দর্শনার্থীদের ফেরৎ পাঠালেন কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
কলাপাড়া প্রতিনিধি : করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু নড়ীর টানে বাড়ি ফেরা মানুষগুলো ঈদের প্রথম দিন থেকে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে বিচ্ছিন্নভাবে জড়ো হয়েছে।
বিভিন্ন স্পট থেকে সৈকতে নেমে পরে সমুদ্র গোসল,হৈ-হুল্লোলে মেতে ওঠেন আগত দর্শনার্থীরা। গতকাল শুক্রবার দুপুরের পর হঠাৎ করে সৈকতে ওইসব মানুষ জড়ো হওয়ার পর পরই মাইকিং করে বাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছেন ট্যুরিষ্ট্য পুলিশের সদস্যরা। আগতরা বেশির ভাগই পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও স্থানীয় বলে জানিয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় সূত্রে গেছে, কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও এসব দর্শনার্থীরা মোটরসাইকেল নিয়ে ভীড় করতে থাকেন। পরে ট্যুরিস্ট পুলিশ মাইকিং করে আগত দর্শনার্থীদের নিজ নিজ গন্তব্যে ফেরৎ পাঠায়। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার সন্ধ্যার আগ মূহুর্তে দর্শনার্থীরা সৈকত থেকে নিজ গন্তেব্যে ফেরত গেছেন। এদিকে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে বসানো হয় কড়া পাহারা।
কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা মো. হাসান বলেন, সে ঢাকায় চাকরী করেন। ঈদের ছুটিতে বড়িতে আসেন। সকালের নামাজ শেষে মোটরসাইকেল যোগে কুয়াকাটা আসেন। সৈকতে কিছুক্ষণ থাকার পর ট্যুরিস্ট পুলিশের মাইকিং শুনে উঠে এসেছি।
অপর এক যুবক মেহেদীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ছুটিতে বাড়ি আসার পর তিন বন্ধু কুয়াকাটায় এসেছি। সৈকতে নেমে সমুদ্র গোসলের মুহুর্তেই ট্যুরিস্ট পুলিশ আমাদের উঠে যেতে বলেন। তবে দু:খ করে বলেন দীর্ঘ দিন পর বাড়িতে আসে শুধু মাত্র সমুদ্রের পানিতে পা ভিজিয়েই যেতে হবে। আমরা বুঝতে পারি নাই কুয়াকাটায় লকডাউন।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট এসোসিয়েশ (কুটুম) সিনিয়র সহ-সভাপতি হোসাইন আমির বলেন, ঈদের প্রথম দিন নড়ীর টানে বাড়ি ফেরা কিছুসংখক মানুষ কুয়াকাটায় এসে সৈকতে নেমে পরেন। তবে সবাই মোটরসাইকল নিয়ে এসেছে। আমি কয়েকজনের সাথে কথা বলে জেনেছি তারা আশেপাশের উপজেলার।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের ইনচার্জ বদরুল কবির বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। শুক্রবার দুপুরের দিকে কিছু দর্শনার্থী সৈকতে নেমেছিলো।
আমরা মাইকিং করে ত্রিশ মিনিটের মধ্যে নিজ নিজ গন্তব্যে ফেরৎ পাঠাতে সক্ষম হয়েছি। তবে যারা এসেছিল তারা পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও স্থানীয়। বর্তনানে কুয়াকাটা সৈকতে কোন দর্শনার্থী নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।