বরিশাল বিভাগের সংবাদ

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’: ভোলায় ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে এক জনের মৃত্যু

এইচ আর সুমন,ভোলা : ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে ভোলায় বুধবার সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। দমকা হাওয়ার সাথে কখনও হালকা আবার কখনও মূসলধরে বৃষ্টি হচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে জেলার লালমোহন উপজেলার চরসকিনা গ্ৰামে ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে আবু তাহের নামে এক রিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ঝড়ের কবলে পড়ে ৯ জেলে সহ একটি ট্রলার মেঘনা নদীতে ডুবে যায়। তবে স্থানীয় জেলেরা ডুবে যাওয়া ট্রলারের সকলকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে ভোলার নদ-নদী ও সাগরের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরফ্যাশনের বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন ঢালচর ও চর কুকরি মুকরি চার থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়।

এতে করে সেখানকার মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল সালাম হাওলাদার। আশ্রয়কেন্দ্র না থাকলেও ফের জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কায় সেখানকার আড়াই হাজার মানুষ মঙ্গলবার রাতে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, কোস্ট ট্রাস্ট ভবন ও ফরেস্ট অফিস ভবনে আশ্রয় নিয়েছে। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

তবে বুধবার সকালে তারা নিজ নিজ বাড়ি ঘরে ফিরে গেছেন। ভোলা জেলা প্রশাসক মোঃ তৈফিক-ই-লাহী চৌধুরী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়’ইয়াস’ মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলার ৭০৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গঠন করা হয়েছ ৭৬টি মেডিকেল টিম। এছাড়াও জেলা সদরসহ সাত উপজেলায় ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

ইতিমধ্যে পানিবন্দি ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে ১৭ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৪২ টন চাল মজুদ রয়েছে বলেও জানান তিনি। ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন, জোয়ারের সময় মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

তবে কোথাও কোন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের আয়োতায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রয়েছে তা ঝূকিমুক্ত রয়েছে। এরপরও আমাদের বেশ কয়েকটি টিম বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্টগুলো মনিটরিং করছে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন

মন্তব্য করুন

Back to top button