শেবাচিম হাসপাতালে জনবল নিয়োগে অনিয়ম তদন্তে কমিটি
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
স্টাফ রিপোর্টার : শেবাচিম হাসপাতালে জনবল নিয়োগে অনিয়ম দুর্নীতির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় এ কমিটি গঠন করে।
কমিটি মাত্র ১ সদস্য বিশিষ্ট করা হয়েছে। মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের একজন যুগ্ম সচিব কে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। তবে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার নাম প্রকাশ করতে রাজি হয়নি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়।
তদন্ত কমিটি গঠনের সত্যতা নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মোঃ মুহিবুর রহমান বলেন করোনা মহামারির কারনে এক সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে যাকে কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তার অনুরোধে নাম প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। খুব দ্রুত সময়ে বরিশালে গিয়ে তদন্ত কাজ শেষ করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জনবল নিয়োগে অনিয়ম দূর্নীতি হয়েছে এমন সন্দেহ প্রকাশ করে গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে সুপারিশ করেন হাসপাতাল ব্যবস্থা কমিটির সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি। তারপরও দীর্ঘ ৩ মাস ধরে ঝুলে ছিলো কমিটি গঠন।
তথ্য মতে, বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২টি ক্যাটাগরিতে ৩য় শ্রেণীর ৩২ জন কর্মচারী নিয়োগের জন্য গত বছর ২৩ ডিসেম্বর একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৭০০ আবেদনকারীর অংশ গ্রহণে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় ৪৪৪ জনকে উত্তীর্ণ দেখিয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি ফলাফল প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারীর সন্তান ও স্বজন জালিয়াতি করে এই নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। একই সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওইদিন পরীক্ষার হলে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের নকল সরবরাহ করে বলে অভিযোগ করা হয়।
এই অভিযোগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালের পরিচালক সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন দুই পরীক্ষার্থী।
এরপরও নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রাখায় তারা ওই নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে সোমবার ১৫ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি একে-এম শহীদুল হকের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের একক বেঞ্চ কেন এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল হবে না জানতে চেয়ে রুল জারীর নির্দেশ দেন। একই সাথে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া ৬ সপ্তাহের জন্য স্থগিতের নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞার পরেও হাসপাতাল পরিচালক মৌখিক পরীক্ষা শেষ করে ২৬ জনকে চূড়ান্ত ভাবে নিয়োগ প্রদান করেন।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ কার্যক্রম শেষ করে তার কয়েক দিন পরই মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে অবসরে যান হাসপাতাল পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেন। অভিযোগ রয়েছে নিয়োগের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া নিজের সেচ্ছাচারিতায় করেছেন তৎকালীন পরিচালক বাকির।
অর্থের বিনিময়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ প্রদান করেছেন। অবসরের সময় ঘনিয়ে আসায় অনিয়ম দূর্নীতির এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে নিজের ইচ্ছেমত সকল সেচ্ছাচারিতাই করেছেন পরিচালক ডা. বাকির।