কালভার্ট নির্মাণ করতে গিয়ে হুমকির মুখে বসতবাড়ি

স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাধ ইউনিয়নে কালভার্ট নির্মাণ করতে গিয়ে চরম হুমকিতে পড়েছে একটি বসতঘর। ইতোমধ্যে ওই বসতবাড়ির গাছপালাসহ বাড়ির একটি অংশ ক্ষতির মুখে পড়েছে।
ওই বসতঘরের পাশের সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) বক্স কালভার্ট নির্মাণ কাজ চলছে। আর এ কাজের জন্য ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি টাকার ফলে ওই বাড়ির গাছপালা ও ঘরের একটি অংশ ভেঙে পড়ে যায়। যদিও দেড় কোটি টাকার বক্স কালভার্ট নির্মাণের ঠিকাদার শাহিন সিকদার ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে চেয়েছেন।
জানা গেছে, সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের রামকাঠিতে দুইটি বক্স কালভার্ট নির্মাণ কাজ চলছে। কাজের অংশ হিসেবে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি তোলা হচ্ছে। আর এই মাটি উত্তলনের কারণে রামকাঠি গ্রামের বাসিন্দা খালেক মোল্লার ছেলে মো. হানিফ মোল্লার ১০ শতাংশের বাড়ির প্রায় ৭ শতাংশই ভেঙে পড়ে যায়।
যার কারণে চরম দুর্ভোগ ও জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে দিন পার করতে হচ্ছে হানিফ মোল্লার পরিবারকে। এ অবস্থায় হানিফ মোল্লা বরিশাল জেলা প্রশাসক ও সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর চিঠি দিয়েছেন।
হানিফ মোল্লা বলেন, আমি গরিব মানুষ। দিনমজুরের কাছ করি। আমার যে ক্ষতি হয়েছে, আমার পক্ষে তা মেটানো সম্ভব নয়। আমার বাড়ির অর্ধেকের বেশি জমি ভেঙে পড়ে গেছে। এ বিষয়ে আমি জেলা প্রশাসক ও নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর সুবিচার চেয়েছি।
শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান মুন্না বলেন, উন্নয়ন কাজের জন্য মো. হানিফ মোল্লার বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে ঠিকাদারও সহযোগিতা করতে চান। আমি ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছি। এখন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হবে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী শাহীন সিকদার বলেন, ঘটনার পর সেখানে এসডি ও এসও পরির্দশন করেছেন। মূলত মাটি কাটার ফলে তার বাড়ির রান্নাঘরের একটি অংশ ধসে পড়েছে। এ বিষয়ে আমি সার্বিক সহযোগিতা করব বলে কথা দিয়েছি। তারপরও তারা কেন বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিচ্ছেন সেটা বুঝতে পারছি না।