বরিশাল নগরীর একটি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীকে ক্লাসরুমে রেখেই ফটক তালাবদ্ধ করার ঘটনা ঘটেছে। তাদের কান্নার শব্দে বিষয়টি জানাজানি হলে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাটি বুধবারের হলেও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে এটি জানাজানি হয়। ঘটনা তদন্তে কমিটি করা হবে বলে জানান কর্মকর্তারা।
নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুদঘাটা এলাকায় অবস্থিত ইন্দকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে মারজান শিকদার ও নুসরাত জাহান মুনমুন।
মারজানের মা শিরিন আক্তার আঁখি জানান, বুধবার স্কুল ছুটির সময় বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শিক্ষক মাকসুদা বেগম মারজান ও মুনমুনকে অঙ্ক করতে বলেন। তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাড়ি যাওয়া যাবে না বলে শাসান। তবে তাদের বসিয়ে রেখে শিক্ষক বাড়ি চলে যান। প্রধান শিক্ষকসহ অন্যরাও স্কুল থেকে বের হয়ে যান। ওই দুই শিশু তখনও ক্লাসরুমে বসে অঙ্ক করছিল। তাদের খেয়াল না করেই দপ্তরি স্কুলের ফটক তালা মেরে চলে যান।
শিরিন আরও জানান, অঙ্ক শেষ করে বের হয়ে গেট বন্ধ পেয়ে শিশুরা চিৎকার করে কাঁদতে থাকে। প্রায় ১ ঘণ্টা পর সেই শব্দ শুনে স্থানীয় একজন বিষয়টি টের পান। বাইরে থেকে ডাকাডাকি করলে মারজান তাকে বাবার মোবাইল ফোনের নম্বর জানায়। কল পেয়ে শিরিন সেখানে যান।
শিরিন বলেন, ‘দৌড়ে আমি স্কুলের দপ্তরি ইমরানের বাড়ি যাই, কিন্তু ইমরান রেগে গিয়ে আমাকে অপমান করে। অনেক বলার পর সে গিয়ে স্কুলের গেট খুলে দেয়। এরই মধ্যে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে আমার বাচ্চা ও আরেক বাচ্চাটিকে উদ্ধার করা হয়। বাচ্চাদের বের করে দিয়ে জনরোষ থেকে বাঁচতে ইমরান ভেতরে ঢুকে নিজেকে তালাবদ্ধ করে রাখে।’
এ ঘটনায় মারজান খুবই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বলে জানান শিরিন। রাতে শিশুটির জ্বর চলে আসে বলেও তিনি জানান।
স্কুল ছুটির প্রায় ১ ঘণ্টা পরও বাচ্চা ফিরে না আসায় কেন খোঁজ নেননি? এ প্রশ্নে শিরিন জানান, স্কুল শেষে প্রায়ই বাচ্চারা এদিক-সেদিক খেলতে যায়। সেদিনও খেলতে গিয়েছিল বলে তিনি ভেবেছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক তানিয়া সুলতানার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
স্কুল পরিদর্শন শেষে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ মজুমদার বলেন, ‘এটি একটি গর্হিত কাজ হয়েছে। সরেজমিন জানতে বৃহস্পতিবারই স্কুল পরিদর্শন করেছি। সেই সঙ্গে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশও দিয়েছি। রোববারের মধ্যেই এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে চাকুরি বিধিমালা অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
]]>ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত ৩ টায় উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের গাজীপুর এলাকায়। নিখোঁজ জেলে ঐ এলাকার ইসমাইল খানের ছেলে মাসুম খান (৩০)। আহত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন (২৫)। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে নিখোঁজের উদ্ধার কাজে নেমেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায়, প্রতিদিনের ন্যায় রাতে নৌকা নিয়ে নদীতে ইলিশ শিকারে যায় জেলে মাসুম খান ও দেলোয়ার হোসেন। তারা নদীতে জাল ফেলে নৌকা নোঙ্গর করে ঘুমিয়েছিলো। রাত তিনটার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পয়সারহাটগামী ৩-৪ টি লঞ্চ আড়িয়াল খাঁ নদী থেকে যায়।
ঐ সময় যে কোন একটি লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাসহ ডুবে যায় তারা। তবে নির্দিষ্ট কোন লঞ্চের নাম বলতে পারেনি কেউ। বরিশাল নদী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এর স্টেশন অফিসার মো. খোরশেদ আলম জানায়, বৈঠার সাথে বাঁধা জেলে নৌকাটি রাতের যেকোনো সময় নদীর মধ্যে চলে আসে।
এসময় পয়সারহাটগামী লঞ্চের ধাক্কায় জেলে নৌকাটি ডুবে যায়। নিখোঁজ জেলে মাসুম খানকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
]]>নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, বুধবার বেলা ১১টার দিকে হিজলা উপজেলার হিজলা-গৌরবদী ইউনিয়নের বিশর গ্রামে কাঞ্চন রাঢ়ির ছাগল পার্শ্ববর্তী সিরাজ তালুকদারের জমির ইরি ধানের বীজতলার গাছ খেয়ে ফেলে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সিরাজ তালুকদার ছাগলটি ধরে মারধর করে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি এবং পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে কাঞ্চন রাঢ়িকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সেখান থেকে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ তার মৃত্যু ঘটে। স্বজনরা এর বিচার দাবী করেছেন।
হিজলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইউনুস মিয়া জানান, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তারে অভিযান এবং মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
]]>]]>
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন কুরআন শিক্ষা বোর্ডের বিভাগীয় সমন্বয়কারী মুফতি মাও: মো. শাহ আলম কাসেমী। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুরআন শিক্ষা বোর্ডের সিনিয়র সহ সভাপতি মাও: হাফেজ মো. ইব্রাহীম, জেলা মুজাহিদ কমিটির সভাপতি মাও: রফিকুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক মাস্টার মো: মাহবুব উল হক মানিক।
উপস্থিত ছিলেন কুরআন শিক্ষা বোর্ডের জেলা ও থানার নেতৃবৃন্দ।
পরে মাও: নুরুল হককে সভাপতি, মাস্টার নুরুল হক মিঞাকে সেক্রেটারী ও এস এম রফিকুজ্জামানকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে আগামী (২০২১-২০২৩) দুই বছরের জন্য নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি বাকি ২৬ টি পদের দ্বায়িত্বশীল নির্বাচন করবেন।
]]>সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কীর্তণখোলার নগরীর প্রান্তের দপদপিয়া সেতু থেকে ত্রিশ গোডাউন পর্যন্ত নির্মানাধীন নগর রক্ষা বাঁধের অসংখ্য জায়গায় ব্লক তুলে গভীর করে মাটি কেটে নেয়া হয়েছে। এমনকি মাটি কেটে নেয়ায় একাধিক পয়েন্টে জোয়ারের পানি ঢুকে গভীর চ্যানেলের সৃষ্টি হয়। নগরীর ১২ ওয়ার্ডের ওই অংশটিতে কোন বসতি নেই। বাঁধের মধ্যে নদীর অংশ পড়ার অভিযোগে ২০১৬ সালে পরিবেশ বাদী আইনজীবী মনজিল মোর্সেদের করা রিটের প্রেক্ষিতে উচ্চাদালত নগররক্ষা বাঁধ নির্মান কাজটি কয়েকবছর যাবত স্থগিত রয়েছে।
ওই এলাকার নৌকার মাঝি আব্দুল ওহাব জানান, প্রতিদিন ভোরের আলো ফোটার আগে একদল লোক এসে মাটিকেটে নৌকায় নিয়ে যান। ইটভাটায় ওই মাটি বিক্রি করা হয় বলে শুনেছেন। ব্লকগুলোও নৌকায় নিয়ে যায় ওই লোকগুলো। স্থানীয় সকলে বিষয়টি জানলেও ঝামেলা এড়াতে কেউ এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করেন না।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ জানায়, ২০১৬ সালের শুরুর দিকে নগর রক্ষাবাধ নির্মানের জন্য সরকার ৩০ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়। যার মধ্যে ২৪ কোটি টাকায় রক্ষাবাধ ও বাকি ৬ কোটি টাকায় বাধের উপরের সড়ক নির্মান করার কথা ছিল। এই কাজের একাংশের কাজ সম্পন্ন হলেও বিপত্তি দেখাদেয় বধ্যভুমি এলাকার সাগরদী খাল থেকে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতু পর্যন্ত এক কিলোমিটার কাজে। এখানে ঠিকাদার কীর্তনখোলা নদীর প্রায় ৪০ থেকে ৫০ ফুট ভরাট করে নগর রক্ষাবাধ নির্মানের অভিযোগ ঊঠলে তা আদালতে গড়ায়। ফলে ওই অংশের কাজ মাঝ পথে আটকে যায়। ফলে পরিত্যক্ত ওই বাধের ব্লক ও মাটি কেটে নিয়ে বিক্রি করছে একটি মহল।
বাধের মাটি কাটার পর তা ইট ভাটায় বিক্রির বিষয়ে মিনা ইটভাটার মালিক সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি বিভিন্ন এলাকায় রেকর্ডিয় জমি কিনে সেখান থেকে ইটভাটার জন্য মাটি আনেন। তার ভাটার মাটি সংগ্রহ এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে বলে জানান সৈয়দ সিরাজুল। তিনি বলেন, কীর্তণখোলার পূবাংশে অসংখ্য ইটভাটা। তাদের মধ্যে কেউ না কেউ চুরি করা মাটি ক্রয় করে। ফুজি ইটভাটার সাবেক ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমানও ইটভাটায় বাধের মাটি ব্যবহারের অস্বীকার করে বলেন, তাদের ভাটাটি এবছর জনৈক নুর হোসেন নামক এক ব্যক্তির কাছে ভাড়া দেয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী দিপক রঞ্জন দাস এ প্রসঙ্গে বলেন, ত্রিশগোডাউন সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদী নগর রক্ষায় ব্লক ফেলে যে বাধ দেয়া হচ্ছিল তার একাংশ সিটি করপোরেশন এবং বাকি অংশ পাউবো বাস্তবায়ন করছে। যেসব স্থান থেকে ব্লক তুলে নেয়া হচ্ছে তা পাউবোর আওতায় কি-না খোঁজখবর নিয়ে তাকে জানতে হবে।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো : ফারুক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে কোন কোন স্থানের ব্লক ও মাটি কাটা হচ্ছে তার খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
]]>পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কে লেবুখালী ফেরিঘাটের পায়রা সেতু উদ্বোধনীতে সকালে সেতু স্থলে মানুষের ঢল নেমেছে। উদ্বোধন উপলক্ষে সেতু ও সেতু এলাকা সেজেছে ব্যানার ফেস্টুন, লাল সবুজ বাতি ও বাহারি রং এর পতাকায়। এর ফলে এই সেতু দিয়ে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল শুরু হবে এবং দক্ষিণাঞ্চলের নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। উদ্বোধন ঘোষণার পর পায়রা সেতু এলাকায় সাধারণের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। পায়রা সেতুটি উদ্বোধনের ফলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব হয়েছে।
এসময় পটুয়াখালী প্রান্তে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সাইফুল হাসান বাদল, পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. শাহজাহান মিয়া। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পানী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকী, পটুয়াখালী -২ আসনের সংসদ সদস্য আ.স.ম ফিরোজ এমপি, পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস,এম শাহাজাদা, পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মহিববুর রহমান মহিব, সংরক্ষিত মাহিলা আসনের সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরেনিয়াবাদ সাদিক আব্দুল্লাহ, বরিশাল ও বরগুনা জেলার বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্যগন, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি, বরিশালের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, শেখ হাসিনা সেনানিসাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগসহ অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্টরা।
বরিশাল-পটুয়াখালী মহা সড়কের পায়রা নদীর উপর ২০১৬ সালে লেবুখালী-পায়রা সেতুর নির্মান কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ইতিমধ্যে মূল সেতুর শত ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া নদীর তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এই সেতুতে বেশ কিছু নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশেষ করে নদীর মধ্যে এবং পাশে থাকা পিয়ারে যাতে কোন নৌ যান ধাক্কা দিতে না পারে সে জন্য পিয়ারের পাশে নিরাপত্ত পিলার স্থাপন করা হচ্ছে। এ ছাড়া বজ্রপাত কিংবা ভূমিকম্পের মত প্রাকৃতিক দূর্যোগে সেতুর কোন ক্ষতি হলো কিনা সেটি মনিটরিং করারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
চীনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘লনজিয়ান রোড এন্ড ব্রীজ কনেস্টাকশন’ এর নির্মান কাজ সম্পন্ন করেছে। ১৪৭০ মিটার দৈঘ্য এবং ১৯.৭৬ মিটার প্রান্তে এই ব্রীজটি ক্যাবল দিয়ে দুই পাশে সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে নদীর মাঝ খানে একটি মাত্র পিলার ব্যবহার করা হয়েছে।
চট্টগগ্রামের কর্নফুলীর ব্রিজের আদলে নির্মিত দেশের ২য় তম ব্রীজ যা এক্সক্টা ডোজ ক্যাবেল সিস্টেম এ তৈরী করা। কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভলপমেন্ট, ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ বিনিয়োগে ব্রিজের নির্মান ব্যায় ধরা হয়েছে প্রায় ১৫শ কোটি টাকা।
]]>
এরপর থেকেই অন্যের বাড়ির বারান্দায় ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। প্রায় ২মাস আগে বিদ্যালয়ের ভবনটি নদীতে বিলীন হয়ে যায় বলে জানান বিদ্যালয় সভাপতি জুয়েল শরমান। তিনি বলেন, নদীর ভাঙ্গনে শতাধিক শিক্ষার্থীর ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় আমি আমার বাড়ির বারান্দায় পাঠদানের ব্যবস্থা করি।
বিদ্যালয়টি ১৯৪৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ১০০শিক্ষার্থী ও চার জন শিক্ষক রয়েছেন।এক সঙ্গে তিন শ্রেণির ক্লাস নেন শিক্ষকরা। এতে ক্লাসে মনোযোগী হতে পারে না শিক্ষার্থীরা।
অন্য ক্লাসের শব্দ আসে, স্যারের কথা বুঝতেও কষ্ট হয় তাদের।
সহকারী শিক্ষক রাবেয়া খানম বলেন, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হারও দিনদিন কমে যাচ্ছে। নিজস্ব ভবন না থাকায় এবং নদীর ভাঙ্গনে পরিবার স্থানান্তরিত হওয়ায় দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের ভাগ্যে এক ধরনের অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট নতুন ভবন দাবি করছেন।
]]>পায়রা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল হালিম জানান, এরই মধ্যে সেতুর সব কাজ শেষ হয়েছে। এখন সেতু উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে ওই দিনই সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে।
দখিনের মানুষের স্বপ্নের এই পায়রা সেতু চালু হলে বরিশাল থেকে কুয়াকাটা যেতে আর ফেরীর দুর্ভোগ পোহাতে হবেনা। আগে যেখানে বরিশাল থেকে কুয়াকাটা যেতে সময় লাগতো ৬ থেকে ৮ ঘন্টা। আর পায়রা সেতু চালু হলে সেখানে সময় লাগবে মাত্র ৩ থেকে ৪ ঘন্টা। এই ফেরীবিহীন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হলে কুয়াকাটা সমুদ্র বন্দর ও পর্যটন কেন্দ্রের এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে। সেই সাথে দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবসা-বানিজ্যের দ্বার উম্মোচন হবে। ইতোমধ্যে পায়রা সেতুকে কেন্দ্র করে দক্ষিণাঞ্চলে সরকারের বেশ কিছু মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে।
পায়রা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল হালিম বলেন, এই সেতু খুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে দেশের সর্ব দক্ষিণে কুয়াকাটা পর্যন্ত ফেরিবিহীন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হবে। যা বর্তমান সরকারের একটি নতুন মাইলফলক। তিনি বলেন, পায়রা সেতুর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৪শ’ ৭০ মিটার এবং প্রস্থ ১৯.৭৬ মিটার। এটি ফোরলেন বিশিষ্ট সেতু।
২০০ মিটার করে দেশের দীর্ঘতম দুটি স্প্যান বসানো হয়েছে পায়রা সেতুতে। নদীর তলদেশে বসানো হয়েছে ১৩০ মিটার দীর্ঘ পাইল। যা দেশের সর্ববৃহৎ। যার ওপর দিয়েই চলাচল করতে পারবে সব ধরনের যানবাহন। সেতুতে যানাবাহন চলাচলে দিতে হবে টোল। বিদ্যুতের আলোয় রাতে নৈসর্গিক দৃশ্যের অবতারনা হয় পায়রা সেতুতে।
২০১৩ সালের ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পায়রা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন। লেবুখালীর পায়রা নদীর উপর সব শেষ সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই। কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভলপমেন্ট (কেএফএইডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্টের (ওএফআইডি) যৌথ অর্থায়নে ১ হাজার ৪শ’ ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণের দায়িত্ব পায় চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লংজিয়ান রোড এন্ড ব্রীজ কোম্পানী লিমিটেড।
কার্যাদেশে সেতু নির্মাণে ৩৩ মাস সময় বেঁধে দেয়া হলেও দুই দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ের আগেই যান চলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে।
]]>