ইউপি নির্বাচন : পিরোজপুরে চাপের মুখে নৌকার প্রার্থীরা !
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
পিরোজপুর প্রতিনিধি : আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পিরোজপুর সদর উপজেলার সব কয়টি ইউনিয়নে চাপের মুখে পড়েছে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। দলীয় বিদ্রোহীদের চাপে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে তারা।
নৌকার প্রতীকের প্রার্থীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের একপক্ষ সরাসরি এসব বিদ্রোহীদের পক্ষে মাঠে নেমেছে। এমনকি প্রশাসনিক সহোযোগিতা পাচ্ছে নৌকা বিরোধী এসব বিদ্রোহী প্রার্থীরা। সদর উপজেলা ছাড়া অন্য উপজেলায়ও রয়েছে এমন অভিযোগ।
জানা যায়, ২১ জুন পিরোজপুর সদর উপজেলায় টোনা, কদমতলা, শরিকতলা ও কলাখালী ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। টোনা ইউনিয়নে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমরান আলম খান হারুন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। এ ইউনিয়নে বিদ্রোহী হিসেবে আছেন এমডি সোবাহান খান ও আনোয়ার হোসেন। এ দুজনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
কদমতলা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী হানিফ খান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। প্রতিপক্ষ শেখ শিহাব হোসেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রভাবশালী নেতা। শরিকতলা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আজমির হোসেন মাঝির প্রতিপক্ষ মিরাজুর রহমান রাজু মোল্লা। রাজু মোল্লা গত ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তার বাবা আওয়ামী লীগ নেতা।
এছাড়া নাজিরপুর উপজেলায় সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারেফ হোসেন খান। নির্বাচনে তার প্রধান প্রতিপক্ষ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল কান্তি বিশ্বাস।
নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের একপক্ষ এবারের নির্বাচনে বিদ্রোহীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের অনুসারী স্থানীয় যুবলীগ, স্বেচ্ছসেবক লীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও বিদ্রোহীদের পক্ষে কাজ করছে। ফলে সাধারণ ভোটারদের মাঝে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এসব বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সুবিধা পাবে জামায়াত ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা।
টোনা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইমরান আলম খান হারুন জানান, তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করেন। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের গ্রুপিংয়ে কখনো সক্রিয় নন এবং দলীয় সব পক্ষের কর্মসূচিতেই অংশগ্রহণ করেন বলে দাবি করেন। এসব কারণে কোনো পক্ষই আমার নির্বাচন নিয়ে খুব একটা আগ্রহী নয়। আমার প্রতিপক্ষ হিসেবে যারা নির্বাচন করছেন, তাদের নানাভাবে অনেকে সহায়তা করেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
দলের মধ্যে কোন্দলের কারণে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী সুবিধা নিচ্ছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও জানান, টোনা ইউনিয়নে জামায়াতের একজন শক্তিশালী প্রার্থী রয়েছে। জেলার জামায়াতের নেতাকর্মীরা চাঁদা তুলে প্রকাশ্যেই ভোটারদের মাঝে তারা টাকা বিলাচ্ছে। এ বিষয়ে সদর থানায় বারবার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ হাকিম হাওলাদার জানান, জেলা আওয়ামী লীগ সর্বোচ্চভাবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের সাথে আছে। তবে বিদ্রোহীদের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগ কোনো প্রকার সহায়তা করছে না।
দলীয় পদধারী যে সকল নেতারা নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামীকাল জেলা আওয়ামী লীগের সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।