্রনাথের ‘ছুটি’ গল্পের ইংরেজি অনুবাদ ‘দ্য হোম কামিং’ এবং দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের প্রবন্ধ ‘দ্য উইমেনস এডুকেশন’।
এই নতুন শিক্ষাবর্ষে আর কে নারায়নণের গল্প ‘অ্যান অ্যাস্ট্রোলজারস ডে’ এবং মুলক রাজ আনন্দের ‘দ্য লস্ট চাইল্ড’ও দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জন মিল্টন এবং পি বি শেলির মতো নামী কবিদের কবিতাও আর পড়ানো হবে না দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের।
এছাড়াও স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সমাজ সংস্কারক সরোজিনী নাইডুর কবিতা ‘দ্য ভিলেজ সং’, যা দশম শ্রেণিতে পড়ানো হত। একইভাবে চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারি, ডব্লিউ এম রায়বার্ন এবং আর শ্রীনিবাসনের লেখাও এবার যোগী রাজ্যে বাতিলের তালিকায়।
কেন সরকার এই লেখাগুলি বাদ দিল, তা নিয়ে সরকারের তরফে কোনো কথা বলা হয়নি। এ নিয়ে বিরোধীরা সরব হয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, লিবারাল লেখা বাদ দিয়ে হিন্দুত্ববাদী রচনা ঢোকানো হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের সিলেবাসে। এটাই সত্যিকারের মগজধোলাই। শিক্ষার্থীরা ছোটবেলা থেকেই তৈরি হবে হিন্দুত্ববাদী চেতনা নিয়ে।
প্রসঙ্গত, বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকারের কাছ থেকে বাতিলের অনুমোদন পাওয়ার পরই যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট। কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন সিলেবাস অনলাইনে আপলোড করা হবে বলে জানিয়েছেন পর্ষদের এক কর্মকর্তা।
]]>আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহার প্রদেশের পুলিশের মুখপাত্র জামাল নাসির বারাকজাই এএফপি’কে বলেন, বেসামরিক লোকজনের বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণকারী তালেবানের বিরুদ্ধে আফগান বাহিনী লড়াই করছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আফগান বাহিনী সীমান্ত শহরের প্রধান বাজারে অবস্থান করছিল। স্পিন বোলডাকের বাসিন্দা মোহাম্মদ জহির বলেন, ‘সেখানে তীব্র লড়াই চলছে।
এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে তালেবান জঙ্গিরা এ সীমান্ত ক্রসিং দখল করে নেয়। মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তান থেকে তাদের সৈন্যদের চূড়ান্তভাবে প্রত্যাহার শুরু করার প্রেক্ষিতে মে মাসের গোড়ার দিকে জঙ্গিরা হামলা জোরদার করার পর এ সীমান্তের দখল নেয়।
এ সীমান্ত দিয়ে সরাসরি পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে প্রবেশের সুযোগ থাকায় এটি তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তালেবান শীর্ষ নেতৃত্ব গত কয়েক দশক ধরে এখানে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে।
]]>এর আগে, তালেবান হামলা চালিয়ে এসব এলাকা থেকে আফগান সরকারি সেনাদের বহিষ্কার করেছিল। কিন্তু কয়েকদিনের সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের এ দুটি এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।
কুন্দুজ প্রদেশের পুলিশ প্রধান ফরিদ মাশাল বলেন, মুখোমুখি সংঘর্ষ ও বিমান হামলায় ৫০ জনের বেশি তালেবান গেরিলা নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন তালেবান কমান্ডার রয়েছেন বলে তিনি জানান। পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, তালেবানের সংঘর্ষে গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৪০ জন আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, হাতছাড়া হওয়া এলাকা দুটি পুনরুদ্ধারের জন্য তালেবান হামলা জোরদার করেছে। এ প্রেক্ষাপটে আফগান সামরিক বাহিনী অন্য দুটি এলাকা থেকে তাদের সদস্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
আফগানিস্তানের তোলো নিউজ জানিয়েছে, গত দুই মাসে তালেবানের কাছে আফগানিস্তানের অন্তত ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ এলাকার পতন হয়েছে।
এ সম্পর্কে আফগানিস্তানের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য সাদিক কাদেরি বলেছেন, কোনো কোনো এলাকা একদম প্রতিরোধ ছাড়াই তালেবানের কাছে ছেড়ে দেওয়া হয়। আফগানিস্তানের এসব অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম তালেবান ব্যবহার করছে। কেন বিনা লড়াইয়ে হঠাৎ করে এই সমস্ত এলাকা তালেবানের কাছে ছেড়ে দেওয়া হলো তা অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে।
]]>আগামী ৩ ঘন্টা ধরে ওড়িশার ধামরা ও বালেশ্বরের উপকূল অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড়টি। এসময় বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ১৪০ কিলোমিটার থেকে সর্বোচ্চ ১৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
এরই মধ্যে ওড়িশার নিচু অঞ্চল থেকে প্রায় ৬ লাখ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকা থেকে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
]]>সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের শরীরে এ ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ বা কালো ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটছে। মূলত ভারতের গুজরাট, দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়াও ব্যাঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, পুনেসহ আরও কয়েকটি শহরে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। মুম্বাইও একাধিক হাসপাতালে খোঁজ মিলেছে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ রোগাক্রান্তের।
এখন পর্যন্ত আহমদাবাদের একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ রোগে সংক্রমিত ৬৭ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। শেষ ২০ দিনের মধ্যে এই সংক্রমণ ঘটেছে। এদের মধ্যে ৪৫ জনের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ‘দৈনিক ছয়-সাতটি অস্ত্রোপচার করতে হচ্ছে তাদের।’
আনন্দবাজার বলছে, মহারাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আটজনের। আক্রান্ত ২০০ জনের চিকিৎসা চলছে বলে দাবি করেছে একটি সংবাদ সংস্থা। দিল্লির একটি প্রথম সারির হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ‘করোনার সঙ্গে এই সংক্রমণ জুড়ে যাওয়ায় নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসকদের।’
দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের চিকিৎসক মনিশ মুনজাল বলেছেন, ‘আমাদের হাসপাতালে গত দুদিনে ছয়জন মিউকোরমাইকোসিস নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের দ্রুত ওজন কমছে, দৃষ্টিশক্তি চলে যাচ্ছে, নাক ও থুতনির হাড়ের ক্ষতি হচ্ছে।’
একই হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ অজয় স্বরূপের মতে, ‘ডায়াবিটিসে আক্রান্ত যে করোনা রোগীদের স্টেরয়েড দেওয়া হচ্ছে, তাদের শরীরে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে।’
এছাড়াও এমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, ‘করোনার কারণে মানব শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসছে। সে কারণেই নানা রকম ফাঙ্গাল ও ব্যাক্টেরিয়াল সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। তার মধ্যে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের শরীরে এই সংক্রমণ ঘটনার আশঙ্কা আরও বেশি। এর ওপর টানা স্টেরয়েড শরীরে প্রবেশ করার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সে কারণেই এ ধরনের ফাঙ্গাল সংক্রমণ তৈরি হচ্ছে।’
ব্যাঙ্গালুরুর চক্ষু সার্জন ডা. রঘুরাজ হেগড়ে জানিয়েছেন, গত দুই সপ্তাহে তিনি ১৯ জন রোগী পেয়েছেন। রোগীদের বেশির ভাগই বয়সে তরুণ বলে তিনি জানান। ‘কয়েকজন এত অসুস্থ যে, আমরা তাদের অস্ত্রোপচার করতে পারছি না’, বলেন ডা. হেগড়ে।
ভারতে গত বছর করোনার প্রথম সংক্রমণের সময় ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ সংক্রমণের অল্প কিছু ঘটনার খবর মিললেও এবার ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে এই ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ সংক্রমণের তীব্রতা ও ব্যাপকতা দেখে বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা।
]]>অক্সিজেন-চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে দেশটি। এমনকি মৃত্যুর পর লাশের সৎকার নিয়েও চরম বিপাকে পড়েছে ভারত।
দিল্লিতে করোনায় দৈনিক মৃতের সংখ্যা ৭০০-তে পৌঁছে গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, শিগগিরই এ সংখ্যা হাজার ছাড়াবে।
শহরের বিভিন্ন শ্মশানের বাইরে রাস্তায় টোকেন নিয়ে মরদেহের দীর্ঘ লাইন। ২০ ঘণ্টা কেটে যাচ্ছে আগুন পেতে। মরদেহ ছিঁড়ে খাচ্ছে কুকুর।
শ্মশানের দরজায় দরজায় ঘুরে জায়গা না পেয়ে স্রেফ বরফ চাপা দিয়ে ৪৮ ঘণ্টাও বাড়িতে মরদেহ রেখে দিচ্ছেন স্বজনেরা। কুকুরের দেহ পোঁতার জায়গা ব্যবহার করা হচ্ছে মানুষকে দাহ করার জন্য।
এরই মধ্যে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে বসে গেল আইপিএলের আসর। দর্শকশূন্য মাঠ হলে হবে কী! নিরাপত্তার ব্যবস্থা তো করা চাই! অতএব স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে অ্যাম্বুল্যান্স, করোনা পরীক্ষার যাবতীয় সরঞ্জাম।
দিল্লির সুভাষনগর শ্মশানে টিনের চালের নিচে সারি সারি চিতা জ্বলছে। উড়ছে ছাই। এমনিতে নতুন নয় এই দৃশ্য। উড়ছে ছাই। এমনিতে নতুন নয় এ দৃশ্য। কিন্তু সেই ছাই উড়ে পড়ছে পাশের যে চাতালে? সেই চাতাল ধরেই এখন মরদেহের সর্পিল রেখা। এক ঝলক তাকালেই মাচার সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা অন্তত ১৫-২০টি দেহ চোখে পড়ছে।
প্লাস্টিকের থলিতে মরদেহ মোড়া রয়েছে। তার ওপর নাম, নম্বর লেখা। হাতছাড়া হওয়ার ভয় নেই। তাই একটানা বসে না থেকে পোড়া দেহের গন্ধ এবং ধোঁয়া থেকে বেরিয়ে মাঝেমধ্যে বাইরে ঘুরে আসছেন অনেকে। সূত্র: দ্য হিন্দু, আনন্দবাজার
]]>দৈনিক সংক্রমণ শনাক্তের তালিকায় বর্তমানে বিশ্বের চতুর্থ দেশ তুরস্ক। গত সপ্তাহ থেকেই দিনে ৪০ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে মিলছে করোনাভাইরাস।
গড় মৃত্যু ৩৫০ এর ওপর। সেই কারণে গোটা দেশে প্রথমবারের মতো লকডাউন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
এর আওতায় কঠোরভাবে মানতে হবে ‘স্টে অ্যাট হোম’ বিধিমালা। বন্ধ থাকবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান; অনলাইনে চলবে পাঠদান। গণপরিবহনেও অর্ধেক যাত্রী বহন করতে হবে। অন্যান্য শহরভ্রমণে দেখাতে হবে যৌক্তিক কারণ।
জরুরি চিকিৎসা সেবা, খাবার, পানি ও জ্বালানি সরবরাহের পাশাপাশি কয়েকটি ব্যবসায়কে দেওয়া হয়েছে বিশেষ ছাড়।
]]>টুইটে তিনি লিখেছেন, সামান্য উপসর্গ অনুভব করায় শারীরিক পরীক্ষায় আমার কোভিড পজিটিভ ধরা পড়েছে। সম্প্রতি যারা আমার সংস্পর্শে এসেছেন, তাদের সব রকম সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে অনুরোধ করবো। সবাই সাবধানে থাকুন।
গত ১৪ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। ওই সভার পরেই দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আবহে পরবর্তী সব নির্বাচনী প্রচারণা সভা বাতিল করেন কংগ্রেস সাংসদ।
মাত্র একদিন আগেই ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের করোনায় আক্রান্তের খবর সামনে আসে। সোমবার করোনায় আক্রান্ত মনমোহনকে দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
]]>
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের শেষদিকে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে জিনজিয়াংয়ে চীনা কর্তৃপক্ষ গণহত্যা চালাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছিলেন। তবে এবার যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কোনো মানবাধিকার বিষয়ক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গণহত্যা’ শব্দটি ব্যবহার করা হলো।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘জিনজিয়াংয়ের উইঘুর মুসলমান এবং অন্যান্য নৃতাত্ত্বিক ও ধর্মীয় সংখ্যাগুলো গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বছরজুড়ে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।’
চীনা কর্তৃপক্ষ জিনজিয়াংয়ে ১০ লাখেরও বেশি বেসামরিক ব্যক্তিকে নির্বিচারে কারাবন্দি করে রেখেছে। নির্যাতিতদের শারীরিক স্বাধীনতা থেকে মারাত্মকভাবে বঞ্চিত করা, জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ, গণ ধর্ষণ, গর্ভপাত ও চীনের জন্ম নিয়ন্ত্রণ নীতিমালার আরও কঠোরভাবে মানতে বাধ্য করা, জোরপূর্বক শ্রমে নিয়োগ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও চলাফেরার স্বাধীনতার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশের হাতে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ প্রায়ই তদন্ত করার ঘোষণা দেয়। তবে তারা পুলিশের কুকর্মের বিষয়ে করা সেই তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করে না বা কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানায় না।
বিভিন্ন ইস্যুতে চীন ও পশ্চিমাদেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা যখন ক্রমেই বাড়ছে, ঠিক সেই সময়েই এই প্রতিবেদন প্রকাশ করলো যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, চীনের সরকার ও তাদের বিভিন্ন এজেন্টের বিরুদ্ধে নির্বিচারে ও বেআইনিভাবে হত্যাকাণ্ডের অনেক অভিযোগ ওঠে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব অভিযোগের বিষয়ে খুব অল্প তথ্য পাওয়া যায় এবং অনেক ক্ষেত্রে কোনো তথ্যই মেলে না।
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের চীন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ সোফি রিচার্ডসন বলেন, ‘প্রতিবেদনে গণহত্যা শব্দটির ব্যবহার উইঘুর, কাজাখ, কিরগিজ ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চীনা সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রশাসনের গভীর উদ্বেগের ইঙ্গিত বহন করে। পরবর্তী পদক্ষেপ হচ্ছে একটি স্বাধীন তদন্তে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে কৌশল প্রণয়ন, প্রমাণ সংগ্রহ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।’
]]>সৌদি আরবে রবিবার থেকে পরিবর্তিত শ্রম আইন কার্যকর হয়েছে। এতে কাফালা ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন এসেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো- সেখানে কর্মরত প্রবাসীরা নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়াই চাকরি পরিবর্তন করতে পারবেন।
এ ছাড়া তারা সৌদি আরবের বাইরে ভ্রমণ করতে পারবেন। নিয়োগকর্তাকে লিখিতভাবে সরাসরি বা ইমেইলে জানালেই চলবে। নিয়োকারীর কোনো পূর্বানুমতি লাগবে না। আর চাকরির মেয়াদ শেষ হলেই তারা চাকরি ছেড়ে চলে যেতে পারবেন। শুধু অনলাইনে জানালেই হবে। কোনো অনুমতি নিতে হবে না।
সৌদি জনশক্তি উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন নাসের সংস্কার প্রক্রিয়ার শুরুতে গত নভেম্বরে বলেছিলেন, ‘এর মাধ্যমে আমরা একটি আকর্ষণীয় শ্রমবাজার গড়ে তুলতে চাই। এখানে কাজের পরিবেশকে উন্নত করতে চাই।’
সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা সোমবার জানান, ‘আগে প্রবাসী কর্মীরা কাজ পরিবর্তন করতে পারতেন না। আর মেয়াদ শেষে তারা চাইলেও দেশে ফিরতে পারতেন না। নিয়োগকারীর অনুমতি লাগত। তবে এখন আর অনুমতি লাগবে না। তবে কোনো প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে একবছর কাজ করতে হবে। এরপর পরিবর্তন করা যাবে। আর তারা ছুটিতে নিজেদের ইচ্ছায় অন্যদেশে বা নিজের দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন।’
এসব সুবিধা পেতে বৈধ নিয়োগপত্র লাগবে বলে জানান তিনি। বৈধ নিয়োগপত্র না থাকলে তাদের জটিলতার কোনো অবসান এই আইনে ঘটবে না। এ ব্যবস্থার সুবিধা বাংলাদেশের গৃহকর্মী বা ব্যক্তিগত পর্যায়ে যারা গেছেন তারা পাবেন কি না, জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, বৈধ নিয়োগপত্র থাকলে সবাই পাবেন।
কিন্তু জনশক্তি রফতানিকারক ও বিশ্লেষক হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘গৃহকর্মীরা সরাসরি এই সুযোগ পাবেন না। কারণ, তারা কোনো একটি এজেন্সির মাধ্যমে গৃহকর্মে নিযুক্ত হন। ওই এজেন্সি যদি মনে করে, কোনো কারণে তার চাকরি পরিবর্তন করিয়ে দেবে, তাহলে তারা করে দিতে পারবে।’
ব্র্যাকের অভিবাসন বিভাগের প্রধান শরিফুল হাসানও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘যারা কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে নিয়োগপত্র নিয়ে সরাসরি কাজ করতে গেছেন তারা নতুন আইনের সুবিধা নিয়ে চাকরি পরিবর্তন করতে পারবেন।’
কিন্তু বাংলাদেশের যারা সৌদি আরবে কাজ করছেন তাদের বড় অংশ বিশেষ করে নারীরা গৃহকর্মী হিসেবেই সেখানে গেছেন। গাড়ি চালকদের একটি অংশ যারা ব্যক্তিগত গাড়ি চালান তারাও এই সুবিধা পাবেন না বলেই বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। তবে সৌদি আরবে বাংলাদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তা জানান, আইনটি মাত্র প্রয়োগ শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে সব বিষয় পরিষ্কার হবে। আর এখন থেকে ভিসা পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আসবে। সিঙ্গেল এন্ট্রির পরিবর্তে প্রবাসী কর্মীদের মাল্টিপল ভিসা দেওয়া হবে।
সৌদি আরবে এখন বিভিন্ন দেশের প্রায় এক কোটি প্রবাসী কর্মী রয়েছেন। এর মধ্যে ২০ লাখ বৈধ বাংলাদেশি আছেন। আর বাংলাদেশিদের মধ্যে তিন লাখ নারী কর্মী, যারা গৃহকর্মী হিসেবে সেখানে কাজ করেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে প্রতি মাসে বাংলাদেশ থেকে গড়ে ৪০ হাজার কর্মী যান সৌদি আরবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১০ হাজারের মতো বাংলাদেশি নাগরিক ডিপোর্টেশন সেন্টারে আছেন। তার অধিকাংশই সৌদি আরবে। ২০১৪ সালে আট লাখ বাংলাদেশি সেখানে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়েছেন।
গৃহকর্মী হিসেবে যারা সৌদি আরবে কাজ করেন, তারা ৯ ধরনের কাজ করেন মালিকের বাড়িতে। ব্র্যাকের অভিবাসন বিভাগের হিসাব মতে, গত চার বছরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ৪৭৩ জন বাংলাদেশি প্রবাসী নারী কর্মী মারা গেছেন। এর মধ্যে সৌদি আরবে মারা গেছেন ১৭৫ জন। ৮১ জন নারী কর্মী মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আত্মহত্যা করেছেন। তার মধ্যে সৌদি আরবে ৫১ জন। গত দুই বছরে সৌদি আরব থেকে ফিরে আসা ৬৩ জনকে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন বলে চিহ্নিত করা হয়। তাদের মধ্যে ৫৮ জনই নারী।
হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, সৌদি আরব নিজেদের স্বার্থেই শ্রম আইনে পরিবর্তন এনেছে। কোভিড-এর কারণে শ্রমিকের স্বল্পতা এবং বাইরে থেকে শ্রমিক যাওয়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। তবে সেখানে অবস্থানরত কর্মী বিশেষ করে বাংলাদেশিরা এখন চাকরি পরিবর্তন করতে পারবেন। বেশি বেতনে আরেক জায়গায় কাজ নিতে পারবেন। আগে যেটা হতো তাদের পাসপোর্ট আটকে রাখা হতো। তারা চাকরি পরিবর্তন তো দূরের কথা চাইলে দেশেও ফিরতে পারতেন না। এমনকি কেউ মারা গেলেও অনুমতি না মিললে লাশ দেশে পাঠানো যেত না।
শরিফুল হাসান বলেন, ‘আরেকটি আশঙ্কার জায়গা তৈরি হয়েছে। আমাদের দেশের প্রতারক চক্ররা এই আইনের সুযোগ নিতে পারে। তারা ফ্রি ভিসার কথা বলে সৌদি আরবে লোক পাঠানোর প্রতারণা শুরু করতে পারে। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
এই চাকরি পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে অঞ্চলভিত্তিক। আর অঞ্চলও ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। সেই অঞ্চলের বাইরে আবার চাকরি পরিবর্তন করে যাওয়ার সুযোগ থাকছে না বলে জানা গেছে।
]]>