হিজলায় অবহেলায় অর্ধকোটি টাকার ঔষধ বিনষ্ট
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
মোঃ আলহাজ, হজিলা : পুরো দেশ যখন স্বাস্থ্যখাত নিয়ে উত্তাল, ঠিক তখনই হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে অর্ধকোটি টাকার ঔষধ কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারনে ধ্বংসের পথে। করণার এই মহামারিতে দেশ যখন অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ তখন জনগণের ট্যাক্সের টাকায় কেনা ঔষধ ঐ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সাধারণ জনগন বঞ্চিত। আর সেই ঔষধ পড়ে আছে হাসপাতালের বাইরে, ঘরের মাঝে, নর্দমায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। কিছু ঔষধ রয়েছে পোড়ানো। মাহামারির সময় যেখানে মানুষের জীবন বাঁচানো একমাত্র অবলম্বন, সেই ঔষধ না পেয়ে মানুষ করছে হাহাকার।ঐ কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ইউনিয়ন পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা মাহামুদা বেগম এ ব্যাপারে তারজেন কোন দায়িত্বই নেই। মাহামুদার স্বামী ঐ ইউনিয়নের প্রভাবশালী ইউপসদস্য হওয়ায় সাধারণ জনগন ঐ কেন্দ্র থেকে সেবা বা ঔষধ না পেলেও কোন প্রতিবাদ করতে পারেন না। তার দাপটেই চলছে গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র। তাঁর একক ক্ষমতায় ঔষধ পোড়ানো, ঔষধ ধ্বংস সবই তিনি করে থাকেন। লাগেনা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি। বিপুল পরিমান ঔষধ এখন যেখানে সেখানে। সরেজমিনে যেয়ে সব কিছুর প্রমান মিলে। ঘরে বাইরে যেখানে সেখানে পড়ে আছে সরকারি ঔষধ। কোনটা পোড়ানো, কোনটা অর্ধেক পোড়ানো রয়েছে। এ বিষয় কথা হয় সাবেক গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ডাঃ দেলোয়ার হোসেন খোকন এর সাথে, তিনি জানান, বর্তমানে তিনি অবসরে রয়েছেন। বর্তমানে ইউনিয়ন পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা মাহামুদা বেগম চার্জে রয়েছেন, আমি ৬ মাস আগে ঐ কেন্দ্র থেকে অবসর নিয়েছি। তখন সবকিছু য়িমতান্ত্রিক ভাবে ছিল। ঔষধ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার জানা মতে কোন ঔষধ মেয়াদউত্তৃীর্ন ছিলনা। তাই কোন ঔষধ পোড়ানোর কথা নয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ডাঃ সোলাইমান মাসুম জানান, আমার জানা মতে ঐ কেন্দ্রে মেয়াদউত্তৃীর্ন কোন ঔষধ আছে বলে জানা নেই। তবে যদি থাকে তা হলে ঐ ঔষধ বিনষ্ট করতে হলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনমতি প্রয়োজন। এ করণামুহুর্তে যদি সাধঅরণ জনগন ঔ কেন্দ্র থেকে সেবাবঞ্চিত হয়, তা দুঃখজনক। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মামুন অর রশিদ জানান, এ বিষয়ে তার কোন ভুমিকা নেই। বিষয়টি পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের। এধরণের ঘটনা ঘটে থাকে তা দুঃখজনক। আমি ঐ দপ্তরের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ রাখছি। পরিবার পরিদর্শিকা (ঋডঠ) মাহমুদা বেগম জানান, তিনি উপজেলা অফিসে কাজ থাকাতে ঐ কেন্দ্রের খোজখবর নিতে পারেননি। পুরাতন বিল্ডিংএর কারণে মালামালগুলো এলোমেলো রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসি জানায়, মাহমুদা এখানে অনেকদিন কাজ করার কারণে তিনি এখানকার সর্বেসর্বা। ঔষধ গ্রহণ বিতরণ, কালোবাজারে বিক্রি, তার একক ক্ষমতা। এ বিষয় লিখে লাভ কী।