বরিশালে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ
স্বাস্থ্যবিধি মানায় উদ্যোগ নেই
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
স্টাফ রিপোর্টার : প্রাণঘাতী করোনার তেজ আবারও বেড়েছে বরিশালে। চলতি সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করেছে। কিন্তু নগরীতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানোর কোনো উদ্যোগ নেই। সরকার মাস্ক বাধ্যতামূলক করলেও তা মানছে না কেউ। যে কারণে করোনা নিয়ে ভাবিয়ে তুলছে স্বাস্থ্য বিভাগকে। এ অবস্থায় অচিরেই মাস্ক বাধ্যতামূলক করতে অভিযান পরিচালনার ইঙ্গিত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানবিদ গোলাম কবির বলেন, গত শনিবার করোনায় দুজন আক্রান্ত ছিলেন। রোববার তা বেড়ে হয়েছে ১২ জন। এটি ক্রমেই বাড়ছে। যদিও গত মাসে করোনা আক্রান্ত শূন্যের কোটায় ছিল। বিভাগে এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৮০০ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২০৫ জনের, এমনটাই জানালেন পরিসংখ্যানবিদ গোলাম কবির।
গতকাল সোমবার বিকালে নগরীর প্রাণকেন্দ্র বিবির পুকুর পাড় ঘিরে দেখা গেল মানুষের ভিড়। ভ্রাম্যমাণ খাবার দোকান থেকে শত শত মানুষ নানা খাবার খাচ্ছেন; কিন্তু অধিকাংশেরই নেই মাস্ক। একই অবস্থা নগরীর পোশাকের মার্কেট চকবাজারে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধির ধার না ধেরে যে যার মতো কেনাকাটা করছেন। অদূরে পোর্ট রোড বাজারেও সাধারণের যেন ঢল।
নগরীর গীর্জামহল্লার আবদুল্লাহ হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁর কেশিয়ার মো. আসলাম বলেন, ক্রেতারা মাস্ক ছাড়াই রেস্তোরাঁয় ঢুকছেন। তাদের কিছু বলাও যায় না। তার নিজেরও মাস্ক না থাকা প্রসঙ্গে বলেন, এখন থেকে পরা শুরু করবেন। ওই রেস্তোরাঁয়ই চপ খেতে আসা মাইনুল ইসলাম বলেন, করোনা আগেই কিছু করেনি, এখন আর কী করবে। সরকারি নির্দেশনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাস্ক আছে অফিসে, পরার বিষয়ে ভাবছেন।
জানতে চাইলে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক বাসুদেব গাঙ্গুলি বলেন, মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা একেবারেই নেই। করোনাকে পাত্তাই দেয় না মানুষ। আসলে টিকা দিলেও স্বাস্থ্যবিধি মানা দরকার। পর্যটন কেন্দ্র, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সভা, সমাবেশ সীমিত করা জরুরি। রাস্তায় মাস্ক পরছে না অধিকাংশই। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি এসেছে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করাসহ নানা বিষয় উল্লেখ করে। বর্তমান অবস্থায় করোনা নিয়ে ভাবিয়ে তুলছে। শনিবার বরিশালে আক্রান্তের সংখ্যা ছিলেন দুজন। অথচ রবিবার একলাফে ১২ জন আক্রান্ত পাওয়া গেছে। তবে অনেক দিন টেস্ট হচ্ছে না। টেস্ট করায় অনীহাও বেশি। হাসপাতালগুলের করোনা ইউনিট প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অচিরেই অভিযানে নামা হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্যের বিভাগীয় পরিচালক।
এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, বরিশালে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় মঙ্গলবার থেকে সচেতনতা কার্যক্রম শুরু করা হবে। মন্ত্রিপরিষদ থেকেও এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।