বরিশালে করোনায় মৃত্যু ১২, আক্রান্তে রেকর্ড
ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশংকা
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি এবং মৃত্যুর হার বেড়েছে। একই সাথে মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে বেড়েছে করোনা শনাক্তের হার। এই অবস্থাকে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালেনের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু, শনাক্ত ও নমুনা পরীক্ষায় রেকর্ড করেছে বরিশাল বিভাগে। সোমবার দুপুর ১টা থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১টা পর্যন্ত এই হাসপাতালে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পিরোজপুর ও বরগুনা জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরো দুই জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৩ জন।
হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে সাতক্ষীরা এবং বাগেরহাটের রোগী ভর্তি থাকায় তাদের মাধ্যমে বরিশালে করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করছেন শেবাচিম পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম। এই অবস্থাকে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, শওকত হোসেন (৪০), আব্দুল কাদের (৭০), বাদল কর্মকার (৪২), মোয়াজ্জেম হোসেন (৭০), রাজিয়া বেগম (৬০), হাওয়া বেগম (৭২), সাইমুন (২৪), মাকসুদ তালুকদার (৪৫), মতিউর রহমান (৬০) ও মো. সুলতান (৬০)।
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম জানান, গত বছরের জুলাইয়ের পর থেকে শেবাচিমের করোনা ওয়ার্ডে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন সর্বাধিক ১৪০ জন রোগী। গত বছর জুলাইয়ে করোনার প্রথম ঢেউয়ে সর্বোচ্চ ১২১ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলো মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ডে।
এর আগের ২৪ ঘন্টায় (সোমবার) নতুন ভর্তি হওয়া ২৭ জন সহ চিকিৎসাধীন ছিলেন ১১৮ জন রোগী। করোনা ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি এবং মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে সাতক্ষীরা এবং বাগেরহাটের রোগী ভর্তি থাকায় তাদের মাধ্যমে বরিশালে করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশংকা প্রকাশ করেন তিনি।
গত ৪ দিন ধরে কমছে না শেবাচিমের আরটিপিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী করোনা শনাক্তের হার। সোমবার রাতে প্রকাশিত রিপোর্টে ১৮৮ জনের নমূনা পরীক্ষায় ৭১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৭ দশমিক ৩৭ ভাগ। এর আগে রোববার রাতে প্রকাশিত রিপোর্টে করোনা শনাক্তের হার ছিলো ৪৮ দশমিক ৮০ ভাগ, শনিবারের রিপোর্টে ৪৬ দশমিক ২০ ভাগ, শুক্রবারের রিপোর্টে ৪৪ দশমিক ৪৪ ভাগ এবং বৃহস্পতিবার শনাক্ত হয়েছে ৩৩ দশমিক ৩৩ ভাগ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বরিশাল বিভাগে মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ১৯৩ জন করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে। আগের দিন সোমবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো ১৮১ জন। এ নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৯৩২ জনে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৪ হাজার ৯৬১ জন। বিগত ২৪ ঘন্টায় পিরোজপুর ও বরগুনা জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ডাঃ বাসুদেব কুমার দাস বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধ অবশ্যই সবাইকে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ মানতে হবে। অন্যথায় করোনা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। যার খেসারত সকলকেই দিতে হবে।