হোটেল বন্ধে খাবার অনিশ্চিয়তায় রোগীর স্বজনরা
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
স্টাফ রিপোর্টার : বরিশালে কঠোর লকডাউন কার্যকরে খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধের সিদ্ধান্তে মারাত্মক সংকটে পড়েছেন হাসপাতালে থাকা রোগীর স্বজনরা।
শনিবার সকালে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনের সব হোটেল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন অনেকে। ঝুপড়ি চায়ের দোকানের রুটি-কলা মুহূর্তেই শেষ হয়ে যায়। নগরীর অন্য হোটেলগুলোও বন্ধ থাকায় পরে অনেকেই খাবার পাননি।
এমন অবস্থায় তাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন হাসপাতালের সামনে থাকা হোটেল মালিকরা। খিচুড়ি রান্না করে তা বিনামূল্যে বিতরণ করেন ৯ হোটেলের মালিক। তবে পরবর্তী খাবারের অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে দেড়সহস্রাধিক রোগী ভর্তি থাকে। প্রতি রোগীর সঙ্গে গড়ে স্বজন থাকেন দুজন। সেই হিসাবে প্রতিদিন শেবাচিম হাসপাতালে রোগী ও স্বজন থাকে প্রায় পাঁচ হাজার।
হাসপাতাল থেকে শুধু রোগীদের খাবার দেয়া হয়। তবে মান কম হওয়ায় বেশিরভাগ রোগীই তা খান না। প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা রোগী ও স্বজনদের তিন বেলা খাবারের ভরসা হাসপাতালের দোকানগুলো।
প্রশাসনের সিদ্ধান্তে হোটেল বন্ধ থাকায় শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে খাবার সংকটে পড়েন রোগী ও স্বজনরা।
হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার হোটেলের মালিক মো: ওয়ালিউর রহমান অলি জানান, শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেশিরভাগ রোগী ও স্বজনের তিন বেলা খাবারের চাহিদা মেটায় হাসপাতাল সংলগ্ন ৯টি হোটেল। শুক্রবার রাতে পুলিশ সদস্যরা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত হোটেলগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। ফলে শনিবার থেকে হাসপাতাল এলাকার সবগুলো খাবার হোটেল বন্ধ রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সকালে হোটেল বন্ধ দেখে খাবারের জন্য রোগীর স্বজনদের মধ্যে হা-হুতাশ শুরু হয়। গোটা নগরীর হোটেল বন্ধ থাকায় তারা বিপাকে পড়েন। খাবারের জন্য হৈ-চৈ শুরু করে দেন।
‘দুর্দশা দেখে ৯ হোটেল মালিক একত্রিত হয়ে ছয় মণ চাল-ডাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে বিনামূল্যে বিতরণ করে। রোগীদের কয়েক শ স্বজন লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে সেই খিচুড়ি নেন। তবে পরবর্তী খাবারের কী হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি।’
নগরীর সব হোটেল রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় শুধু রোগীর স্বজন নয় একই দুর্ভোগে পড়েছেন বিভিন্ন মেসের বাসিন্দা, নিম্নআয়ের মানুষ এবং বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রোগী ও স্বজনরা।