ঝুঁকিপূর্ন কলাপাড়ার খেয়াঘটের ৪২টি পয়েন্ট
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
কলাপাড়া প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জীবনের ঝুকি নিয়ে খেয়ায় উঠে নদী পারাপার করতে হয় যাত্রীদের। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী এভাবে জীবনের ঝুকি নিয়ে খেয়ায় উঠতে গিয়ে দূর্ঘটনার কবলে পড়ছে। বর্তমানে খেয়াগুলোর এপার ওপার মিলিয়ে ৪২ টি পয়েন্ট মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, উপজেলা ২১টি খেয়াঘাট রয়েছে। এর মধ্যে ৭টি খেয়াঘাট খাস আদায়ের মাধ্যমে চালানো হচ্ছে। ১১টি খেয়া ঘাট ৩৩ লাখ ৯০ হাজার টাকায় বাংলা ১৪২৮ সালের জন্য ইজারা দিয়েছে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়। এছাড়া তিনটি খেঁয়া নিয়ন্ত্রণ করছে কলাপাড়া পৌরসভা।
কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ সুত্রে জানা গেছে, দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী ইঞ্জিন চালিত নৌকায় যাত্রী পিছু জনপ্রতি চার টাকা, বৈঠায় চলাচল নৌকায় যাত্রীপিছু দুই টাকা, মোটর সাইকেল ১০ টাকা, বাই সাইকেল চার টাকা, ছাগল-ভেড়া চার টাকা, গরু-মহিষ ১০টাকা, ৪০ কেজি পর্যন্ত ওজনের বিভিন্ন মালামালে তিন টাকা এবং রিক্সা-ভ্যান পারাপারে ছয় টাকা রেট নির্ধারণ করা আছে।
সেখানে ইজারাদারের লোকজন যাত্রীদের জিম্মি করে দ্বিগুন-তিনগুন থেকে দশগুন পর্যন্ত বেশি টাকা আদায় করছে। নিয়ম রয়েছে প্রত্যেক খেঁয়ার ঘাটে ইজারাদার নিজের খরচে খেয়ার টোলের রেটচার্ট টানিয়ে রাখবে। এসবের তোয়াক্কা কেউ করছে না।
কলাপড়ার গুরুত্বপূর্ণ এ খেয়াঘাট সংলগ্ন সড়ক দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশায় থাকায় মানুষের দৈনন্দিন চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে রাস্তা গুলো পানি-কাঁদায় একাকার হয়ে যায়।
এমন দুরবস্থার জন্য অতিরিক্ত কাঁদা আর পানির কারনে কোন যানবাহন তো দুরের কথা জুতা পায়ে হাটতে অসম্ভব ব্যাপার। মনে হয় যেন রাস্তা নয় চাষের জন্য প্রস্তুত কোন জমি।
বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় হাঁটু সমান কাদাঁ মাড়িয়ে চলাচল করতে হয় খেয়া পারাপার যাত্রীদের। হাতে জুতা পানি-কাঁদা মাখা শরীরে চলে শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার যাত্রীদের জীবন যাত্রা।
মিঠাগঞ্জ-বাদুরতলী পয়েন্টে খেয়ার ইজারাদার মো.মনির হোসেন বলেন, এ বছর এ খেয়াঘাটটি এক লক্ষ দশ হাজার টাকা ইজারা নিয়েছি। বছরের পর বছর সরকার রাজস্ব আদায়ের জন্য খেয়া ইজারা দেয়া হলেও জনস্বার্থে ঘাটগুলো সংস্কার করা হয় না।
কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমোক্তিযোদ্ধা এস,এম,রাকিবুল আহসান বলেন, ইজারাদা দেয়া খেয়াঘাটগুলো মানুষের চলাচলে যদি সমস্যা হয় তাহলে আমরা সেই সমস্যা দ্রুত সমাধান করে দিবো।