বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন : পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
স্টাফ রিপোর্টার : পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। দুঃস্থ-অসহায় গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষদের গু”ছগ্রামে পুর্ণবাসিত করার জন্য সরকার প্রকল্প গ্রহন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন বড় একটি প্রকল্প নিয়েছেন, যা বিশ্বের ধনী দেশগুলোও হাতে নেয়ার সাহস পেতো না। কারণ পৃথিবীর ধনী দেশগুলোর আর বাংলাদেশর জনসংখ্যার পার্থক্য আকাশ-পাতাল। বাংলাদেশ ছোট একটি দেশ, যেখানে ১৬ কোটি মানুষ বসবাস। এক স্কয়ার কিলোমিটারে ১২ শত লোক বসবাস করে। যেখানে আমাদের জায়গা নেই, সেখানে এই প্রকল্প নিতে প্রধানমন্ত্রী যে সাহস করেছেন সেজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই।
গতকাল শনিবার বেলা ১২ টায় বরিশাল সার্কিট হাউজের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে গু”ছগ্রামে পুর্ণবাসিত পরিবারের মধ্যে দলিল হ¯Íান্তর ও সুবর্ণ নাগরিকদের মধ্যে হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের লামচরি গু”ছগ্রামে পুর্ণবাসিত ৬০ পরিবারের মাঝে দলিল হ¯Íান্তর ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ২০ সুবর্ণ নাগরিকদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়।
প্রতি মন্ত্রী বলেন, সুবর্ণ নাগরিকরা যাতে নিজের ওপর নির্ভশীল থাকে, অন্যের ওপর নয়। আর যারা ভূমিহীন ও গৃহহীন তাদের সরকার থেকে যে ধরণের ঘর দেয়া হ”েছ তা কল্পনাও করা যায় না। একটা মানুষ সারাটাজীবন চাকুরি, ব্যবসা করে তার পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাই নিশ্চিত করেন, আর সেটা কিš‘ এখন অবলীলায় পেয়ে যা”েছন। সরকারের পক্ষ থেকে যে ঘর দেয়া হয়েছে সেটাকে আপনাকে রক্ষনাবেক্ষন করতে হবে। রক্ষনাবেক্ষনের জন্য সরকারের দ্বিতীয়বার আসা সম্ভব না। তাই ঘরটিকে স্বজতেœ দেখভাল করে রাখলে দীর্ঘকাল ব্যবহার করতে পারবেন। আর রক্ষনাবেক্ষন না করলে সেটা ভেঙ্গে যাবে এবং সরকারকে দোষারোপ করবেন।
তিনি বলেন, আমরা বার বার বলছি, নদীর তীর থেকে বালু ওঠাতে দেবেন না। সবাই একজোট হন, প্রতিরোধ করেন। কিš‘ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী প্রলোভন দেখিয়ে সংশিøষ্ট এলাকার লোকজনকে কনভেন্স করে রাতের বেলা বালু উঠিয়ে নিয়ে যায়। এতে সাময়িকভাবে আর্থিক উপকৃত হলেও, পরবর্তীকালে বর্ষা মৌসুমে যে পুরো গ্রাম প্লাবিত হবে তা কিš‘ বুঝলো না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা নদীর তীর রক্ষাকরি। এক কিলোমিটার নদীর তীরে মাটির বাধে খরচ পড়ে ১ থেকে দেড়কোটি টাকা, আর সেই বাধ যদি বøক দিয়ে তৈরি করি তবে ছোট নদীতে খরচ পরে ৩০ কোটি আর ভোলার মতো বড় নদীতে ৮০-৯০ কোটি টাকা। আপনাদের টাকাতেই বাধগুলো নির্মাণ হ”েছ। কারণ আপনাদের ট্যাক্সের টাকাই সরকারের টাকা। কিš‘ আমরা বলি সরকারের টাকা তো সরকারের, আমাদের না।
জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ¯ি’ত ছিলেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার ড. অমিতাভ সরকার, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, গু”ছগ্রাম-২য় পর্যায় প্রকল্পের আঞ্চলিক প্রকল্প পরিচালক মোঃ রেজাউল বারী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মুনিবুর রহমান, সদর উপজেলার ভূমি কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান।
অনুষ্ঠানে উপ¯ি’ত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ হোসেন চৌধুরী, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাহমুদুল হক খান মামুন, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন ও মহানগর ছাত্রলীগের নেতা মাহাদ সহ অতিথি বৃন্দরা।