ভোলায় খোলা হয়েছে ৮টি অনলাইন পশুরহাট
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
এইচ আর সুমন, ভোলা : ভোলায় করোনা কালিন কঠোর লকডাউনের কারনে বিকল্প ব্যবস্থায় খোলা হয়েছে ৮টি অনলাইন পশুর হাট। কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে এ হাট চালু করেন জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর। জেলা সদরে ২টিসহ সাত উপজেলায় মোট ৮টি পশুরহাট চালু করা হয়েছে।
এসব হাটে গরুর ছবি, ওজন, দাম এবং বিক্রেতার নাম মোবাইল নাম্বার দেয়া থাকবে। এছাড়াও পশুরহাট পরিচালনার জন্য ২২টি ভেটনারী টিম প্রস্তুত রয়েছে।
ফেইসবুকের সার্চ অফশনে গিয়ে ‘অনলাইন পশুরহাট ভোলা’ নামে সার্চ করলে অনলাইন পশুরহাট প্রবেশ করে গরু-কেনা বেচা করা যাবে। জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় কুরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে এক লাখ ৬ হাজার ৯৫৪টি গরু। তবে জেলায় কোরবানির জন্য গরুর চাহিদা রয়েছে ১লাখ ২ হাজার ৬০টি। এবছর চাহিদার চেয়েও প্রায় পাঁচ হাজার গরু বেশী রয়েছে।
এছাড়াও জেলায় ৯৩টি পয়েন্টে পশুরটহাট বসানোর প্রস্তুতি নেয়া হলেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের উপর নির্ভর করছে এ বছর ঠিক কতটি পশুরহাট বসবে। তবে বিকল্প ব্যবস্থায় অনলাইন পশুরহাট চালু করেছে জেলা প্রানী সম্পদ অধিদপ্তর।
এদিকে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারি ও পারিবারিক পশু পালনকারীরা। ইতমধ্যে তারা প্রকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজকরন করেছেন তারা। হাট বসার ঘোষনা এলেই তারা গরু নিয়ে হাটে যাবেন। তবে করোনা প্রদুর্ভাবের কারনে হাটে ক্রেতা কম থাকলে গরুর দাম কম যাবে বলেও চিন্তিত তারা।
ভোলা সদরের খামারী মো. মনিরুল ইসলামসহ ৫-৭ জন খামারী বলেন, কোরবানি উপলক্ষে আমরা খামারীরা সারা বছর গরু পালন করে থাকি। যদি হাট না বসে তাহলে আমাদেরকে লোকসানের মুখে পরতে হবে। এর ফলে খামারীরা গরু পালন বন্ধ করে দিলে ভবিষ্যতে কোরবানির জন্য গরুর সংকট তৈরী হবে।
জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল জানান, এখন পর্যন্ত ভোলার ৯৩টি পয়েন্টে পশুটহাট বসানোর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তবে সব কিছু নির্ভর করছে লকডাউন এবং করোনা সংক্রমনের উপর। হাটের সংখ্যা কমে যেতে পারে। তবে এর জন্য আমরা বিকল্প ব্যবস্থা হাতে নিয়েছি। জেলায় ৮টি অনলাইন পশুরহাট খুলেছি, সেখানে পশু কেনা-বেচা যাবে।
তিনি আরো বলেন, এবার প্রকৃতিক উপায়ে খামারিরা গরু মোটাতাজাকরন করেছে। আমরা ১৭৫ জন খামারিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। তবে কেউ যদি অবৈধভাবে গরু মোজাতাজা করে হাটে আনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।