image-sizes
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/barishaldorpon/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114গত ৪ অক্টোবর থেকে মা ইলিশের বাঁধাহীন প্রজননের জন্য নদী-নদী ও সাগরে মাছ শিকার বন্ধ ঘোষনা করে সরকার। এসময় ইলিশ পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ ছিলো। তবে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে সরকারী প্রনোদণা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন মৎস্য সংশ্লিষ্টরা।
একাধিক মৎস্য জীবীরা জানান, মা ইলিশ রক্ষায় সাগর ও নদীতে মাছ শিকার করেনি জেলেরা। এ বছর ভরা মৌসুমে তেমন মাছ ধরা পড়েনি। তবে নতুন করে স্বপ্ন পুরনে ইতোমধ্যে ট্রলার, নৌকা মেরামত শেষে নতুন সুতায় বুনোন করে ফের সাগরে মুখি অপেক্ষায় মৎস্য আহরনকারীরা।
কুয়াকাটা আলীপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, দীর্ঘ ২২ দিন জেলেদের কষ্টে কেটেছে। তবুও তারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকারে যায়নি। আশা করছি জেলেরা ইলিশ শিকার করে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপুসাহা বলেন, এ উপজেলায় জেলেরা খুবই সচেতন। তারা শতভাগ নিষেধাজ্ঞা মেনেছে। এছাড়া নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ১৮ হাজার ৩’শ জেলেদের মাঝে সরকারী প্রনোদণা দেয়া হয়েছে। ইলিশ রক্ষা অভিযান শতভাগ সফল হয়েছে। আজ সোমবার মধ্যরাত থেকে জেলেরো সাগরে যাত্রা করতে পারবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
]]>মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কদমতলা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, ইউপি সদস্য আল মামুন, কদমতলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চুন্নু, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য বদিউজ্জামান খান ও ফারুক হোসেন।
ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিপুল ভোটে নির্বাচিত কদমতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ শিহাব হোসেনকে ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে ভোটে পরাজিত একটি মহল। একজন চেয়ারম্যানের একটি ইউনিয়নে অনেক কাজ, চেয়ারম্যান ছাড়া ইউনিয়নে জণগন তাদের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই অবিলম্বে চেয়ারম্যান শেখ শিহাব হোসেনকে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে মুক্তি দিতে হবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে শেখ শিহাব হোসেন একটি মামলায় পিরোজপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ নং আমলি আদালতের বিচারক মো: ইকবাল মাসুদ জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
]]>এসময় ইট দিয়ে থেতলে দেয়া হয়েছে ওই গৃহবধুর স্বামী হারুন হাওলাদার (৫৫) এবং ছেলে হানিফ হাওলাদার (২৮)কে। বৃহষ্পতিবার রাতে উপজেলার লতাচাপলী ইউপির আলীপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতেই রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
হাসপাতালে শয্যায় আহত গৃহবধু অভিযোগ করে জানান, কলইয়াপাড়া গ্রামের বেড়িবাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পে চায়না কোম্পানির কাছে মাটি বিক্রি করেন তার স্বামী হারুন হাওলাদার। তার কাছে মোটা অংকের চাঁদার টাকা দাবি করে স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী সোহেল।
দাবি অনুযায়ী টাকা কম দেয়ায় প্রথম ধাপে হারুনের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ইট দিয়ে থেতলে দেয় সোহেল ফকির (২৮) ও ছালাম ফকির (২৭)। খবর শুনে গৃহবধু তার সন্তানকে নিয়ে স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাদের উপরও হামলা চালায় সন্ত্রসীরা । এসময় গৃহবধুকে নির্যাতন শেষে ডান হাতের আঙ্গুল কামড়ে ছিড়ে নেয় সোহেল।
মহিপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, ঘটনাটি শুনেছি। কোন অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযুক্ত সোহেলের নামে একাধিক মামলা রয়েছে।
]]>আর স্থানীয়রা বলছেন নদীর মধ্যে দখলের এমন দৃশ্য আগে কখনোই দেখেননি তারা। উপজেলার মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউপির পূর্ব আলীপুর ট্রলার মেরামতের পোতাশ্রয় (ডগ) সংলগ্ন শিববাড়িয়া নদী দখল করে তোলা হয়েছে বালু ব্যবসার ঘাট। দখলকৃত নদী ইতোমধ্যে এক পরিবহন ব্যবসায়ীর কাছে ১ লাখ টাকার বিনিময়ে ভাড়া দিয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি বেল্লাল কোম্পানী ।
তার দাবী ভূমি বন্দবস্ত পাওয়া মালিক পক্ষের কাছ থেকে ক্রয়সূত্রে নদীর ওই অংশের মালিক এখন তিনি। স্থানীয় জেলেদের অভিযোগ প্রভাবশালী বেল্লাল কোম্পানির ডগের পাশেই এই নদী দখল করে ভাড়া দিয়েছেন তিনি। এতে নদীর পানির স্বাভাবিক প্রবাহে বাঁধাগ্রস্থসহ মাছ ধরা ট্রলারসমূহ যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে নদীর ওই অংশ দিয়ে ২ থেকে তিনটি ট্রলারই চলাচল করতে পারছে না।
এবিষয়ে নদীর অংশ ভাড়া নেয়া হিমি পরিবহনের মালিক জাকির হোসেন’র কাছে জানতে চাইলে তিনি মদ্যপ অবস্থায় সংবাদকর্মীদের সামনে হাজির হয়ে জানান, ‘আই ডোন্ট কেয়ার’। এ জমি আমি বেল্লাল কোম্পানীর কাছ থেকে এক লাখ টাকায় ভাড়া নিছি।
আমারে কি ফাঁসি দেবে। এদিকে বন্দবস্ত পাওয়া মালিক থেকে ক্রয়সূত্রে নদী অংশের দাবীদার বেল্লাল কোম্পানীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা এইখানে আইছেন ক্যা। আপনাদের কি কাগজ আছে। ফাজিল সাংবাদিকের গুষ্টি।
অপরদিকে মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহকারী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান দখলের সত্যতা স্বীকার করে জানান, ওরা বন্দবস্ত পেয়েছে। তবে নদীর মধ্যে অন্তত বিশ ফুট দখল করেছে। কিভাবে নদীর মধ্যে বন্দবস্ত পেয়েছে তা আমি জানি না।
কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎবন্ধু মন্ডল জানান, ওইখানে আমাদের মহিপুর ভূমি অফিসের তহশিলদারসহ লোকজন গিয়েছিলো। দখলদারদের এক দিনের মধ্যে নদীর অংশ ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। তবে স্থানীয়রা জানান, দুই দিনেও দখল অবমুক্ত করা হয়নি।
]]>বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের সভাকক্ষে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার হিসেবে ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারের হাতে সম্মাননা স্মারক ও সনদ তুলে দেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি এস,এম আক্তারুজ্জামান।
এর আগে, গত বছরের জুলাই মাসে তিনি বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার হিসেবে নির্বাচিত হন।
ভোলা জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, অপরাধ দমন, মাদক উদ্ধার, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় সরকার মোহাম্মদ কায়সারকে বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠ এসপি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কর্মদক্ষতা ও পুলিশি কার্যক্রমের সাফল্যের বিবেচনায় পাঁচটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হয়, যার মধ্যে ভোলা জেলা পুলিশ চারটি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন।
বাকিরা হলেন- ভোলা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মহসিন আল ফারুককে বরিশাল রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ সার্কেল অফিসার, ভোলা ট্রাফিক বিভাগকে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক বিভাগ এবং ভোলা সদর মডেল থানার এসআই (নিঃ) মোঃ জসিম উদ্দিনকে বরিশাল রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি এ.কে.এম এহসান উল্লাহসহ বিভাগের সকল জেলার পুলিশ সুপার এবং রেঞ্জ অফিসের সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
]]>৭২টি প্লাস্টিকের ড্রামের উপর কাঠের পাটাতন করে এটি নির্মান করা হয়। প্রায় ১১৬ মিটার দৈর্ঘ্যের এবং চার ফুট প্রস্থের ভাসমান সেতুটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে এর উপর দিয়ে পণ্যবাহী ভ্যান চলাচল করতে পারবে। এছাড়া ড্রামগুলি এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যে, ভারসাম্য রক্ষা করতে পারবে। এতে প্রায় আড়াই লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় পাখিমার খালের উপর ১১৬ মিটার দীর্ঘ আয়রন ব্রিজ নির্মাণ করে। এরপর গত ২০২০ সালে ৬ আগস্ট রাতে হঠাৎ ভেঙে খালে তলিয়ে যায়।
ফলে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সবজির গ্রাম খ্যাত মজিদপুর, এলেমপুর, কুমিরমারাসহ আশপাশের গ্রমের কৃষকদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজার জাত করা একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর গ্রামবাসীর অর্থায়নে এবং স্বেচ্ছাশ্রমে ভাসমান এ সেতু নির্মাণ করে। কৃষকসহ স্থানীয়দের পারাপারে কাঠের ভাসমান সেতুটি এক মাত্র ভরসা। তবে তাদের দাবী এ খালের উপর একটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের।
কুমিরমারা গ্রামের বাসিন্দা মো.নুরুল আমিন গাজী বলেন, আয়রন ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার পর অন্তত ১০-১২ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়।
‘কোনো উপায় না পেয়ে নিজেদের সংগঠন ‘আদর্শ কৃষক সমবায় সমিতি’র সদস্যরা জোট বেধে নিজেদের অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। গ্রামবাসীদের অর্থ ব্যয় করে এ ভাসমান সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।
স্থানীয় শিক্ষক চিন্ময় সরকার বলেন, প্রায় সহ¯্রাধিক সবজি চাষিরা বছরব্যাপী উৎপাদিত মৌসুমি শাক-সবজি বাজারজাত করতে একমাত্র পথ। ভাসমান সেতুর কারণে পাখিমারা খালের পূর্ব পাড়ের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হয়েছে। এছাড়া সকল শ্রেণি পেশার মানুষের যাতায়াত এখন অনেক সহজ হয়েছে।
এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী মোহর আলী বলেন, ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় সেখানে গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণ করা হবে।
]]>
সরকারের নদী শ্রেনীর বিপুল পরিমান এ জমি স্থানীয় ভূমি অফিস ম্যানেজ করে ভুয়া বন্দোবস্ত কেস, এসএ খতিয়ান, দাগ, সহিমোহর পর্চা, নাম সংশোধন, বিএস ও ডিপি খতিয়ান সৃষ্টি করে চক্রটি। যার ৪৬ বছরের ভূমি উন্নয়ন কর একত্রে নিয়ে খাজনা দাখিলা দেয় তহশিলদার। এবং যাচাই বাছাই ছাড়াই দু’টি সাব কবলা দলিল রেজিষ্ট্রী করেন সাব রেজিষ্ট্রার। এভাবে রাষ্ট্রীয় ভূ-সম্পত্তি বেহাত হলেও অদ্যবধি পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, দেশের প্রসিদ্ধ ইলিশ প্রজনন স্থল আন্ধারমানিক নদীর মধ্যে ডুবোচর জেগে ওঠে বেশ কয়েক বছর আগে। এতে লোলুপ দৃষ্টি পড়ে স্থানীয় একটি সংঘবদ্ধ জালিয়াত চক্রের। চক্রটি ভূমি অফিসের যোগসাজশে ভুয়া সেটেলমেন্ট কেস ৪৪কে/৫২-৫৩ ও ৫০কে/৬৬-৬৭’র বিপরীতে সাড়ে সাত একর জমির বন্দোবস্ত কাগজ তৈরী করে উপজেলার তুলাতলি গ্রামের মোন্তাজ উদ্দীন মৃধা’র কন্যা, মৃত উমর আলী খান’র স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন’র নামে।
যার তফসিল, কলাপাড়াধীন ২৩ নং সোনাতলা মৌজা, এসএ-৫৯১/১ নং খতিয়ান, বার্ষিক খাজনা মং ২৮/৫০ পয়সা, দাগ নং- ১৭৬/১১৮৬ ও ১১৮৭, মোট জমি ৭.৫০ একর, যা সোনাতলা মৌজার এসএ ২ নং সিটভূক্ত আন্ধারমানিক নদীর এসএ ১১৮৬/১১৮৭ দাগ। যার বিপরীতে সৃষ্টি করা হয় ৩৯২২ ও ৩৯২৩ বিএস দাগ।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, কলাপাড়া সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসে খাস খতিয়ানের রেজিষ্ট্রারে এসএ ৫৯১/১ খতিয়ান ও ১৭৬/ ১১৮৬ ও ১১৮৭ দাগের অস্তিত্ব নেই। কিন্তু সার্ভেয়ার শাখার বন্দোবস্ত কেস খতিয়ানের রেজিষ্ট্রারের মাঝ বরাবর সোনাতলা মৌজার শুরুতে সাদা কাগজ আঠা দিয়ে লাগিয়ে আম্বিয়া খাতুন’র নামে অবিকল এসএ ৫৯১/১ খতিয়ান ও ১৭৬/ ১১৮৬ ও ১১৮৭ দাগ’র অস্তিত্ব রয়েছে। এছাড়া পটুয়াখালী কালেক্টরেট অফিসের রেকর্ড রুম শাখা’র দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: মাহবুবুল ইসলাম’র স্বাক্ষর জাল করে ১১-১০-১৮ তারিখ লেখা সহিমোহর পর্চা সৃষ্টি করা হয়েছে। এবং দিয়ারা সেটেলমেন্ট অপারেশন, বরিশাল’র আপত্তি অফিসার মো: মনিরুল ইসলাম’র স্বাক্ষর জাল করে সৃষ্ট ২৫-০৯-০৭ তারিখ লেখা বিএস হাত পর্চা সৃষ্টি করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা মোসা: তানিয়া আক্তার মুক্তা ০৮-০৫-১৯ তারিখ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রসিদ (জি-১৬৪৪৩০) এ ১৩৭৯ থেকে ১৪২৫ পর্যন্ত ৪৬ বছরের ভূমি উন্নয়ন কর একত্রে নিয়ে আম্বিয়া খাতুন’র নামে খাজনা দাখিলা প্রদান করেন। যার প্রেক্ষিতে ০৯-০৫-১৯ তারিখ দলিল লেখক আবদুল্লাহ আল মামুন (সনদ নং ৬৮৪) ২০৫২/১৯ নং মো: রফিকুল ইসলাম (সনদ নং ০৮) ২০৫৩/১৯ আন্ধারমানিক নদীর ডুবোচরের ওই জমি পৃথক দু’টি সাব কবলা দলিল লিখে রেজিষ্ট্রী সম্পাদন করেন। উল্লিখিত দলিলের দাতা আম্বিয়া খাতুন এবং গ্রহীতা ওয়াই কে জেড কনষ্ট্রাকশন সলিউশন লি:, পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান আহমেদ।
কলাপাড়া ভূমি অফিসের নাজির মিহির কুমার বলেন, ’ভূমি অফিসের ১নং রেজিষ্ট্রারে এসএ ৫৯১/১ খতিয়ান ও ১৭৬/ ১১৮৬ ও ১১৮৭’র কোন অস্তিত্ব নেই।’ সার্ভেয়ার মো: হুমায়ুন কবির বলেন, ’আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।’
পটুয়াখালী রেকর্ড শাখা’র দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ডিপ্লোমেসি চাকমা বলেন, ’রেকর্ড শাখায় এ খতিয়ান ও দাগের কোন অস্তিত্ব নেই। রেকর্ড শাখা থেকে এ ধরনের কোন সহিমোহর পর্চা সরবরাহ করা হয়নি।’
বরিশাল সেটেলমেন্ট অফিসের চার্জ অফিসার সুখেন্দ্র শেখর সরকার বলেন, উল্লিখিত বিএস খতিয়ান ও ডিপি সঠিক নয়।’
এ বিষয়ে নীলগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোসা: তানিয়া আক্তার মুক্তা বলেন, ’অফিস রেজিষ্ট্রারে সোনাতলা মৌজার এসএ ৫৯১/১ খতিয়ান ও ১৭৬/ ১১৮৬ ও ১১৮৭ দাগ’র কোন অস্তিত্ব নেই। অনেকেই এসেছিল এটি জানতে, এধরনের কোন খতিয়ান খোলা নাই। এছাড়া খাজনা দাখিলার নম্বর কিংবা কপি না দেখে আমার প্রদত্ত কিনা এ মুহুর্তে বলতে পারছিনা।’ সাব রেজিষ্ট্রার কাওসার খান (বর্তমানে নারায়ন গঞ্জের আড়াই হাজার ষ্টেশনে কর্মরত) বলেন, ’কেউ যদি জাল জালিয়াতি করে সেটি দেখার আমার সুযোগ নেই। তহশিলদার প্রদত্ত খাজনা দাখিলা দেখে আমি রেজিষ্ট্রী করেছি।’
কলাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎ বন্ধু মন্ডল বলেন, ’সংশ্লিষ্ট শাখার সার্ভেয়ার ছুটিতে রয়েছে। বিষয়টি না জেনে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।’ কলাপাড়া ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, ’এটা যদি সঠিক বন্দোবস্ত না হয়ে থাকে তাহলে সাব রেজিষ্ট্রারকে দলিল বাতিল করার জন্য বলা হবে। এছাড়া ভূমি অফিসের কাগজপত্র যাচাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
এদিকে নদীর মধ্যে জেগে ওঠা ডুবোচরের সরকারী খাস জমির বন্দোবস্ত গ্রহীতার ছেলে ইউনুস’র দাবী, চাকামইয়ার হানিফ মেম্বর ও নাচনা পাড়া চৌরাস্তার আক্কাস’র মধ্যস্থতায় জমির দলিল রেজিষ্ট্রীর পর কেবল পাঁচ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে তাদের। দু’একদিন পর আরও পাঁচ লাখ দেয়ার কথা ছিল এবং বাকী চল্লিশ লক্ষ টাকার ব্যাংক চেক ও ষ্ট্যাম্প দেয়া হলেও কোন টাকা পাননি তারা। যার দরুন তার মা আম্বিয়া খাতুন স্ট্রোক করে মারা যান।
প্রসংগত, কুয়াকাটা পর্যটন এলাকা, পায়রা সমুদ্র বন্দর, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শের-ই বাংলা নৌ-ঘাঁটি, সাব মেরিন ল্যান্ডিং ষ্টেশন সহ শিল্প এলাকা গড়ে তুলতে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে জমির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে জালিয়াত চক্র। সরকারী খাস জমি, নদী, খাল দখলের পর এবার জাল জালিয়াতি কাগজে আন্ধারমানিক নদীর ডুবোচর বিক্রীর পরও অদ্যবধি পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
]]>এসব দোকান গুলোতে স্কয়ার এবং বেক্্িরমকো কোম্পানীর জ্বর-সর্দি, কাশির ঔষধের তুলনামূলক বেশী চাহিদা রয়েছে। রোগীরা সাধারনত এ ঔষধ গুলো ক্রয় করেন বেশী।
গত এক মাস ধরে এ ঔষধ গুলোর সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে, ছোট ছোট ঔষধ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ,বড় বড় দোকান গুলোতে মজুদ থাকার কারনে এমন সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া পৌর শহরের ঔষধ ব্যবসায়ীরা বলেন, দীর্ঘ এক মাস হয় এ কোম্পানীর নাপা গ্রুপ এবং এইচ গ্রুপের ঔষধ গুলো অর্ডার করলেও তা পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ কতিপয় বড় বড় দোকান গুলোতে বিশেষ ব্যাক্তিরা এ ওষুধ পাচ্ছে বলে গ্রাহকদের মধ্যে থেকে এমন অভিযোগ উঠেছে।
ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের সাথে আলাপ করলে তার বলেন, কোম্পানীর সরবরাহ কম। এর ফলে ঔষধের এ সংকট দেখা দিয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্্েরর জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ একমাস ধরে বিভিন্ন রোগ নিয়ে যারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে,তার বেশীর ভাগ রোগী জ্বর নিয়ে আসছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.চিন্ময় হাওলাদার বলেন, জ্বর বিভিন্ন রোগের উপসর্গ হতে পারে। তবে অধিকাংশ রোগী এখন জ্বর নিয়ে আসছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
]]>গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ৪০ জনকে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। জেলায় সংক্রমনের হার শতকরা ৪৫ শতাংশ। এদিকে শুক্রবার রাতে কাউখালীর উজিয়ালখান গ্রামের এক নারী করোনা আক্রন্ত হয়ে মারা গেলে তার স্বজনরা ভয়ে লাশ ধরছে না খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গোসল করিয়ে লাশ দাফন করেন কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা খাতুন রেখা।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, জেলাতে ১১ হাজার ৩০০ নমুনা পরিক্ষা করে ২ হাজার ৯৪৩ জনকে পজেটিভ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ১ হাজার ৭ শত ৬৫ জন সুস্থ্য হয়েছেন এবং ৪৯ জন মারা গেছে। জেলায় ১ হাজার ১২৯ জন করোনায় আক্রান্ত রয়েছেন।
লকডাউনে জেলায় গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চলছে অটোরিক্সা। শহরের বাজার ও বিভিন্ন গ্রাম্য বাজার গুলোতে মানছে না লকডাউন। মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়ক গুলোতে কঠোর লকডাউন পালন করতে গিয়ে বাজারে নজরদারী হারাচ্ছে প্রশাসন এমনটাই অভিযোগ সাধারণ মানুষের।
সদর উপজেলার বিভিন্ন বাজার মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, নেছরাবাদ, কাউখালী, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ব্যাপক সমাগম রয়েছে অনেকেই মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। তবে কঠোর লকডাউন পালনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালতে ব্যাপক মামলা ও জরিমানা করা হচ্ছে বলে দাবী জেলা প্রশাসনের।
সিভিল সার্জন ডা: মো: হাসনাত ইফসুফ জাকী জানান, জেলায় করোনা সংক্রমনের হার অনেকটাই বেশি রয়েছে। পরিবেশ এখনো আমাদেও নিয়ন্ত্রনে আসেনি।
গত ২৪ ঘন্টায় ১০৮ টি নমুনা পরিক্ষা করে ৪০ জনকে পজেটিভ পাওয়া গেছেও রোগীর চাপ অনেক বেশি রয়েছে। জেলা হাসপাতাল ও বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্যকম্পেলেক্সে ৬২ জন রোগী ভর্তি আছে। জেলা হাসপাতালে রোগীদের চাপ রয়েছে তবে আমাদেও সেন্টাল অক্সিজেন সহ পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থা রয়েছে।
]]>