|
শুক্রবার বিকালে ভোলা পুলিশ লাইন্স মাঠে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিস এর আয়োজনে এ ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল খেলায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ট্রাইব্রেকারের মাধ্যমে ভোলা পৌরসভা বালিকা দলকে ১-০ গোলে পরাজিত করে ভোলা সদর উপজেলা বালিকা দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
অপর দিকে ট্রাইব্রেকারের মাধ্যমে লালমোহন উপজেলা বালক দলকে ৩-২ গোলে পরাজিত করে ভোলা সদর উপজেলা বালক দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের মাঝে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে পুরুস্কার বিতরন করেন ভোলা জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিক ই-লাহী চৌধুরী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল নোমান, জেলা ক্রীড়া অফিসার মোঃ সাপাতুল ইসলাম প্রমুখ।
]]>বৃহস্পতিবার শেষ বিকেলে কলাপাড়া থানা সংলগ্ন খেলার মাঠে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কলাপাড়া ভলিবল খেলোয়াড় আয়োজিত টুর্নামেন্টে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম রাকিবুল আহসান।
কলাপাড়া উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসানাত মো.শহীদুল হকের সভাপতিত্বে টুর্নামেন্টের শুভ উদ্ভোধন করেন কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব তালুকদার। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবির কল্লোল, উপজেলা ঘুর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান খান, ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: হুমায়ুন কবির, নারীনেত্রী সালমা কবির ও শুভ্রা চক্রবর্তী কল্যানী প্রমুখ।
এ ভলিবল টুর্নামেন্টে ৩টি দল অংশগ্রহণ করেন। উদ্ভোধনী খেলায় বাজার একাদশ ২-১ সেটে স্বপ্ন একাদশকে পরাজিত করেন।
]]>ক্রিকবাজকে আকরান খান গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, সাকিব আইপিএলে খেলার জন্য শ্রীলঙ্কা সিরিজে না খেলার জন্য চিঠি দিয়েছে। আমরা তাকে ছুটি দিয়েছি। কারণ কেউ যদি খেলতে না চায় তাহলে তাকে জোর করে খেলানোর কোনো মানে নেই।
প্রসঙ্গত, এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আইপিএলে ফিরেছেন সাকিব। সাকিব ৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে এবারের আসর খেলবেন। এর আগে ২০১১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত দলটিতে ছিলেন তিনি।
]]>ক্লাব ও দেশ মিলিয়ে বিশ্বের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় দু’নম্বরে উঠে এলেন তিনি। সামনে রয়েছেন অস্ট্রিয়ার ফুটবলার জোসেফ বিকান, তার গোল ৭৫৯টি। আর ৭৪২ গোল করে তালিকায় চার নম্বরে রয়েছেন লিওনেল মেসি।
রবিবার রাতে রোনালদোর জোড়া গোলে নিজেদের মাঠে ৪-১ গোলে উদিনেজেকে উড়িয়ে দেয় ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। একটি করে গোল করেন ফেডেরিকো চিয়েসা ও পাওলো দিবালা। দারুণ ফুটবল খেলে আন্দ্রে পিরলোর দল। এই জয়ের ফলে ১৪ ম্যাচে সাতটি জিতে ও ছ’টি ড্র করে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠে এল জুভেন্তাস।
এদিন প্রথম গোল করে পেলেকে ছুঁয়ে ফেলেন রোনালদো। এরপর দ্বিতীয় গোল করে ফুটবল সম্রাট পেলেকে টপকে যান এই পর্তুগিজ তারকা। উদিনেজের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে দেশ ও ক্লাব মিলিয়ে ৭৫৮টি গোলের মালিক হলেন রোনালদো। আর একটি মাত্র গোল করলেই সর্বাধিক গোল করা চেক প্রজাতন্ত্রের আইকন জেসেফ বিসকেনকে ছুঁয়ে ফেলবেন তিনি।
]]>বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রান তাড়ার রেকর্ড এটিই। এই দুঃসাধ্য কাজটি বরিশাল করেছে ১১ বল বাকি রেখেই। গত জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ঢাকা প্লাটুনের ২০৫ রান তাড়ায় খুলনা টাইগার্সের জয় ছিল বাংলাদেশে রান তাড়ার আগের রেকর্ড। খুলনাও জিতেছিল ৮ উইকেটে, ঠিক ১১ বল বাকি রেখেই। রেকর্ড ছোঁয়া ১১ ছক্কায় রাজশাহীর হয়ে শান্ত খেলেন ৫৫ বলে ১০৯ রানের ইনিংস। জবাব হয়ে আসে পারভেজের ইনিংস। গত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য এই ব্যাটসম্যান খেলেন ৪২ বলে ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস। বেশ অনেকটা ব্যবধানে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের দ্রুততম সেঞ্চুরি এটিই।
২০১৯ বিপিএলে গড়া তামিম ইকবালের ৫০ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন অতীত। রানের রেকর্ডময় এই ম্যাচেও হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেয়েছেন বরিশালের কামরুল ইসলাম রাব্বির। প্রথম ইনিংসের শেষ ওভারে হ্যাটট্রিকসহ উইকেট নেন তিনি চারটি। বরাবরই মন্থর মিরপুরের উইকেট এ দিন দেখা গেল অনেক ব্যতিক্রম। উইকেটে ছিল ঘাসের ছোঁয়া, বল ব্যাটে এলো দারুণভাবে। দুই দলের ব্যাটসম্যানরা সেটি কাজে লাগালেন। সঙ্গে দুই দলেরই বোলিং ছিল বেশ বাজে। রান উৎসবের শুরু রাজশাহীর আনিসুল ইসলাম ইমনের ব্যাটে। টস হেরে ব্যাটে নামা দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন এই ওপেনার। তিনি যখন বেধড়ক পেটাচ্ছেন, শান্ত তখনও দর্শক। ষষ্ঠ ওভারে ইমনের রান ২০ বলে ৪৫, শান্তর রান তখন ১২ বলে ৭। কামরুলের ওই ওভারে টানা দুই বলে ছক্কা ও চার মেরে ছুটতে শুরু করেন শান্ত।
এরপর আর থামাথামির নাম নেই। ইমন-শান্তর উদ্বোধনী জুটিতে ১২.২ ওভারে আসে ১৩১ রান। অনায়াসেই যা টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ জুটি। ৩৯ বলে ৬৯ রান করা ইমনকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন সুমন খান। তবে শান্তর ঝড় চলতেই থাকে। ৩২ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন তিনি, তিন অঙ্কে পা রাখেন ৫২ বলে। ৪ চার ও ১১ ছক্কায় ১০৯ করে আউট হন ইনিংসের শেষ ওভারে। টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ডে এখন তামিমের সঙ্গী শান্ত। ২০১৯ বিপিএলের ফাইনালে ১৪৫ রানের ইনিংসের পথে ১১ ছক্কা মেরেছিলেন তামিম। শান্ত-ইমনের ঝড়ের পর রাজশাহীর আর কারও তেমন কিছু করার প্রয়োজন পড়েনি। তিনে নেমে দুই ছক্কায় ১৮ করে ফেরেন রনি তালুকদার। কামরুল শেষ ওভারে ৪ উইকেট নিলেও রাজশাহী ওই ওভার থেকে তোলে ১০ রান। তলানির দল বরিশালের জন্য এই রান হওয়ার কথা আকাশ ছোঁয়ার মতো।
ব্যাটিংটাই তো এই আসরে ভোগাচ্ছিল তাদের। কিন্তু দিনটিই যে পাগলাটে! সাইফ হাসানের মতো ধীরস্থির ব্যাটসম্যানও তাই দুটি করে চার ও ছক্কায় ১৫ বলে করে ফেলেন ২৭ রান। বরিশাল উড়ন্ত সূচনা করে সাইফের ব্যাটেই। এরপর তামিম ইকবাল ও পারভেজের দুটি দলকে এগিয়ে নেন সময়ের দাবি মেনে। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৪ বলে ১১৭ রানের জুটি গড়েন দুই বাঁহাতি। ৩৭ বলে ৫৩ রান করে তামিম আউট হন রান আউটে। ড্রেসিং রুমে ফেরার আগে তামিম কাছে ডেকে নেন পারভেজকে।
অধিনায়ককে হারানোর পরও পারভেজের দাপুটে ব্যাটিং চলতেই থাকে। আফিফ হোসেনকে নিয়ে তিনি শেষ করেন কাজ। এই টুর্নামেন্টের আগে মোটে চারটি টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা ছিল পারভেজের। প্রথম ফিফটির স্বাদ পান এই আসরেই দলের প্রথম ম্যাচে। চোখধাঁধানো সব শটের মহড়ায় ১৮ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান এবার চেনালেন নিজের জাত। বিশাল সব ছক্কা যেমন মেরেছেন, তেমনি খেলেছেন দারুণ সব ড্রাইভ। তার ব্যাটিংয়ে ছিল শক্তি, স্কিল আর বুদ্ধিমত্তার মিশেল। ২৫ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছিলেন তিনি। পরের পঞ্চাশে লাগে কেবল ১৭ বল। ৯ চার ও ৭ ছক্কার ইনিংস খেলে বেরিয়ে আসেন বীরের বেশে। দারুণ এই জয়ে টিকে থাকল বরিশালের শীর্ষ চারে থাকার আশা। ৬ ম্যাচে তাদের জয় ২টি। রাজশাহীর ২ জয় ৭ ম্যাচে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী: ২০ ওভারে ২২০/৭ (শান্ত ১০৯, ইমন ৬৯, রনি ১৮, মেহেদি ০, সোহান ১২, সাইফ উদ্দিন ৪, ফরহাদ ০, ফজলে মাহমুদ ৬*, মুকিদুল ০; তাসকিন ৪-০-৪৯-০, মিরাজ ৩-০-৩৫-০, সুমন ৪-০-৪৩-২, আবু জায়েদ ২.১-০-১১-০, কামরুল ৪-০-৪৯-৪, আফিফ ২.৫-০-৩২-০)।
ফরচুন বরিশাল: ১৮.১ ওভারে ২২১/২ (সাইফ ২৭, তামিম ৫৮, পারভেজ ১০০*, আফিফ ২৬*; সাইফ উদ্দিন ৪-০-৪০-১, মেহেদি ৪-০-৪০-০, ইবাদত ৩-০-৩৯-০, মুকিদুল ২-০-২৬-০, ফরহাদ ৩-০-৪৭-০, সানি ১-০-১১-০, ইমন ১.১-০-১৫-০)। ফল : ফরচুন বরিশাল ৮ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দা ম্যাচ: পারভেজ হোসেন ইমন।
]]>আজ শনিবার সকালে মিরপুরে বিসিবির একাডেমির ট্রেনিং গ্রাউন্ডে অনুশীলন করে ফরচুন বরিশাল দল। এরপর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তামিম ইকবাল জানালেন, তিনি বরিশালের ভাষা শিখতে চান।
আজ মিরপুরে শের-ই-বাংলায় তামিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বরিশালের ভাষা শেখার চেষ্টা করব। আমি বরিশালের ভাষায় কথা বলতে পারি না। এটা ভালো যে বরিশাল আবার প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছে। গত দু-তিন মৌসুম তো তারা বিপিএলে ছিল না। দলটির অনেক ভক্ত-সমর্থক আছে। চেষ্টা করব তাদের কিছু আনন্দ উপহার দিতে।’
এর আগে পিএসএল খেলতে পাকিস্তানে গিয়ে অনিচ্ছায় উর্দুতে কথা বলেছিলেন তামিম। তবে বলেছিলেন, বিসিবি তাকে উর্দুতে কথা বলতে নিষেধ করেছে।
]]>