আজ রাজাপুর মুক্ত দিবস
সে দিন ছাত্রলীগ নেতা আজাদকে জীবন্ত মাটি চাপা দেয় রাজাকাররা

তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদকে জাঙ্গালিয়া নদীর পাড়ে গর্ত করে জীবন্ত মাটি চাপা দেয় দোসর হানাদাররা। ১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা রাজাপুর থানা আক্রমণ করেন। শুরু হয় সম্মুখ যুদ্ধ। এ যুদ্ধে প্রায় তিনশত মুক্তিযোদ্ধা অংশ গ্রহন করেন। পরদিন সকাল পর্যন্ত চলে যুদ্ধ। এ যুদ্ধে আব্দুর রাজ্জাক ও হোচেন আলী নামে দুজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। আহত হন কমপক্ষে বিশজন মুক্তিযোদ্ধা।
ঐ সময় মুক্তিযুদ্ধে রাজাপুর থানা কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন কেরামত আলী আজাদ। মুক্তিযুদ্ধে সারা দেশকে ১১ টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। রাজাপুর থানা ছিল বরিশাল সাব সেক্টরের অধীনে। সাব সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন তৎকালীণ ক্যাপ্টেন এম. শাহজাহান ওমর। উপজেলার কানুদাসকাঠিতে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি তৈরি করেন। রাজাপুর থানায় সম্মুখ যুদ্ধ শুরু হলে শাহজাহান ওমর এ যুদ্ধে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য শাহজাহান ওমর ঝালকাঠি জেলায় একমাত্র বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত হন। প্রতি বছরের ন্যায় রাজাপুর প্রেসক্লাব এ বছরও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজাপুর হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন করবেন।