বরিশাল বিভাগের সংবাদ
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
বরগুনায় বাবা কর্তৃক কন্যাকে ধর্ষণ
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
সঞ্জীব দাস, বরগুনা : বরগুনায় চার বছরের মেয়েকে যৌননির্যাতনের অভিযোগে বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত রফিক ওরফে মিলন (৪৫) বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ফুলঢলুয়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। সে পেশায় একজন রং মিস্ত্রী।
শনিবার (২৪ অক্টেবর) আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার আগে শুক্রবার রাতে রফিক ওরফে মিলনকে গ্রেফতার করা হয়।
বরগুনা সদর থানার ওসি তারিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় শিশুটির মা থানায় এসে “নিজের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করায় ওইদিন রাতে অভিযান চালিয়ে আসামি রফিক ওরফে মিলনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, রফিক পুলিশের কাছে তার অপরাধ স্বীকার করেছে।
শিশুটিকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান,মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ওসি তদন্ত শহীদুল ইসলাম।
মামলার বাদী শিশুটির মা মিলনের স্ত্রী রুমা জানায়, পনের বছর আগে মিলনের সাথে তার বিয়ে হয়। গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে আমার চার বছরের মেয়েকে আমার স্বামী পাশবিক নির্যাতন করে আসছে। এক পর্যায়ে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে করন জানতে চাইলে। শিশুটি ব্যাথার জায়গা দেখিয়ে বলে, বাবা তাকে ব্যাথা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানতে পেরে মিলনকে মারধর করে বিষয়টি ফয়সালা করে। এরপরেও মিলন একই কাজ করে। আমি তাকে নিষেধ করলেও তিনি এ নির্যাতন বন্ধ করেননি। বিষয়টি লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে বলতেও পারিনি। আমার স্বামীর এমন ধারাবাহিক অনৈতিক ও পৈশাচিক কর্মকান্ডে আমি নিজেও লজ্জিত ও বিব্রত ছিলাম।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাতেও তার স্বামী আবারো মেয়েটির সাথে একই আচরণ করায় স্বামীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির জন্য মামলা করেন বলে জানান তিনি।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারিকুজ্জামান জানান, ওসি (তদন্ত) শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে রাতে অভিযান চালিয়ে মিলনকে গ্রেফতার করা হয়। মিলন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলে, আমি কিছু করিনি, শয়তান আমাকে দিয়ে করিয়েছে। শিশুটিকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম।