পায়রা সেতুর দ্বার উন্মোচিত
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
বাদল হোসেন, পটুয়াখালী : যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলো পটুয়াখালীর লেবুখালী পায়রা নদীর উপর নির্মিত পায়রা সেতু। আজ ২৪ অক্টোবর (রবিবার) সকাল দশটায় গণভবন থেকে সরাসরি যুক্ত হয়ে যান চলাচল ও জনসাধারণের পারাপারের জন্য পায়রা সেতু উমুক্ত ও শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি।
পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কে লেবুখালী ফেরিঘাটের পায়রা সেতু উদ্বোধনীতে সকালে সেতু স্থলে মানুষের ঢল নেমেছে। উদ্বোধন উপলক্ষে সেতু ও সেতু এলাকা সেজেছে ব্যানার ফেস্টুন, লাল সবুজ বাতি ও বাহারি রং এর পতাকায়। এর ফলে এই সেতু দিয়ে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল শুরু হবে এবং দক্ষিণাঞ্চলের নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। উদ্বোধন ঘোষণার পর পায়রা সেতু এলাকায় সাধারণের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। পায়রা সেতুটি উদ্বোধনের ফলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব হয়েছে।
এসময় পটুয়াখালী প্রান্তে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সাইফুল হাসান বাদল, পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. শাহজাহান মিয়া। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পানী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকী, পটুয়াখালী -২ আসনের সংসদ সদস্য আ.স.ম ফিরোজ এমপি, পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস,এম শাহাজাদা, পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মহিববুর রহমান মহিব, সংরক্ষিত মাহিলা আসনের সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরেনিয়াবাদ সাদিক আব্দুল্লাহ, বরিশাল ও বরগুনা জেলার বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্যগন, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি, বরিশালের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, শেখ হাসিনা সেনানিসাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগসহ অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্টরা।
বরিশাল-পটুয়াখালী মহা সড়কের পায়রা নদীর উপর ২০১৬ সালে লেবুখালী-পায়রা সেতুর নির্মান কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ইতিমধ্যে মূল সেতুর শত ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া নদীর তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এই সেতুতে বেশ কিছু নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশেষ করে নদীর মধ্যে এবং পাশে থাকা পিয়ারে যাতে কোন নৌ যান ধাক্কা দিতে না পারে সে জন্য পিয়ারের পাশে নিরাপত্ত পিলার স্থাপন করা হচ্ছে। এ ছাড়া বজ্রপাত কিংবা ভূমিকম্পের মত প্রাকৃতিক দূর্যোগে সেতুর কোন ক্ষতি হলো কিনা সেটি মনিটরিং করারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
চীনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘লনজিয়ান রোড এন্ড ব্রীজ কনেস্টাকশন’ এর নির্মান কাজ সম্পন্ন করেছে। ১৪৭০ মিটার দৈঘ্য এবং ১৯.৭৬ মিটার প্রান্তে এই ব্রীজটি ক্যাবল দিয়ে দুই পাশে সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে নদীর মাঝ খানে একটি মাত্র পিলার ব্যবহার করা হয়েছে।
চট্টগগ্রামের কর্নফুলীর ব্রিজের আদলে নির্মিত দেশের ২য় তম ব্রীজ যা এক্সক্টা ডোজ ক্যাবেল সিস্টেম এ তৈরী করা। কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভলপমেন্ট, ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ বিনিয়োগে ব্রিজের নির্মান ব্যায় ধরা হয়েছে প্রায় ১৫শ কোটি টাকা।