সীমিত লকডাউন : সড়কে সড়কে মানুষের ভিড়
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
পিয়াস চন্দ্র কুরী : সীমিত আকারে ঘোষিত লকডাউনের মধ্যেও নগরীর প্রধান সড়কসহ শাখা সড়কে জনসাধারণের উপস্থিতি দেখা গেছে। যান্ত্রিক বাহন না চললেও বাণিজ্যিক এলাকাগুলোতে মানুষের ভিড় ছিলো লক্ষ্যণীয়। এদের অনেকেই মাস্ক না পরে ঘুরে বেড়িয়েছেন।
নগরবাসীকে ঘরে রাখতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ২০টি ও জেলা প্রশাসনের ১৫টি দল কাজ করছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের প্রবেশ মুখে পুলিশ বসিয়েছে চেকপোস্ট। বাণিজ্যিক এলাকার বেশ কিছু ব্যবসায়ীকে দোকানের দরজা আংশিক খুলে ব্যবসা পরিচালনা করতে দেখা গেছে।
লকডাউনের প্রথম দিনে বরিশাল নগরীর বাণিজ্যিক এলাকা সদর রোড, গীর্জা মহল্লা, চকবাজার, বাজার রোডে জনসাধারণের বেশ উপস্থিতি ছিলো। এসব এলাকাসহ অলিগলিতে দোকানপাট কৌশলে খুলে বেচাবিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। দোকানের দরজা অর্ধেক খুলে জরুরী নয় এমন পণ্য সামগ্রী বিক্রি করছেন তারা। আইন শৃংখলা বাহিনীর গাড়ি দেখলেই ফের বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠান। এছাড়া বিভিন্ন এলাকার অলিগলিতে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে তরুণসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষকে অহেতুক জড়ো হতে দেখা গেছে।
প্রধান সড়কের মুখে চেকপোস্ট বসানোর কারনে নগরীর সড়কে নিয়মানুযায়ী রিক্সা চললেও কোন ধরণের গণপরিবহণ চোখে পড়েনি। পুলিশী তৎপরতায় নথুল্লাবাদ ও রূপাতলী টার্মিনাল থেকে কোন বাস-থ্রিহুইলারসহ কোন গণপরিবহণ ছেড়ে যায়নি। এতে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন সীমিত পরিসরে চালু থাকা বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে কর্মরতসহ জরুরী পরিসেবায় নিয়োজিত চাকুরীজীবীরা। তাদের অনেককেই কর্মস্থলে যেতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। রিক্সা বাদে কোন বাহন না থাকায় কয়েকগুণ ভাড়া গুণতে হয়েছে চলাচলকারীদের।
এছাড়া জরুরী সেবাদানকারী বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে সেবা প্রদান করতে দেখা গেছে। নগরবাসীকে ঘরে রাখতে বিভিন্ন এলাকা জেলা প্রশাসনের বেশ কয়েকটি দল নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছেন। এসময় জনসচেতনতা সৃষ্টিতে নগরীতে জেলা প্রশাসনের একাধিক দল কাজ করছে।
বরিশাল প্রধান ডাকঘরে সেবা নিতে আসা মোসলেম মিয়া জানান, ত্রিশ টাকার রিক্সা ভাড়া ৭০ টাকা দিয়ে আসতে হয়েছে। এখানে এসে দেখি স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে যে যার মত করে সেবা গ্রহণ করছে। এতে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার শংকা প্রকাশ করেন তিনি।
শহরতলীতে কর্মরত এক এনজিও কর্মকর্তা পারভেজ জানান, নগরীতে যান চলাচল বন্ধ থাকায় কখনও হেঁটে, আবার রিক্সায় ভেঙে ভেঙে যেতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হচ্ছে।
বরিশাল জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম বাড়ৈ জানান, জেলার ১০ উপজেলায় ১টি করে ও বরিশাল নগরীতে ৫টি দল সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনায় মাঠে রয়েছে। জনসাধারণকে ঘরে রাখতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান বলেন, বরিশালে চলমান সীমিত লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশের ২০টি দল কাজ করছে। নগরীর প্রবেশমুখগুলোতে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানান তিনি।