বরিশাল বিভাগের সংবাদ
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
তেঁতুলিয়ার ভাঙনে নিঃস্ব শতাধিক পরিবার
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
এইচ আর সুমন, ভোলা : একদিকে উজান থেকে আসা পানির চাপ, অন্যদিকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের দৌরাত্ম্য। দুইয়ে মিলে ভোলা সদর উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর তীরবর্তী প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় বেড়েছে ভাঙনের তীব্রতা। গত এক সপ্তাহের ভাঙনে শতাধিক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। আতঙ্কে দিন কাটছে ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েক হাজার মানুষ। দ্রুত বালুর বস্তা ফেলে অথবা সিসি ব্লক বাঁধ দিয়ে ভাঙন প্রতিরোধের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, ওই এলাকার ভাঙন প্রতিরোধের জন্য বাজেট জমা দেওয়া হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। স্থানীয়রা জানান, তেঁতুলিয়া নদীর তীরবর্তী ভেদুরিয়া ইউনিয়ন প্রায় এক দশক ধরে প্রতি বর্ষা মৌসুমে অল্প অল্প করে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। তার ওপর স্থানীয় একাধিক গ্রুপ ওই এলাকা থেকে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে চলছে।
চলতি বর্ষা মৌসুমে দেশের উত্তর এবং মধ্যাঞ্চলে সৃষ্ট বন্যার পানি প্রচ- গতিতে সাগরের দিকে নামছে। নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করায় তীব্র স্রোতে কূলে আঘাত হানছে। একদিকে বালু উত্তোলন অপরদিকে তীব্র তো স্রোতের-কারণে ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট থেকে চর চটকিমারা খেয়াঘাট পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটারে দেখা দেয়েছে তীব্র ভাঙন। স্থানীয়রা মনে করছেন অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করা না হলে হুমকির মুখে পড়বে পুরো ভেদুরিয়া ইউনিয়ন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম মাস্টার জানান, স্থানীয় এমপি সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ভেদুরিয়া ভেলুমিয়া এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এখানে প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। বর্তমানে তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ভেদুরিয়া গ্যাসফিল্ড, নির্মাণাধীন টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, মডেল মসজিদ, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাসহ হাটবাজার, রাস্তা ঘাট, ব্রিজ কালভার্ট ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। তিনি আরও জানান, নদী ভাঙনে ইতোমধ্যে অসংখ্য পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছে বহু অসহায় পরিবার। দ্রুত জিও ব্যাগ অথবা সিসি ব্লক বাঁধ দিয়ে ভাঙন রোধ করা প্রয়োজন।
ভোলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, ভেদুরিয়া পয়েন্টে যে বিশাল এলাকা ভাঙনের মুখে রয়েছে তা ইমার্জেন্সি ওয়ার্কের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এখানে বড় প্রকল্প প্রয়োজন তাই চলতি অর্থবছর ওই এলাকার ভাঙন প্রতিরোধের জন্য ডিজাইন করে বাজেট প্রস্তাবনা জমা দেওয়া হয়েছে।