মৎস্যজীবীদের সুরক্ষা ও খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়নে শুনানী
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
স্টাফ রিপোর্টার : ক্ষুদ্র মৎস্যজীবিদের খাদ্য ও জীবিকার সঙ্কট তুলে ধরার পাশাপাশি, সবার জন্য খাদ্য ও পুষ্টি অধিকার নিশ্চিত করতে খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়নের দাবিতে বরিশালে এক শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্ষুদ্র ও সধারণ মৎস্যজীবী ও মৎস্যজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের অংশগ্রহণে এই শুনানীর আয়োজন করে উন্নয়ন সংস্থা প্রান্তজন এবং খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক (খানি), বাংলাদেশ।
কির্তনখোলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই শুনানীতে মৎস্য উপকরণ কার্ড পেতে হয়রানির শিকার হওয়া এবং কার্ড থাকার পরও সেবা না পাওয়ার বিষয়গুলো তুলে ধরেন স্থানীয় মৎস্যজীবিরা। এসময় সরকারি বিধিনিষেধ ও করোনাকালীন সময়ে জেলেদের জীবিকার সঙ্কট ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার বিষয়গুলো উঠে আসে।
শুনানীতে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ২৪টি উপকূলীয় জেলায় দুই কোটি মানুষ জেলে পরিবারের সদস্য। তবুও সরকারিভাবে এই বিশাল জনগোষ্ঠী একরকম অবহেলিত। কৃষিখাতে প্রণোদনা ঋণের ব্যবস্থা থাকলেও, সাধারণ জেলেদের জন্য কোন ধরণের সরকারি ঋণ সুবিধা নেই। নেই কোন সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি। যে কারণে সরকারি বিধিনিষেধ থাকাকালীন সময়ে বেকারত্ব বাড়ছে এবং তাদের মধ্যে খাদ্য ও পুষ্টির সঙ্কট তৈরি হচ্ছে।
এসময় সাধারণ মৎস্যজীবিরা বলেন, বছরজুড়ে বিভিন্ন সময়ে, নানা কারণে মোট ১৪৮ দিন মাছ ধরায় সরকারি বিধিনিষেধ থাকে। এই সময়ে আমাদের জীবিকার দেখা দেয়, যা নিজের ও পরিবারের সদস্যদের খাদ্য সঙ্কটে রূপ নেয়। সরকারিভাবে এই সময়ে মৎস্যজীবীদের কার্ডের মাধ্যমে সহায়তা দেওয়ার কথা থাকলেও, কার্ড পেতে হয়রানি ও কার্ড থাকার পরও সেবা না পাওয়ায় অভাবগ্রস্থ হতে হয়। করোনাকালে বিভিন্ন পর্যায়ে সরকার নগদ অর্থ সহায়তা ও প্রণোদনা ঋণ প্রদান করলেও, জেলেরা ছিল উপেক্ষিত। ছিল সরকারি ত্রাণ পাওয়ার ক্ষেত্রে অসঙ্গতি। এসময় এনজিও ঋণ প্রদানও বন্ধ ছিল, যে কারণে খরচ চালাতে চড়া সুদে মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিতে হয়েছে।
শুনানীতে জেলেদের জন্য আলাদা সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি চালু করা, নগদ নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান, বিভিন্ন সময়ে প্রণোদনা ঋণের ব্যবস্থা করা, মৎস্যজীবী কার্ড প্রাপ্তিতে হয়রানি বন্ধ করা এবং কার্ডের মাধ্যমে সেবা নিশ্চিত করার দাবি তোলা হয়। এক্ষেত্রে ২ কোটি জেলেদের খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়নের গুরুত্ব তুলে ধরে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারের কাছে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
আই সি ডি এ-র বরিশালের উপদেষ্টা আনোয়ার জাহিদের সভাপতিত্বে শুনানীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ড. বিমল চন্দ্র দাস, অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জয়নাল আবেদিন, প্রফেসর শাহ্ সাজেদা, সহকারি অধ্যাপক শিবানি চৌধুরী, ম্যাপ এর নির্বাহী পরিচালক শুভংকর চক্রবতী, রান এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ রফিকুল আলম, ক্যাব এর সম্পাদক রনজিৎ দত্ত, আরোহির নির্বাহী পরিচালক এ টি এম খোরশেদ আলম, বেলার সম্বনয়কারী লিংকন বায়েন, সদস্য রেবেকা সুলতানা, র্যাক এর নির্বাহী পরিচালক মজিবুর রহমান খান, এন ভি এস এর নির্বাহী পরিচালক শতকত আলী বাদল, ÿুদ্র মৎস্যজীবীদের মধ্য থেকে টেস্টিমোনি প্রদান করেন শরবানু বিবি, বকুলজান বিবি, মোঃ ফোরকান হাং, আবদুল হক, মোঃ হযরত আলী, মোঃ মুজাহিদ গাজী প্রমুখ। ###