কুঞ্জেরহাটে স্কুলের জমি উদ্দারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
ভোলা প্রতিনিধি : বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুঞ্জেরহাট এলাকায় প্রায় একশ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত ৪১ নং দক্ষিণ টবগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (কুঞ্জেরহাট প্রাইমারি স্কুল) ভবন ছাড়া আর সব জমি বেদখ হয়ে গেছে। সম্প্রতি ভবন সংলঘœ জমিটুকুতেও পার্শ্ববর্তী ডিটিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে।
এদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির লোকজন বাঁধা দিয়ে লাভ হয়নি। এমনকি উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে তদ্বির করেও কোন সুফল পাচ্ছেনা। তাই বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: জাকির হোসেন জানান, ১৯২৬ সালে কুঞ্জেরহাট এলাকার জনৈক আব্দুল মুনাফ এর দানকৃত চকডোষ মৌজার ৯৮৫ নং খতিয়ানে ২৮০ নং দাগে ২০ শতাংশ জমির উপর প্রাইমারি স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
পরবর্তীতে যা ৪১নং দক্ষিণ টবগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে পরিচিতি লাভ করে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন আরও জানান, তিনি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব নেয়ার পর দেখেন একটি দ্বিতল ভবন এবং তৎসংলঘœ খালি জমিসহ ১৬ শতাংশ জমি দখলে রয়েছে।
সম্প্রতি একই ক্যাম্পাসে অবস্থিত ডিটিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় (কুঞ্জেরহাট হাইস্কুল) ওই খালি জমিতে ভবন তৈরির কাজ শুরু করে। তাদেরকে বাধা দিয়ে থামাতে পারেন নি। নিরুপায় হয়ে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েও কোন সুফল পাচ্ছেন না। জাকির হোসেন অভিযোগ করেন, ৪ মাস আগে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে দরখাস্ত দিলে তা অফিস থেকে হারিয়ে যায়।
পরবর্তীতে আবারও দরখাস্ত দেয়া হয়েছে কিন্তু রহস্যজনক কারণে উপজেলা শিক্ষা অফিস নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, হাইস্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি স্থানীয় ওই ইউনিয়নের প্রাভাবশালী চেয়ারম্যান হওয়ায় কেউ প্রাইমারি স্কুলের জমির বিষয়ে কোন কার্যকরি পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।
প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, তিনি বহিরাগত। ভোলায় তার কোন আত্মীয় স্বজন নেই। তবে স্কুলের সম্পত্তি রক্ষায় তিনি যথা নিয়মে উপজেলা শিক্ষা অফিস এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দরখাস্ত দিয়েছেন। এখন কর্তৃপক্ষ যদি পদক্ষেপ নেয় তা হলে স্কুলের সম্পত্তি রক্ষা পেতে পারে।
এদিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান জানান, তারা প্রাইমারি স্কুলের জমিতে ভবন নির্মাণ করছেন না। প্রাইমারি স্কুলের জমি অন্য জায়গায়। সেই জমি অন্য মানুষের দখলে রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব কাজীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
কিন্তু প্রাইমারি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন অভিযোগ করেন, ইউপি চেয়ারম্যান বিভিন্ন জনকে বলে বেড়াচ্ছেন প্রাইমারি স্কুলের কোন জমি নেই। অথচ চেয়ারম্যান শালিসের তারিখ না দিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে গত তিন মাস ধরে ঘুরাঘুরি করছেন।
স্থানীয় সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সামাজিক প্রতিষ্ঠান। যেহেতু বিদ্যালয় দুটি একই ক্যাম্পাসে অবস্থিত তাই সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করলে ভাল হয়।