তবে বেড বাড়লেও দেখা দিয়েছে লোকবল-সংকট। আরও চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারী নিয়োগ ছাড়া করোনা ইউনিট চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মন্ত্রণালয়ে জনবল চেয়েও পাচ্ছি না। আগের জনবল দিয়ে মূল হাসপাতাল চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে, তার ওপর করোনা ইউনিটে দিন দিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ কারণে বেড বাড়িয়ে ৩০০ করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে জনবল ছাড়া এই ইউনিট চালানো অনেকটা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
হাসপাতাল সূত্র জানায়, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নতুন পাঁচতলা ভবনে চালু করা করোনা ইউনিটে বেডসংখ্যা বাড়াতে বাড়াতে সোমবার ৩০০তে দাঁড়িয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৪৩৬ জন এবং উপসর্গসহ করোনা আক্রান্ত ১৭ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শেবাচিম হাসপাতালে ১২ জনের মৃত্যু হয়। সেখানে সোমবার নতুন ৪৯ রোগীসহ ভর্তি রয়েছেন ২২০ জন।
হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দুইজন মেডিক্যাল অফিসার দিয়ে চিকিৎসা চলছে। তিন শিফটে ১৫ জন করে ৪৫ জন নার্স আছেন। তারা মূল হাসপাতালের পাশাপাশি করোনা ইউনিটেও সেবা দেন। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সংকটের কারণে করোনা ইউনিট বেহাল হয়ে পড়েছে। যেখানে-সেখানে আবর্জনা পড়ে থাকছে।
করোনা ইউনিটের তৃতীয়তলায় ভর্তি হওয়া এক রোগীর স্বজন আব্দুল্লাহ মাহাফুজ সবুজ জানান, করোনা ইউনিটের অবস্থা খুবই খারাপ। যেখানে-সেখানে ব্যবহৃত মাস্ক, হ্যান্ড গ্লোভসসহ ময়লা পড়ে আছে। বাথরুম আরও বেহাল। এখানে পানি-সংকট রয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল বলেন, ‘জনবল চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। করোনা ইউনিটের জন্য বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কাছেও জরুরি ভিত্তিতে ১০০ নার্স ও ৫০ জন চিকিৎসক চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের কাছে কিছু স্বেচ্ছাসেবক চেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘করোনা ইউনিটের জন্য এখানে স্পেসিফিক কোনো ভবন নেই। আমাদের একটি ভবনকে করোনা ইউনিট করা হয়েছে। ভবনটির কাজ এখনও চলছে। গণপূর্তকে বলা হয়েছে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য। বলতে গেলে জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সেবা এখনও আমরা দিতে পারিনি।’
]]>পরিচ্ছন্মতা অভিযান কালে সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে পূর্বদিকের ঝাউবন এলাকা এবং পশ্চিম শুটকি পল্লী পর্যন্ত প্রায় দুই কিঃমিঃ এলাকার সকল অপচনশীল বর্জ্য অপসারণ করা হয়। পরে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে বিশ্ব সমুদ্র দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসক্লাব সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লবের সভাপতিত্বে বিশ্ব সমুদ্র দিবস সমুদ্র দূষন রোধে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক মোঃ মিজানুর রহমান, ওয়ার্ল্ড ফিস এর পটুয়াখালী জেলার কর্মরত ইকাফিস-২ প্রকল্পর সহযোগী গবেষক মোঃ জামাল উদ্দিন ও সহকারী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি, টোয়াকের প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার ও সেক্রটারী মো. আনোয়ার হোসেন আনু প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, নদীর দূষিত পানি ও কলকারখানার বর্জ সমুদ্রে গিয়ে মিলিত হচ্ছে। এত সমুদ্রের পানি দূষিত হচ্ছে মানুষের ব্যবহ্নত প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন পদার্থ সমুদ্র ফেলা হচ্ছে। এর ফলে সমুদ্রের পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে যাচ্ছে।
মারা যাচ্ছে সমুদ্রের নানা প্রজাতির সামুদ্রিক প্রানী ও জীব বচিত্র। সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে গেছে। তাই সমুদ্রের পানি দূষণ রোধ এবং সমুদ্রের জীববৈচিত্র রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার আহবান করেন বক্তারা।
]]>বিভিন্ন স্পট থেকে সৈকতে নেমে পরে সমুদ্র গোসল,হৈ-হুল্লোলে মেতে ওঠেন আগত দর্শনার্থীরা। গতকাল শুক্রবার দুপুরের পর হঠাৎ করে সৈকতে ওইসব মানুষ জড়ো হওয়ার পর পরই মাইকিং করে বাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছেন ট্যুরিষ্ট্য পুলিশের সদস্যরা। আগতরা বেশির ভাগই পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও স্থানীয় বলে জানিয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় সূত্রে গেছে, কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও এসব দর্শনার্থীরা মোটরসাইকেল নিয়ে ভীড় করতে থাকেন। পরে ট্যুরিস্ট পুলিশ মাইকিং করে আগত দর্শনার্থীদের নিজ নিজ গন্তব্যে ফেরৎ পাঠায়। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার সন্ধ্যার আগ মূহুর্তে দর্শনার্থীরা সৈকত থেকে নিজ গন্তেব্যে ফেরত গেছেন। এদিকে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে বসানো হয় কড়া পাহারা।
কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা মো. হাসান বলেন, সে ঢাকায় চাকরী করেন। ঈদের ছুটিতে বড়িতে আসেন। সকালের নামাজ শেষে মোটরসাইকেল যোগে কুয়াকাটা আসেন। সৈকতে কিছুক্ষণ থাকার পর ট্যুরিস্ট পুলিশের মাইকিং শুনে উঠে এসেছি।
অপর এক যুবক মেহেদীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ছুটিতে বাড়ি আসার পর তিন বন্ধু কুয়াকাটায় এসেছি। সৈকতে নেমে সমুদ্র গোসলের মুহুর্তেই ট্যুরিস্ট পুলিশ আমাদের উঠে যেতে বলেন। তবে দু:খ করে বলেন দীর্ঘ দিন পর বাড়িতে আসে শুধু মাত্র সমুদ্রের পানিতে পা ভিজিয়েই যেতে হবে। আমরা বুঝতে পারি নাই কুয়াকাটায় লকডাউন।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট এসোসিয়েশ (কুটুম) সিনিয়র সহ-সভাপতি হোসাইন আমির বলেন, ঈদের প্রথম দিন নড়ীর টানে বাড়ি ফেরা কিছুসংখক মানুষ কুয়াকাটায় এসে সৈকতে নেমে পরেন। তবে সবাই মোটরসাইকল নিয়ে এসেছে। আমি কয়েকজনের সাথে কথা বলে জেনেছি তারা আশেপাশের উপজেলার।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের ইনচার্জ বদরুল কবির বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। শুক্রবার দুপুরের দিকে কিছু দর্শনার্থী সৈকতে নেমেছিলো।
আমরা মাইকিং করে ত্রিশ মিনিটের মধ্যে নিজ নিজ গন্তব্যে ফেরৎ পাঠাতে সক্ষম হয়েছি। তবে যারা এসেছিল তারা পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও স্থানীয়। বর্তনানে কুয়াকাটা সৈকতে কোন দর্শনার্থী নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।
]]>এসময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালে যুক্ত ছিলেন, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো শহিদুল হক, ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন এর সিনিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার মো: সোহরাব হোসেন, কলাপাড়া উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো: মহসিন রেজা প্রমুখ। ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় আনাগোনা নেই পর্যটকদের। ফিরে এসেছে লাল কাঁকড়া দল।
ওর্য়াল্ডফিস বাংলাদেশ এর কুয়াকাটা সৈকতের প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র গবেষনা সহকারি সাগরিকা স্মৃতি জানিয়েছেন, কুয়াকাটা সৈকতের অন্যতম আকর্ষন লালা কাকঁড়া ও তার আলপনা। লাল কাকঁড়ার বেশী বিচরণ সৈকতের লেম্বুবন ও গঙ্গামতি পয়েন্টে। পর্যটকদের অতিরিক্ত চাপ, অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন, শব্দ দূষণ এবং বেপরয়া মোটরসাইকেলে এই লাল কাঁকড়ার প্রাচুর্যে দিন দিন কমে যাচ্ছিল। তাই সৈকতে লাল কাঁকড়া ও কচ্ছপের অবাধ বিচরনে ওর্য়াল্ডফিস বাংলাদেশ (ইকো ফিস-২) এবং মৎস্য অধিদপ্তর যৌথভাবে অভয়াশ্রম নির্মাণ করেন।
এ বিষয় কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো: শহিদুল হক বলেন, কুয়াকাটা সৈকতে লাল কাঁকড়া ও কচ্ছপের অবাধ বিচরণে অভয়াশ্রম সামুদ্রিক জীববৈচিত্র রক্ষায় ইতিবাচক প্রভাব পরবে।
]]>একদিকে চলছে সৈকত সুরক্ষার কাজ। অপরদিকে প্রকল্পের অনুমোদন ছাড়াই প্রকল্পিত প্রস্তাবে চলছে হরিলুটের কাজ। কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই লেক নির্মাণের নামে পরিত্যক্ত জলাধারের বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন প্রকল্পের ভরাট কাজ চালাচ্ছেন পৌর মেয়র। দরপত্র বা প্রকল্পিত ব্যয়ের অর্থের উৎস কিংবা নকশা ছাড়াই নিজের খেয়াল খুশিমতো লেক নির্মাণের নামে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে গণশৌচাগার ও শেখ রাসেল পার্ক এবং মার্কেট নির্মাণসহ রাখাইন মার্কেটের বালু ভরাটের কাজে এ বালু ব্যবহার করা হবে বলে এর সাথে সংশ্লিষ্ঠরা জানান। এছাড়া জলাধারের পূর্বপাশে এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর অভিজাত আবাসিক হোটেলের সুবিধার্থে নিজস্ব ৫০ ফুটের একটি রাস্তা নির্মাণে এ বালুর ব্যবহার হচ্ছে। কুয়াকাটার সচেতন নাগরিক মহলের মন্তব্য, পৌর মেয়র জলাধার খননের নামে প্রকল্প নিয়েছে। পুনরায় জলাধারের বালু দিয়ে প্রকল্প ভরাটের কাজ করে সরকারি টাকা হরিলুট করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
এদিকে জলাধার লাগোয়া ট্যুরিজম বোর্ডের অর্থায়নে নির্মিত ‘ট্যুরিজম পার্ক’টি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হয়নি। মুজিবশতবর্ষে ২০২০ সালের ১০ মার্চ এই পার্কটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। নকশা অনুযায়ী ট্যুরিজম পার্ক নির্মিত হওয়ায় কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না পর্যটকরা। পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী এ পার্কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন। এটি পূর্নাঙ্গভাবে চালু না হলেও ফের এ পার্কটির পাশে সরকারি কয়েক কোটি টাকার আরেকটি লেক (জলাশয়) পরিচ্ছন্ন করার কাজে নেমেছেন নবনির্বাচিত কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার। এনিয়ে কুয়াকাটার স্থানীয় মানুষের মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেয়া হয়েছে নিজের অর্থায়নে এখন এ কাজ করা হবে। পরে প্রকল্পের মাধ্যমে শোধ করা হবে ওই টাকা। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ভূমি প্রশাসনের জমিতে ব্যক্তি অর্থে কী করে লিখিত অনুমতি ছাড়া এ কাজ সম্ভব এটি অনেককে অবাক করেছে।
স্থানীয় সচেতনমহল ক্ষুব্ধ মনোভাব প্রকাশ করে জানান, ওই জলাশয়ের বেড়িবাঁধের ভেতরে ও বাইরের অংশে প্রায় ৫ একর ভূমি দখলে নিয়েছে এক প্রভাবশালী জাপা নেতা। আর ওই জলাধার জমি দখলের নেতৃত্বে ছিলেন বর্তমান মেয়র আনোয়ার হাওলাদার। দখলে নিয়ে অন্তত ১৬টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। জলাধার ও উচ্ছেদকৃত পরিবারের জায়গাগুলোর মালিক পাউবো। এখন আবার বেড়িবাঁধের বাইরের জায়গায় পাউবোর অনুমতি ছাড়াই লেকপার্ক নির্মাণে নামে চলছে বহুমূখী নিজস্ব উন্নয়ন প্রকল্প।
স্থানীয়দের দাবি ট্যুরিজম পার্কটি পুর্নাঙ্গভাবে আগে চালু করা হোক। কুয়াকাটা সৈকতের শুন্য পয়েন্টের পূর্বদিকে নারিকেল বাগানের মধ্যে খালি জায়গায় ১৬০ ফুট দীর্ঘ এবং ১২০ ফুট প্রস্থ এই পার্কটি নির্মান করা হয়। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অর্থায়নে এক কোটি টাকা ব্যয়-বরাদ্দে সাগরপারে দৃষ্টিনন্দন এ পার্কটি নির্মিত হয়েছে। ২০১৮ সালের পহেলা জানুয়ারি তৎকালীন জেলা প্রশাসক এ পার্কটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। পার্কটিতে পর্যটকের জন্য বহুমুখি সুবিধা চালুর কথা রয়েছে। সাগরে গোসল করতে নামার আগে পর্যটকরা পার্কটিতে থাকা লকার ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। যেখানে জুতো-স্যান্ডেল, মোবাইল, টাকা-পয়সাসহ সবকিছু গচ্ছিত রাখতে পারবেন। নামে মাত্র সার্ভিস চার্জের বিনিময় এ লকার ব্যবহারের সুযোগ থাকছে। অন্তত দুই শ’ লকার থাকছে। পার্কটি রয়েছে বাউন্ডারি ঘেরা। টিনশেড আধুনিক ডেকোরেশন সমৃদ্ধ একতলা আলাদা বিশ্রামাগার থাকার কথা রয়েছে। সেখানে সোফার ব্যবহার থাকবে। বসেই উত্তাল সমুদ্রে দৃষ্টি রাখতে পারবেন পর্যটক। সাগরে গোছল শেষে হাত-পা ধোয়ার জন্য পানির সরবরাহ লাইনসহ অসংখ্য ট্যাপ থাকবে।
পুরুষ ও মহিলাদের আলাদাভাবে পোশাক-পরিচ্ছদ পাল্টানোর মতো স্পেস নিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছে। আলাদা প্র¯্রাবখানাসহ টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অত্যাধুনিক সুবিধা সংবলিত ওয়াশরুম, ৫০ সিটের কফি হাউস থাকার কথা ছিল। প্রায় ৪০ ফুট দীর্ঘ দুই সারিতে কফি হাউসের আড্ডায় বসতে পারবেন আগতরা। থাকার কথা ছিল ক্যাফে কর্ণার। এমনকি ফি সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে বিশেষ কনসার্টের ব্যবস্থা থাকবে এ পার্কটিতে। ইতোমধ্যে এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এ পার্কে বিশাল আকৃতির স্থায়ী ছাতা থাকছে। যার নিচে পর্যাপ্ত সংখ্যক চেয়ার থাকছে। রয়েছে বেঞ্চি। পার্কটি সবসময় প্রশাসনিক নিরাপত্তার আওতায় রাখা হবে। পার্ক অভ্যন্তরে বিশেষ কারণে পর্যটকরা রাত্রি যাপনেরও সুযোগ পাবেন। এমনকি পার্ক সংলগ্ন সীবিচে বোল্ডার দিয়ে সাগরের ঢেউয়ে বেলাভূমি ক্ষয়রোধেও বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জিও টিউব দেয়া হয়েছে উত্তাল ঢেউয়ে যেন বীচের বেলাভূমের ক্ষয় বন্ধে। বর্তমানে এ পার্কটি পুর্ণাঙ্গভাবে চালু করলে কুয়াকাটায় আসা পর্যটক-দর্শনার্থীর বিনোদন কেন্দ্রীক নতুনমাত্রা পাবেন। এছাড়া সাগরে গোসলের আগে কিংবা পরে যে বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হতে হতো তা লাঘব হবে। কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোতালেব শরীফ জানান, জেলা প্রশাসন কর্তৃক নির্মিত ট্যুরিজম পার্ক নকশা অনুযায়ী নির্মাণ না করায় পুর্নতা পায়নি। পুনরায় একই জায়গায় কাপড়-চোপড় চেঞ্জসহ বিভিন্ন সুবিধার জন্য একটি দৃষ্টিনন্দন লেক করা হচ্ছে; এনিয়ে রয়েছে নানান প্রশ্ন।
কুয়াকাটা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লা বলেন, বেড়িবাঁধের বাইরে কোন প্রকার উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া ঝুকিঁপূর্ণ। দরপত্র ছাড়া ৪ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হরিলুট ছাড়া কিছুই হতে পারে না। জাপা (এ) দলের বিশেষ এক নেতা এবং প্রভাবশালী এক হোটেল ব্যবসায়ীর স্বার্থ উদ্ধারে এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে তার দাবী। তিনি আরও বলেন সম্প্রতি সরকারের ১ নং খাস খতিয়ানের প্রায় ৫০ একর জমি দখলে সহযোগিতা করেছেন বর্তমান মেয়র। এখন আবার তাদের হয়ে কোন অনুমোদন ছাড়াই নতুন প্রকল্প পৌরবাসীর গলার কাটা হয়ে দাড়াবে এক সময়।
তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন. এ জলাধার ব্যবহারে লিখিত কোন অনুমতি দেননি। সেখানকার অধিকাংশ জমি পানিউন্নয়ন বোর্ডের।
এ বিষয়ে পাউবো’র উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী শওকত ইকবাল মেহেরাজ বলেন, এ বিষয়ে তাদের কোন কিছুই অবগত নন।
কুয়াকাটার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, কুয়াকাটা পৌরসভার সৌন্দর্যবর্ধনে যে সকল খাস জমি রয়েছে তাতে দৃষ্টিনন্দন কর্মকান্ড করতে জেলা প্রশাসনের অনুমতি রয়েছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমতির ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেননি। উল্লেখ্য, কুয়াকাটায় বেড়িবাঁধের পুনরাকৃতিকরনের জন্য বিশ^ব্যাংকের অর্থায়নে কাজ চলমান রয়েছে।
]]>নির্বাচিত হওয়ার পর শপথের আগে কুয়াকাটা সৈকতে পড়ে থাকা এক যুগ আগের এলজিইউডি ভবনের বড় বড় কংক্রিট, যাতে প্রায় সময়ই পর্যটকরা গোসলের সময় আহত হতো। পরিত্যক্ত সেই কংক্রিটগুলো নিজ অর্থায়নে প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যায় করে সরিয়ে ফেলেন, এতে এলাকাবাসী ও পর্যটকরা নব-নির্বাচিত মেয়রের কাছে কৃতজ্ঞ।
গত ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু জন্মশত বার্ষীকিতে ১০দিন ব্যপী সৈকতে পর্যটকদের বিনোদনে জন্য দেশর বিভিন্ন শিল্পী ও কুয়াকাটা শিল্পীগোষ্ঠী দিয়ে চমকপ্রদ অনুষ্ঠান করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন জনগনের মাঝে। কুয়াকাটার বেড়ীবাধে বাহিরে ভুইয়া বাড়ীর বিটিশ আমলের পড়ে থাকা বিশাল ডোবাকে পরিছন্ন করে সৌন্দয্যবর্ধনে লেক করার মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন যাতে দেশ-বিদেশেররা পর্যটকরা ব্যাপক বিনোদন পাবে বলে সকলে ধরনা করছেন।
তাতে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যায় হবে বলে ধারণা করছেন পৌর কতৃপক্ষ। র্দীঘদিন পড়ে থাকা ঐ ডোবায় মেয়র যখন প্রাথমিক ভাবে সফল হয়েছেন সে বাকি কাজটা পরিকল্পীত ভাবে সফল হবে বলে সহকর্মীরা ধারণা করছেন।
কুয়াকাটা ফয়েজ মিয়া র্ফাম এন্ড ফার্মস লি:-এর সাবেক কেয়ার টেকার নারিকেল বাগানের কুদুস মিয়া (৫৫)এ প্রতিবেদককে বলেন, পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার আমাগো এই যে কত বড় একটি কাজ করছেন যা আমি ১২ বছর চাকরি করছি পরিনি, বাকি কাজও তিনি করতে পারবে বলে আশা করেন।
স্থানীয় সমাজ কর্মী তরুন ক্লাবের সভাপতি ওয়াহিদ ইব্রাহিম বলেন, কুয়াকাটা পৌর মেয়র প্রথমবারের মতো নির্বাচিক হওয়ার শুরু থেকেই যেসব কাজ করতেছে তার ধরাবাহিকতা যদি অব্যহত থাকে তাহলে আগামি ৫ বছরে আমরা গর্ব করে বলতে পারবো কুয়াকাটা একটি আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র । নির্বচনে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো সেসব কথা তিনি ধীরে ধীরে রাখছেন।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট এ্যাসোসিয়েশন (কুটুম‘র) সভাপতি ও কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব জানান, মাত্র তিন মাসেই পৌর মেয়র তার যে দ্বায়ীত্ব নিয়ে কাজ শুরু করছে এ ভাবে চলতে থাকলে এবং সবাই এই কাজে সহযোগীতা করেন তাহলে কুয়াকাটা আধুনিক মডেল পৌরসভায় রূপান্তরিত হবে ।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার জানান, ভোটের আগে জনগনকে কথা দিয়ে ছিলাম নির্বাচিত হলে জনগনের জন্য নতুন নতুন কাজ করব। জনগন ও এলাকার উন্নয়নের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবো এবং করছি বাকি দিনগুলিও করে যাবো, জনগন সহয়তা করলে করছি আগামি ৫ বছর পরিকল্পিতভাবে কাজ করে স্বপ্নের সিড়িতে দাড়িয়ে নতুন কিছু সৃষ্টি করতে চাই যাতে আগত পর্যটক ও পৌর জনগন যেন কাজের মাঝে ভবিষ্যতে স্মরণ রাখে।
]]>বুধবার রাত নয়টায় সকল হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট বন্ধ ঘোষনা করে গুরুত্বপূর্ন স্থানে মাইকিং ও পর্যটন ব্যবসায়ীদের নিয়ে সভা করেছে মহিপুর থানা পুলিশ ও ট্যুরিষ্ট পুলিশ।
অপরদিকে পটুয়াখালী জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বরাত দিয়েও মাইকিং করা হয়েছে হোটেল মোটেল বন্ধ রাখার জন্য।
এছাড়া বুধবার রাত থেকেই কুয়াকাটা সৈকতে অবস্থানরত সকল পর্যটকদের বাড়ি ফিরে যেতে অনুরোধ জানিয়েছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ। এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে সন্ধ্যা সাতটার পর জেলার সকল দোকান পাট বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধূরী জানান, আগামী ১৫ দিনের জন্য এ আদেশ বলবৎ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল ধরনের সেবা বন্ধ থাকবে।
]]>লেম্বুর চর, ঝাউবন, গঙ্গামতির লেক, কাউয়ার চর, মিশ্রিপাড়া ও শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন তাঁতপল্লী, আলীপুর-মহিপুর মৎস্যবন্দরসহ দর্শনীয় স্পট এবং শুটকী পল্লীসহ ফিস ফ্রাইপল্লীতে রয়েছে পর্যটকদের উচ্ছাসিত উপস্থিতি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সমুদ্রের ঢেউয়ে সাতার কাটাসহ সৈকতে দাড়িয়ে প্রিয়জনের সাথে সেফলি তুলে দিনটি উপভোগ করছেন পর্যটকরা। পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমনে টুরিষ্ট্য পুলিশ, নৌ-পুলিশ তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। তবে পর্যটকরা সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক ব্যবহারের ছিল উদাসীন।
কুয়াকাটার পর্যটন ব্যবসায়িরার জানিয়েছেন, স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে দেশে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দর্শনার্থীরা কুয়াকাটায় ভীড় জমিয়েছে। এর ফলে স্থানীয় দোকান গুলোতে বেচা কেনা বেড়েছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ব্যবসায়ি হোসাইন আমির বলেন, গত দু’দিন ধরে পর্যটকদের ব্যাপক চাপ রয়েছে। আমরাও সাধ্য মত আগত পর্যটকদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. সোহরাব হোসেন বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ সর্বদা পর্যটকদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে।
সৈকতেসহ পর্যটন স্পটগুলেতে পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে আমাদের ট্যুরিষ্ট পুলিশ মাইকিং করছে।
]]>মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত অবধি উন্মুক্ত মঞ্চে সুরের মুর্ছনায় আগত পর্যটকদের মাতিয়ে তুলেন শিল্পীরা। আর গানের ফাঁকে ফাঁকে চলে স্থানীয় রাখাইনদের নৃত্য। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পরিবেশিত গান ও কবিতায় মন কাড়ে পর্যটকদের। এ সাংকৃতিক অনুষ্ঠানে প্রতিদিনই বাড়ছে পর্যটকের ভীড়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা পুলিশ ও কুয়াকাটা পৌর সভার যৌথ উদ্যোগে ১০ দিন ব্যাপী এ সাংস্কৃতিক আনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মঙ্গলবার রাতে বালু ভাস্কর্যের পাশে উন্মুক্ত মঞ্চে ছোট নকুল নামের তাপস মজুমদার, বাংলাদেশ টেলিভিশনের নতুন কুড়ি শিল্পী নওমি আক্তারের একাধিক গানের সাথে সৈকতে উল্লাসে মেতে ওঠে আগত পর্যটকসহ স্থানীয়রা।
এছাড়াও কুয়াকাটার শিল্পী গোষ্টির ওস্তাদ রেজাউল করিম, ইমন ও আশিক সৈকতের বালিয়াড়ির উন্মুক্ত মঞ্চে সংগীত পরিবেশন করেন। আর এ অনুষ্ঠান চলবে আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত জানিয়েছেন আয়োজকরা। সাংস্কৃতিক আনুষ্ঠানে কুয়াকাটা হোটেল মোটেল নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ও আগত পর্যটকরা উপস্থিত ছিলেন।
পর্যটক জহির রায়হান বলেন, সাগরে পাড়ে দাঁড়িয়ে মৃদু বাতাস আর সৈকতে উন্মুক্ত মঞ্চে সংঙ্গীত উপভোগ করব এটা ভাগ্যের ব্যাপার। দেখলাম স্থানীয় রাখাইন শিল্পীদের নৃত্য। সারাদিন বন্ধুদের নিয়ে ঘোড়াঘুড়ি ক্লান্তি যেনো এখানেই শেষ হয়েছে।
আনুষ্ঠান শেষে ঢাকার শিল্পী নওমি আক্তারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, একদিকে সমুদ্রের নির্মল বাতাস। আর মাথার উপরে চাঁদের আলো। সৈকতে দাঁড়ানো এতে পর্যটকের সামনে পারফর্ম করা এই প্রথম। ভালই লেগেছে। তবে দেশে বিভিন্ন এলাকায় গান করেছি। ছোট নকুল নামের তাপস মজুমদার বলেন, নকুল কুমার বিশ্বাস একজন গায়ক। গান লেখেন, সুর করেন। তারই গান মত গান গাওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি দর্শক ও শ্রোতারা মুগ্ধ হয়েছে।
কুয়াকাটার শিল্পী গোষ্টির পরিচালক হোসাইন আমির বলেন, পর্যটকদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে স্থানীয় রাখাইন শিল্পীরাও এ উন্মুক্ত মঞ্চে নৃত্য করেছে। এছাড়া অনুষ্ঠানের শুরু থেকে আমাদের শিল্পীর পাশপাশি দেশের বিভিন্ন শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেছেন। আশা করি ২৬ মার্চ পর্যন্ত সুন্দর ও শান্তি পূর্নপরিবেশের মধ্যে অনুষ্ঠান সম্পন করতে পারবো।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জেলা পুলিশ ও কুয়াকাটা পৌরসভার উদ্যোগে বালু ভাস্কর্য লাগোয়া সৈকতের নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চে টানা ১০ দিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক আনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠান চলবে ২৬ মার্চ পর্যন্ত বলে তিনি জানিয়েছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. সোহরাব হোসেন বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ সর্বদা পর্যটকদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া সৈকতের নির্মিত বালু ভাস্কর্য সহ পর্যটন স্পট গুলেতে পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে।
]]>সোমবার দুপুর ২টায় পুলিশ সুপার ভাস্কর্যটি নির্মাণ কাজ তদারকি সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে ভাস্কর্যের ইতিবৃত্তীয় উপস্থাপন করেছেন। তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালন উপলক্ষে ১৭ মার্চ এ ভাস্কর্যটি অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার পটভূমি এবং দেশত্ববোধক গান দিয়ে সাজানো হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।এছাড়া ভাস্কর্যটি আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত পর্যটকসহ স্থানীয়দের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান,ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের ইনচার্জ সিনিয়র পুলিশ সুপার সোহরাব হোসন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কলাপাড়া সার্কেল) আহম্মেদ আলী, কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান,মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামানসহ জেলা ও থানার পুলিশের কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পটুয়াখালী জেলা পুলিশের উদ্দ্যোগে নির্মিত এ বালু ভাস্কর্যটি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস এবং জন্মশতবর্ষ উদযাপনে কুয়াকাটা সৈকতে নির্মাণ করা হয়েছে। সৈকতে জিরো পয়েন্টের কোলঘেষে পূর্বপাশে প্রায় ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮ ফুট প্রশস্ত এ ভাস্কর্যে রয়েছে ১৯৫২’র ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা, ৬৯ এর গণআন্দোলন ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।
খুলনা ও রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ৬ শিক্ষার্থী গত ৯ মার্চ মঙ্গলবার থেকে দিন-রাত পরিশ্রম করে ইতিমধ্যে বালু দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন বালুর ভাস্কর্যটি।
]]>