ভোলায় মরদেহ বহন করবে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের গাড়ী
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
এইচ আর সুমন, ভোলা : আর ময়লার গাড়ীতে নয়, ভোলাবাসীর মরদেহ বহন করবে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের দাফনবাহী গাড়ী। দীর্ঘদিন যাবৎ এ জেলার ভিআইপি থেকে রাস্তার ফকির তারা কিংবা তাদের স্বজনদের মৃত্যু হলে ওই সকল মরদেহ বহন করার একমাত্র বাহন ছিল পৌরসভার ময়লার গাড়ী।
অবশেষে ভোলায় আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামকে মরদেহ বহন করার জন্য দাফনবাহী গাড়ী হস্তান্তর করেছেন শহরের কালীবাড়ি রোডস্থ আমেনা বেগম তহফিজুল কুরআন মাদ্রাসা নামে একটি প্রতিষ্ঠান। কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রুপালী ও জনতা ব্যাংকের সাবেক পরিচালক মাহাবুবুর রহমান হিরন এর আর্থিক সহায়তায়
ভোলা শহরের কালীবাড়ী রোডের মুকবুল জামে মসজিদের সামনে এই গাড়ি হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এ সময় মাদ্রাসার পক্ষে আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামের ভোলা শাখার সভাপতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলর নির্বাহী সদস্য ও ভোলা জেলা বিএনপি’র সভাপতি,সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীরের হাতে গাড়িটির চাবি তুলে দেন মাহাবুবুর রহমান হিরণের বড় ভাই আবু কাশেম আবু মিয়া। দীর্ঘদিন ধরে মরদেহ বহন করতে গিয়ে ভোলা বাসী নানা ভোগান্তির স্বীকার হয়েছে।
মরদেহ বহনের জন্য ভোলাবাসী কে আর ভোগান্তিতে পড়তে হবে না। আর বহন করতে হবে না মহিলার গাড়িতে মানুষের মরদেহ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ- সভাপতি ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার দোস্ত মাহামুদ, আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলাম সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ শওকাত হোসেন, সহ-সভাপতি সাবেক সিভিল সার্জেন ডা. অব্দুল মালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মো:বনি আমিন, সাবেক কমিশনার হুমায়ুন কবির সোপান, আমিনুল ইসলাম সংগ্রম প্রমুখ।
এই গাড়ি পাওয়ায় পর ভোলার মানুষের দীর্ঘদিনের একটি দূ:খ লাগব হলো । পরে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয় । উল্লেখ্য,ভোলা জেলা আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম ২০০৮ সাল থেকে ভোলা জেলা বেওয়ারিশ লাশে দাফন ও সৎকার কাজ করে আসছেন। হস্তান্তর অনুষ্টানে অঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ শওকাত হোসেন বলেন, যে কাজ টি ভোলার কোন মানুষে করেনা সেই কাজটিই করেন আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলাম। আমরা এ পর্যন্ত ২২০ টির মত গলিত বেওয়ারিশ লাশ মাটি দিয়েছি।
কবরের যায়গাও প্রায় শেষের দিকে। পাশে আরেকটি জমি দেখেছি কিছু টাকা জোগার হয়েছে আর কিছু টাকা হলেই ওই জমিটিও ক্রয় করে নিতে পারবো ইন শা আল্লাহ। এ ছাড়া প্রতিটি লাশ কবর দিতেও অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। ভোলার বৃত্তবানসহ সকলকে এই মহতি কাজগুলো করার জন্য এই পবিত্র রমজানে এগিয়ে আসার আহব্বানো জানান তিনি।