রাঙ্গাবালীতে যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবি, নিখোঁজ ৫

বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কলাপাড়া সার্কেল) আহম্মেদ আলী বলেন, আমার জানা মতে স্পিডবোটে মোট ১৭ জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ১২ জন উদ্ধার হলেও পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা চলছে।উদ্ধার যাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাঙ্গাবালী উপজেলার কোড়ালিয়া লঞ্চঘাট থেকে ১৭ জন যাত্রী নিয়ে আহম্মেদ এন্টারপ্রাইজের মালিকানাধীন একটি স্পিডবোট গলাচিপার পানপট্টির উদ্দেশে ছেড়ে আসে। এ সময় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছিল। একদিকে বৃষ্টি, আরেক দিকে উত্তাল ঢেউ। এর মধ্যেই চালক স্পিডবোট নিয়ে আগুনমুখা নদী পাড়ি দেয়।
পথিমধ্যে আগুনমুখা নদীর মাঝখানে প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে তলা ফেটে চালকসহ যাত্রীদের নিয়ে স্পিডবোটটি তলিয়ে যায়। দুর্ঘটনার দেড় ঘণ্টা পর অপর দুটি স্পিডবোট উদ্ধার অভিযান চালিয়ে চালকসহ ১৩ জন যাত্রীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। কিন্তু পাঁচজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান স্পিডবোট কর্তৃপক্ষ।
উদ্ধার হওয়া রাঙ্গাবালীর বাহেরচর কৃষি ব্যাংক শাখার ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে স্পিডবোটের সামনের অংশের তলা ফেটে যায়। যাত্রীরা বার বার চালককে স্পিডবোট ঘুরিয়ে ঘাটে নিয়ে আসতে বলেছে। কিন্তু সে যাত্রীদের কথা শোনেননি।
কোড়ালিয়া-পানপট্টি নৌরুটের আহম্মেদ এন্টারপ্রাইজের কোড়ালিয়া ঘাটের ম্যানেজার বশির উদ্দিন বলেন, নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, খবর শুনেছি। আমরা ঘাটে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, ১৭ জন যাত্রী নিয়ে স্পিডবোট ছাড়ার কথা নয়। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে স্পিডবোট ছাড়াও ঠিক হয়নি। আমি ঘাটে এসেছি, খোঁজখবর নিচ্ছি।