স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না পশুর হাটে
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
স্টাফ রিপোর্টার : করোনার ভয়াবহ সংক্রমনের ঝুঁকির মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বিভাগীয় শহর বরিশালের সব পশুর হাটে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করছেন। এতে করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। কোরবানির পশুর হাট বসিয়ে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মানা সম্ভব নয়। গত ঈদুল ফিতরে বিভিন্ন যায়গা থেকে সবাই ঈদ উপলক্ষ্যে এলাকায় আসছে এর প্রভাবে ঈদের পর থেকে বরিশাল অঞ্চলে বেরেই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তবে প্রশাসনের হস্থক্ষেপে স্বাস্থ্যবিধি যাতে মানা হয় সেদিকে নজরদারি রাখা হবে বলে জানান হাট কর্তৃপক্ষ।
হাট কর্তৃপক্ষের দাবি মুখে মাস্ক পরা, হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব মেনে বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতার অবস্থান নিশ্চিত করার পাশাপাশি হাটজুরে থাকবে বাড়তি সতর্কতা। হাটে ভির এলাতে নেয়া হবে বাড়তি ব্যবস্থা। একসঙ্গে নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে হাটে ঢুকতে দেওয়া হবে। হাটে আলাদা আলাদা পথ দিয়ে প্রবেশ ও বাহির হতে হবে। এবার আর নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া হাট বসতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে আগামী ১ আগষ্ট ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হবে। গত বছর বরিশাল জেলায় ৬৬টি পশুর হাট বসেঠিলো। এর মধ্যে ২৫টি স্থায়ী ও ৩৫টি অস্থায়ী হাট ছিল। এবার করোনা সংক্রমণের কারনে পশুর হাটের সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে আসছে। তবে স্থায়ী হাট গুলো প্রতিবছরের ন্যায় নির্দিষ্ট স্থানে বসছে। মৌসুমি বৃষ্টি উপেক্ষা করেও খামারীরা গরু নিয়ে হাটে আসেন। তবে অন্য বছরের চেয়ে অনেক কম দামে গরু বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে। ন্যায্য দাম না পেয়ে অনেক খামারীকে গরু ফিরিয়ে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। এছাড়া যারা গরু বিক্রি করছেন তারা প্রতিটি গরুতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লোকশান গুনছেন। দাম কমের কারনে অনেক খারামীরা হাটে গরু বিক্রি করছেন না। অন্য কোরবানীর হাটের তুলনায় এবারের কোরবানীর হাটে ১৫ থেকে ২০ ভাগ গরু অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে। এদিকে ঈদের বেশ কিছুদিন সময় বাকী থাকায় হাটে হাজার হাজার পশু উঠলেও ক্রেতাদের তেমন কোনো সাড়া নেই বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তবে ঈদের আগে হাটে গরুর দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানা গেছে।
বরিশালের বেশির ভাগ হাটগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূরের কথা ক্রেতা-বিক্রেতাদের কারও মুখে মাস্ক নেই। অথচ জেলায় প্রতিদিন বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। হাটের অধিকাংশ খামারী ও ক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। বেশির ভাগ হাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনা করার চেষ্টা করছেন। প্রচন্ড ভিড়ে কিছুটা স্বাস্থ্যবিধি মানা বিঘœ হচ্ছে। এবাড়ে বয়স্ক ও শিশুদের পশুর হাটে আসার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে হাটের আয়োজন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। তাদের দাবি, হাটে অন্তত পক্ষে প্রশাসনের নজরদারি থাকা দরকার।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট পরিচালনা করতে হবে। হাটে সবাইকে মাস্ক পরিধান করার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্রয়-বিক্রয় করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আসছে ঈদুল আজহার পরে সংক্রমণের হার আরও বাড়তে পারে। ###