বরিশাল বিভাগের সংবাদ

বাউফলে সরকারি পুকুর দখল করে মাছ চাষ

অতুল পাল, বাউফল : বাউফলের ধুলিয়া ইউনিয়নে এক যুবলীগ নেতা ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বছরের পর বছর সরকারি পুকুর অবৈধভাবে দখল করে মাছ চাষ করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুকুরের পাশেই স্থানীয় তহশীল অফিস থাকলেও অজানা কারণে তহশীলদার কিছুই জানেন না বলে সাংবাদিকদের জানান। এরফলে সরকার হাজার হাজার টাকার রাজস্ব হারাচ্ছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ধুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও ধুলিয়া স্কুল এন্ড কলেজের সংলগ্ন সরকারি দু’টি পুকুরে বিগত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে মাছ চাষ করে আসছে ধুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মো. আনিসুর রহমান জুয়েল (জুয়েল খলিফা)। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি ওই পুকুর দুটিতে মাছ চাষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি কোন দপ্তর থেকেই কোন অনুমতি বা লীজ নেয়া হয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর পুকুর দুটি থেকে প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকার মাছ বিক্রি করা হয়। অনুমতি বা লীজ না নেয়ার কারণে সরকারি কোষাগারে এক টাকাও জমা পড়েনি। সম্প্রতি ওই দু’টি পুকুর থেকে প্রায় ৪০ হাজার টাকার মাছ স্থানীয় এক মাছ ব্যবসায়ির কাছে বিক্রি করেছে জুয়েল। সে প্রভাবশালী হওয়ায় বছরের পর বছর অবৈধভাবে সরকারি পুকুর দখল করে মাছ চাষ করে আসলেও ভয়ে কেউ মুখ খোলছেন না।
তারা আরো বলেন, স্থানীয় তহশীলদারের সহযোগিতা ছাড়া এরকম বছরের পর বছর অবৈধভাবে মাছ চাষ করা অসম্ভব। এ বিষয়ে আনিসুর রহমন জুয়েল বলেন, পুকুর দু’টি পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে রয়েছে, তাই আমি মাছ চাষ করছি। সরকারের দরকার হলে নিয়ে যাবে।

ধুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তশিলদার মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। ধুলিয়া স্কুল এন্ড কলেজেরে গর্ভানিং বডির সভাপতি মো. মোফাজ্জেল হোসেন মফু কোন সদত্তোর দিতে পারেননি।

বাউফল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আসিনুর রহমান বালির দৃষ্টি আর্কষণ করা হলে তিনি বলেন, সরকারি যে কোন পুকুরে সাধারন মানুষেরর ব্যবহারের জন্য উন্মূক্ত। কেউই লীজ ব্যতীত মাছ চাষ করতে পারবে না। যদি কেউ অবৈধভাবে দখল করে মাছ চাষ করে থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

মন্তব্য করুন

Back to top button