বরিশালে ২৭ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
স্বাস্থ্য বিধি মানতে প্রশাসনের গণবিজ্ঞপ্তি
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
স্টাফ রিপোর্টার : আশংকাজনকভাবে বরিশালে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সচেতনতামূলক প্রচারণা চালালেও মানুষ সাড়া দিচ্ছে না। এমন অবস্থা চলতে থাকলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশংকা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের।
এদিকে বরিশালে সকল ধরণের জনসমাগম সীমিত রাখার নির্দেশসহ ১৭ নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার।
এদিকে জেলা প্রশাসনের অভিযানে ৫ প্রতিষ্ঠান ও ২২ জন কে অর্থ দন্ড প্রদাপন করা হয়েছে। তাদের মোট ৫৫শ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বরিশাল বিভাগে করোনা আক্রান্তের হার ছিলো ২ থেকে ৩ শতাংশ। মার্চের প্রথম দিকেও এই হার স্থির থাকে। তবে ১৫ মার্চ থেকেই হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, বিভাগের মধ্যে সব থেকে বেশি আক্রান্ত বরিশাল জেলায়। এখানে ১৩ থেকে ১৯ মার্চ সাত দিনে সংক্রমিত হয় ৪৬ জন।
পরের সাতদিনে এই সংখ্যা পৌঁছায় ১২৪ জনে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভোলা জেলা। এই জেলায় ১৩ থেকে ১৯ মার্চ সাত দিনে করোনা আক্রান্ত ছিলো ৮ জন, যা পরের সাত দিনে হয় ৩৫ জন। পিরোজপুরে ওই সাতদিনে ১১ জন আক্রান্ত হলেও পরের সপ্তাহে তা বেড়ে হয় ২০ জনে, ঝালকাঠিতে ওই সময়ে আক্রান্ত হয়েছিলো মাত্র ৪ জন। পরের সপ্তাহে ২২ জন আক্রান্ত হয়। বরগুনা ও পটুয়াখালীতে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও ২০ মার্চ পর তা বাড়ে। বরগুনায় ১৩ থেকে ১৯ মার্চ সংক্রমিত ছিলো ৭ জন আর পটুয়াখালিতে একজন। সংক্রমিতের সংখ্যা পরের সপ্তাহে বেড়ে হয় বরগুনায় ৯ এবং পটুয়াখালীতে ১৮ জন।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই এই বিভাগে করোনার সংক্রমণ ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে। ১৩ থেকে ১৯ মার্চ এই সাত দিনে বিভাগে আক্রান্ত হয় মাত্র ৭৭ জন, কিন্তু ২০ থেকে ২৬ মার্চ আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো ২২৮ জন অর্থাৎ প্রায় তিনগুণ। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় বরিশাল বিভাগে ৫৮ জন সনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন আরো একজন।
রয়েল সিটি হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডাঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষার পাশাপাশি করোনার লক্ষণ দেখা দিলেও এখন অনেকেই আর পরীক্ষা করান না। এই অবস্থায় তারা বাইরে যাচ্ছেন, স্বাভাবিকভাবে সকলের সঙ্গে মিশছেন। এমনকি আইসোলেশনেও থাকছে না। এটি আরও ভয়াবহতা বাড়াবে বলে শংকা রয়েছে। মানুষকে সচেতন হতে হবে। কেননা করোনা প্রাণঘাতি ভাইরাস। সকলকে মাস্ক পরিধান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার বলেন, সকলকে স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে। সচেতনতার লক্ষ্যে প্রচারণা তো চলছেই। পাশাপাশি অসচেতন ব্যক্তিদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।