image-sizes
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/barishaldorpon/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনলাইনে ডিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দফতরের কর্মকর্তা ও সকল বিভাগীয় চেয়ারম্যানের অংশগ্রহণে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস জানান, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সারাদেশে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।
এ কারণে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত সশরীরে উপস্থিত হয়ে সকল পরীক্ষা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তবে অনলাইনে ক্লাস, মিডটার্ম পরীক্ষা ও ভাইভা চলমান থাকবে বলে তিনি জানান। কোভিড পরিস্থিতি মোকাবেলায় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন প্রক্টর।
]]>শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা অবস্থায় এ ঘটনা ঘটে।
কোস্টগার্ডের দক্ষিণ জোনের পাথরঘাটা স্টেশনের কোস্টগার্ড সদস্যরা দুপুরে তাদের উদ্ধারের জন্য গভীর সাগরে রওয়ানা দেয়।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, পাথরঘাটা থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে এফবি বিলকিস নামে ট্রলারের জেলেরা মাছ ধরছিল। এমন সময় হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড়ে ঢেউয়ের তোড়ে টলার ডুবে যায়। চার ঘণ্টা পরে ২১ জেলেকে ভাসমান অবস্থায় পার্শ্ববর্তী আরেকটি মাছ ধরার ট্রলারের জেলেরা উদ্ধার করলেও এখন পর্যন্ত তিন জেলেসহ ট্রলারের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ডুবে যাওয়া ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধারের জন্য দুপুরে জিসান নামে একটি ট্রলার নিয়ে সাগরের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশনের কমান্ডার লেফ. ফাহিম শাহরিয়ার বলেন, ট্রলার ও জেলে ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই আমাদের ফোর্স উদ্ধারের জন্য সাগরে গেছে। আশা করছি জেলেদের উদ্ধারে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।
]]>তার সাথে ছিলেন পটুয়াখালী ৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা এমপি, বিআইডব্লিটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক। তাদের আগমনে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ অভ্যর্থনা জানান।
এ সময় পায়রা বন্দর কর্তৃক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর হুমায়ুন কল্লোল, কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎবন্ধু মন্ডল, কলাপাড়া থানার ওসি খন্দকার মোস্তাাফিজুর রহমান সহ পয়রা বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বন্দর কর্তৃপক্ষের আয়োজনে নৈশ ভোজ সভায় অংশগ্রহণ ও বন্দরের ভিআইপি রেস্ট হাউসে রাত্রি যাপন করবেন। শুক্রবার সকালে সড়ক পথে পাশ^বর্তী গলাচিপার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
]]>রধানমন্ত্রীর শুভ উদ্বোধন কার্যক্রম বহুল প্রচারের লক্ষে স্থানীয় ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে বৃহস্পতিবার (১৭জুন) উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে মতবিনিময় করছেন নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুম্পা সিকদার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বিজন কৃষ্ণ খরাতী, নলছিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি এনায়েত করিম,সহ-সভাপতি ইউসুফ আলী তালুকদার,সহ সাধারণ সম্পাদক কেএম সবুজ, সম্মিলিত সাংবাদিক পরিষদের সাধারণত সম্পাদক শরিফুল ইসলাম পলাশসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
নলছিটিতে ২য় পর্যায়ের গৃহসমূহ নির্মানের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরেই গৃহহীনদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা।
]]>আটককৃত সাকিব বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার চরজাহাপুর গ্রামের আব্দুল করিমের পুত্র। স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করার পর মঙ্গলবার দিনভর লাশ উদ্ধারের জন্য তার (সাকিব) পিতা আব্দুল করিমের ভাড়াটিয়া বাসা গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর বন্দর সংলগ্ন হরহর গ্রামে দিনভর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্রধরে গত এক বছর পূর্বে বগুড়া সদর উপজেলার সাপগ্রাম এলাকার আব্দুল লতিফ প্রমানিকের একাদশ শ্রেণী পড়–য়া কন্যা নাজনিন আক্তার (১৯) সাথে বিয়ে হয় বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার নতুন চরজাহাপুর গ্রামের আব্দুল করিম হাওলাদারের পুত্র ও বগুড়া জাহাঙ্গীরাবাদ সেনানিবাসের ঝাড়–দার সাকিব হাওলাদারের।
কলেজ ছাত্রী নাজনিন আক্তারের ভাই আব্দুল আহাদ প্রমাণীক জানান, গত ২৪ মে তার ভগ্নিপতি সাকিব হোসেন হাওলাদার পিতার অসুস্থ্যতার কথা বলে নাজনিন আক্তারকে নিয়ে বরিশালে আসেন। পরবর্তীতে তাদের মুঠো ফোন বন্ধ ও কোন প্রকার যোগাযোগ না থাকায় ২৬ মে বগুরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী ও সেনানিবাসে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
সাধারণ ডায়েরির (জিডি) তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার এসআই গোলাম মোস্তফা জানান, নাজনীন নিখোঁজের বিষয়ে জানতে সোমবার বিকেলে সাকিব হোসেনকে জিজ্ঞাসবাদ করা হয়। এসময় সাকিব হোসেন অসংলগ্ন কথাবার্তা বললে সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে তাকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে স্ত্রী নাজনিন আক্তারকে গৌরনদীর হরহর গ্রামের পিতার ভাড়াটিয়া বাসায় নিয়ে এসে হত্যা করে সেফটি ট্যাংকির মধ্যে লাশ গুমের বিষয়টি স্বীকার করে।
ঘাতক স্বামী সাকিব হাওলাদার জানায়, নিজেকে অবস্থা সম্পন্ন পরিবারের ছেলে পরিচয় দিয়ে নাজনীনকে বিয়ে করেছিলো সে (সাকিব)। ২৪ মে স্ত্রী নাজনীনকে নিয়ে গৌরনদীর বাটাজোর ইউনিয়নের হরহর গ্রামের ভাড়াটিয়া বাসায় আসে। সেখানে এসে স্ত্রী নাজনিন জানতে পারে তার বাবা আব্দুল করিম পেশায় ভ্যান চালক। আর্থিক অবস্থা খুবই নাজুক। এসময় সাকিবের কাছে নাজনীন এসব কথা গোপন করার কারন জানতে চাইলে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে রাগে নাজনীন তার স্বামী সাকিবকে ভিক্ষুকের ছেলে বলে গাল দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নাজনীনের গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে শ^াসরোধ করে নাজনিনকে হত্যা করে সে (সাকিব)। পরবর্তীতে বাবা-মায়ের সহায়তায় ঘরের পেছনে থাকা সেফটি ট্যাংকিতে স্ত্রী নাজনীন আক্তারের লাশ গুম করে আবার বগুড়া ফিরে গিয়ে কর্মস্থলেযোগ দেয়।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি তদন্ত মোঃ তৌহিদুজ্জামান জানান, সাধারণ ডায়েরী ও অভিযোগের সুত্রধরে পুলিশ সাকিব হোসেন হাওলাদারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তার স্ত্রী নাজনিন আক্তারকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের হরহর গ্রামের ভাড়াটিয়া বাসায় নিয়ে হত্যার পর লাশ গুমের বিষয়টি স্বীকার করে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় বগুড়া পুলিশ সেফটি ট্যাংকে পাম্প দিয়ে পানি নিস্কাশন করে। ট্যাংকির মধ্যে লাশের শরীরের বিভিন্ন অংশের চামড়াসহ দুইটি নক এবং পরিধেয় ওড়না উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, সাকিবের পিতা-মাতা পলাতক রয়েছে। এছাড়াও লাশ উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
]]>ওইসব গ্রামে অধিকাংশ মানুষ এখন অনেকটাই জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। ঘূর্নিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭৬টি গ্রাম। এছাড়া পুকুর,মৎস্য ঘের ও ঘর-বাড়ি প্লাবিত হয়েছে ১৪ হাজার ৭১০টি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাবনাবাদ নদীর পানি প্রবেশ করে লালুয়া ইউনিয়নের ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ধানখালী ইউনিয়নের বেরিবাধ ভেঙ্গে ৩ গ্রাম, মহিপুর ইউনেয়নের ৩ গ্রাম ও চম্পাপুর ইউনিয়নের ৪ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঘূর্নিঝড় ইয়াসের প্রভাবে অস্বভাবিক জেয়েরের তোরে আরো বেশ কয়েকটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাঁধটি এখন ঝুঁকিপর্ন হয়ে পারেছে।
জোয়ারের পানির চাপে যেকোন সময় বাঁধটি ছুটে প্লাবিত হতে পাড়ে, এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন স্থানীয়রা। লালুরা ইউনিয়নের চান্দুপাড়া গ্রামের নাজমা বেগম বলেন, গত দুই দিন ধইরর্যা চুলায় মোরা আগুন জ্বালাইতে পারি নাই। সব পানিতে তলাইয়া আছে। ক্যামনে কি খামু হেইয়াই কইতে পারি না। একই গ্রামের সোহরাব গাজী বলেন,মোরা ভাডা জোয়ারের গোন হিসাব কইরর্যা বাড়ি থাহি। মোরা ভাডার সময় বাড়ি আই আবার জোয়ারের সময় আশ্রয় কেন্দ্রে যাই।
কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ধানখালী ইউনিয়নের দেবপুর ৫৪/এ পোল্ডার এলাকায় জোয়ারের পানির তোড়ে ভেঙ্গে গেছে, ধূলাসার ইউনিয়নের ৪৭/৪ পোল্ডারের প্রায় একশত মিটার বিধ্বস্ত হয়েছে,মহিপুর ইউনিয়নের ৪৭/১ পোল্ডারের নিজামপুর ও কমরপুর এই দুই পয়েন্টে বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে,নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গইয়াতলার ৪৬নং পোল্ডারের দুইটি পয়েন্টে প্রায় একশত মিটার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া লালুয়র ইউনিয়নের ৪৭/৫ নং পোল্ডারের ৮ কিলোমিটার বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে সাগরের পানি প্রবেশ করেছে।
কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো.হালিম সালেহহীন জানান, কলাপাড়া উপজেলায় মোট সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস নিয়ন্ত্রন বেড়িবাঁধ পাঁচশত ১৫ কিলোমিটার, ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ ২৩ দশমিক আট কিলোমিটার। এছাড়া কলাপাড়া উপজেলায় বেড়িবাঁধ নেই (উম্মুক্ত) ১৪ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার।ঘূর্নিঝড় ইয়াসে ক্ষতির পরিমান প্রায় তিনকিলোমিটার। বর্তমানে লালুয়র ইউনিয়নের ৪৭/৫ নং পোল্ডারের ৮ কিলোমিটার বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধটি পায়রা পোর্ট কতৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই অংশটুকুর মেরামতের দ্বায়িত্ব তাদের। ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ জরুরী ভিক্তিতে সংস্কারের জন্য আমরা ব্যাবস্থা গ্রহন করছি। স্থায়ী সংস্করের জন্য প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হবে।
কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য উন্নয়ন কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, উপজেলায় ঘূর্নিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ইতোমধ্যেই ১৬শত পুকুর ও দুইশত ৮২টি সাগরের পানিতে প্লাবিত হয়। এর জায়গার পরিমান ছয়শত ১৬ একর । যার আর্থিক ক্ষতির পরিমান প্রায় দুই কোটি টাকা।
কলাপাড়ার মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো.আবদুল কালাম আযাদ জানান, গঙ্গামতি, কুয়াকাটা ও খাজুরা বীটের দুইশতাধিক গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, এ উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় শুকনো খাবার কেনার জন্য ২৫ হাজার করে টাকা, শিশুখাদ্য কেনার জন্য এক লাখ টাকা এবং গো-খাদ্য কেনার জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় হয়েছে। আরো আড়াই লক্ষ টাকা করে দেয়া হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
]]>বুধবার আবহাওয়াবিদ শাহানা সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানলেও বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়বে না।
আবহাওয়া অফিসের ১৮ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তর-উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি আরো উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বেলা ১২টা নাগাদ ডামরার উত্তর ও বালাশোরের দক্ষিণ দিক দিয়ে ভারতের উত্তর ওডিশা-পশ্চিমবঙ্গ অতিক্রম করেছে। এটি আরো উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পরবর্তী ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিমি পর্যন্ত বাড়ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ইয়াস উপকূল অতিক্রমকালে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ও পূর্ণিমার প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৬ ফুট অধিক উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
]]>বরিশাল নদী বন্দর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লকডাউনে দীর্ঘ বন্ধের পর লঞ্চ চলাচল করলেও যাত্রী সংখ্যা শুরুর দিনে কম হচ্ছে। এতে করে কোন কোন লঞ্চে নির্ধারিত সময়ে যাত্রী না হওয়ায় তাদের যাত্রা বাতিল করতে হয়েছে।
যাত্রীরা বলছেন, যাত্রী কম হওয়াতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করতে পারছেন তারা। তবে আগের ১শ টাকার ভাড়ার স্থলে আরো ২০ টাকা বাড়তি নেওয়া হচ্ছে।
সোহাগী লঞ্চের টিকিট মাস্টার বলেন, তারা মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন আর অভ্যন্তীণ রুটে ভাড়া শতকরা ২০ভাগ বাড়িয়ে নিচ্ছেন।
]]>জানা যায়, মহিপুর মৎস্য বন্দরে ঢুকতে শেখ রাসেল সেতুর পাশ ঘেষে পাউবো’র জায়গা স্থানীয় ভূমি খেকোরা যে যার মতো অবৈধভাবে দখল করে নিচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মো. জাকির হোসেনের স্বত্বাধিকারী মাঝারি হোটেল এন্ড মুসলিম মিষ্টান্ন ভান্ডার ও তার পাশে হোসেন সাঈদ পৃথক পৃথকভাবে দুইটি প্লটে ইট দিয়ে স্থায়ী বিল্ডিং নির্মানের কাজ চলমান রয়েছে।
আরও জানা যায়, তাদের কাছে পাউবো’র কোন কাগজ পত্র না থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় কতিপয় অসাধু মিডিয়া কর্মীদের মাধ্যমে আতাত করে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রকাশ্যেই তারা এধরনের দখলবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। এনিয়ে সুশীল সমাজের মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভ লক্ষ করা গেছে। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান,পাউবো’র কোন বৈধ কাগজ-পত্র না থাকা স্বত্তেও কিভাবে তারা এধরনের অবৈধ দখলবাজি চালিয়ে যাচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। অতিদ্রুত প্রশাসন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এ দখলবাজি চরম পর্যায়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।
নাম না বলার শর্তে অপর এক ব্যবসায়ী বলেন, প্রশাসনের চোখের সামনেই তো এগুলো ঘটছে। তারা তো দেখেও না দেখার ভান করে রয়েছে। প্রশাসন কঠোর হলে তো আর এধরনের অবৈধ দখল করার সাহস কেউ পেতো না।
এবিষয়ে মাঝারি হোটেল এন্ড মুসলিম মিষ্টান্ন ভান্ডার এর স্বত্বাধিকারী মো. জাকির হোসেনের কাছে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাউবো’র যতটুকু কাগজ-পত্র দরকার তা আমার কাছে রয়েছে। তাছাড়া কলাপাড়া হতে কয়েকজন সাংবাদিক এসেছিলো তাদের সাথে এনিয়ে সমঝোতা হয়ে গেছে।
পাউবো’র জায়গায় ঘর উঠানোর বিষয়ে আরেক দখলদার হোসেন সাঈদের কাছে জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় এক সাংবাদিকের সাথে যোগাযোগ করার কথা বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। তার মতে, এখাকার বড় সাংবাদিক এবিষয়ে সবকিছু জানেন।
এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী হালিম সালেহী জানান, আমি গত পাঁচদিন আগে এখানে যোগদান করেছি, কারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে ঘর তুলছে সে ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা, তবে আমি আপনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেনের হাতে স্যালাইন তুলে দেন বরিশালের শেখ হাসিনা সেনানিবাসের পক্ষে ক্যাপ্টেন মো. সৈকত।
এই সেনানিবাসের ৭ পদাতিক ডিভিশনের ৬ ব্রিগেডের ৪১ বি’র এই স্যালাইনগুলো প্রদান করেছে। এর আগে শেখ হাসিনা সেনা নিবাসের পক্ষ থেকে বরিশালের বাবুগঞ্জ ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় ডায়রিয়া রোগীদের জন্য আরও ২ হাজার আইভি স্যালাইন প্রদান করে সেনাবাহিনী।
বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন জানান, সম্প্রতি বরিশাল সহ উপকূলীয় এলাকায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় আইভি স্যালাইনের সংকট সৃস্টি হয়েছে। জনসাধারণের চিকিৎসা সহায়তার অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গতকাল ১ হাজার আইভি স্যালাইন সিভিল সার্জনের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য উপজেলায়ও ডায়রিয়া রোগীদের সহায়তা করে সেনাবাহিনী।
অপরদিকে রবিবার বিকেলে ডায়রিয়া রোগীদের জন্য ৩৫ কার্টন আইভি স্যালাইন সহায়তা দিয়েছে ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন। সংগঠনের নিজস্ব অর্থায়নে কেনা এই স্যালাইন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাসের কাছে আনুষ্ঠানিভাবে হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় বরিশাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল, সহ-সভাপতি হালিম রেজা মোফাজ্জেল, সাধারণ সম্পাদক শারমিন আনোয়ার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন লিকু ও কাজী মিরাজ মাহমুদ, কোষাধ্যক্ষ ডা. নজরুল ইসলাম, আব্দুল জলিল এবং স্বপন কুমার দাস সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ডায়রিয়া প্রকোপের সময় জনগনের জন্য স্যালাইন সহয়তা পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস।
]]>