ফের বিক্ষোভে উত্তাল বাউফল
আ’লীগ নেতাদের উপর হামলা
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
বাউফল প্রতিনিধি : বাউফল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ইব্রাহিম সেলিমের সহোদর ইব্রাহিম ফারুককে হত্যার উদ্দেশে তার ওপর অতর্কিত হামলার বিচারের দাবিতে আবারো বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে বাউফলের জনপদ।
হামলার পর দীর্ঘদিন ভারতে উন্নত চিকিৎিসা শেষে সোমবার ইব্রাহিম ফারুক বাউফলে এলে বাসায় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠান, আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী বাউফল পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে ইলিশ চত্বরে সমাবেশ করে উপজেলা চত্ত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির পাদদেশে সমবেত হয়। এসময় ইব্রাহিম ফারুক উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সমাবেশে ইব্রাহিম ফারুক কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল বাউফলে আসার পরই শান্ত বাউফল অশান্ত হয়ে উঠেছে। বাউফল এখন সন্ত্রাস ও নেশার স্বর্গরাজ্য হয়েছে। এই পরিবেশ থেকে বাউফল পৌর এলাকাকে রক্ষার জন্য আমাদের নেতা আ.স.ম. ফিরোজ আমাকে বাউফল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ দিয়েছেন।
আমি নেতাকর্মীদের নিয়ে নেশার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার ফলেই আমার উপর হামলা হয়েছে। আমি কখনো ভাবিনি আমার প্রিয় জন্মভূমি বাউফলে সন্ত্রাসিদের দ্বারা আমি আহত হবো। সন্ত্রাসিরা আমাকে হত্যার উদ্দেশেই হামলা করেছে। হামলায় আমার বাম চোখ নব্বই ভাগ নষ্ট হয়ে গেছে। এসময় ইব্রাহিম ফারুকের উপর সন্ত্রাসি হামলাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি করে বক্তব্য রাখেন, বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার, ভাইস চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন খান, পটুয়াখালী জেলা পরিষদ সদস্য হারুন অর রশিদ খান, কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম. ফয়সাল আহমেদ মনির হোসেন মোল্লা, নাজিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাহাঙ্গীর তালুকদার, বাউফল পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এনায়েত খান ছানা, উপজেলা যুবলগি সভাপতি শাহজাহান সিরাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল প্রমূখ।
উল্লেখ্য, গত ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধায় বাউফল পাবলিক মাঠ সংলগ্ন একটি চায়ের ষ্টলে ইব্রাহিম ফারুক ও বাউফল প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক হারুন অর রশিদের উপর বাউফলের মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল সমর্থিত কিছু লোক অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাদেরকে গুরুতর জখম করে।