ফসলি জমিতে ‘মতলবের’ ঘর
ফসলি জমিতে 'মতলবের' ঘর
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
স্টাফ রিপোর্টার : অধিগ্রহণে বেশি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার লোভে বরিশাল বিমানবন্দর সংলগ্ন মানিককাঠী গ্রামে ফসলি জমিতে এভাবেই গড়ে তোলা হয়েছে আধাপাকা ঘর -সমকাল
বিমানবাহিনীর বেজ ক্যাম্প স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহণ হবে- এমন খবরে বরিশাল বিমানবন্দরসংলগ্ন ফসলি জমিতে ঘর তোলার হিড়িক পড়েছে। বাবুগঞ্জ উপজেলার মানিককাঠী গ্রামে নির্ধারিত ওই জমিতে গত তিন/চার মাসে দুই শতাধিক আধাপাকা ও টিনশেড ঘর উঠেছে। ঘর তোলা অব্যাহত আছে এখনও। পার্শ্ববর্তী ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের ইটভাটার মালিক মনির ও নাসির এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও ওয়ার্কার্স পার্টির একাধিক নেতাও সম্ভাব্য অধিগ্রহণের জমিতে আধাপাকা ঘর তুলেছেন। অধিগ্রহণে তিন গুণ মূল্য পাওয়া যাবে- এমন আশায় ঘরগুলো তোলা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন একাধিক জমির মালিক।
জানা গেছে, মানিককাঠী গ্রামে বরিশাল বিমানবন্দরসংলগ্ন ফসলি জমিতে বেজ ক্যাম্প স্থাপনের জন্য বিমানবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একাধিকবার ওই জায়গা পরিদর্শন করেছেন। গত সাড়ে তিন বছর বিষয়টি নানাভাবে পর্যবেক্ষণ হলেও এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
বরিশাল জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বেজ ক্যাম্প স্থাপনের জন্য ১৫৮ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করে অধিগ্রহণের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে- এমন খবর জানাজানি হলে তিন/চার মাস আগে ওই জমিতে ঘর তোলা শুরু করেন জমির মালিকরা। সেখানে একে একে গড়ে উঠছে ছোট-বড় স্থাপনা। এরই মধ্যে দুই শতাধিক ঘর উত্তোলন হয়েছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের নাসির খান নামের এক ব্যক্তি জানান, অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাবিত ওই জমিতে তার পরিবার ও বংশের প্রায় ২০ একর জমি রয়েছে। অধিগ্রহণ হবে এমন খবর পাওয়ার পর জমির মালিকরা যে যার মতো ঘর তুলেছেন। পাকা ঘর তুলেছেন আরেক জমির মালিক একই গ্রামের শিমুল বেগম। তিনি স্বীকার করেছেন, অধিগ্রহণ হবে শুনে ঘর তুলেছেন। অধিগ্রহণ না হলে নিজেই সেখানে বসবাস করবেন। আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ মল্লিক ও ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা শাহিন হোসেনও ওই জমিতে আধাপাকা ঘর নির্মাণ করেছেন।
সংশ্নিষ্ট রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরোয়ার মাহমুদ বলেন, ‘সম্প্রতি বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে যাওয়ার পরই ঘর তোলার হিড়িক পড়ে যায়, যা এখনও অব্যাহত আছে। প্রথমে বিষয়টি বুঝতে না পেরে কয়েকজনকে ইউনিয়ন পরিষদের হোল্ডিং নম্বর দেওয়া হয়েছিল। এখন নতুন ঘর তোলা কাউকে হোল্ডিং দেওয়া হচ্ছে না।’ বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিমানবাহিনীর ঘাঁটি স্থাপনে ১৫৮ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। অধিগ্রহণের প্রস্তাব তৈরির আগে নির্ধারিত জমির ভিডিওচিত্র ধারণ করে আনা হয়েছে। এরপর কেউ ফাঁকা জমিতে ঘর তুললে তা থেকে বাড়তি কোনো সুবিধা পাওয়ার সুযোগ নেই।’