মেঘনায় ট্রলার ডুবি : ৭ মরদেহ উদ্ধার, অনেকে নিখোঁজ

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর হাতিয়া চেয়ারম্যান ঘাটের দক্ষিণ-পশ্চিমে মেঘনা নদীতে বরযাত্রীসহ ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নববধূসহ সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
আজ মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে হাতিয়ার কেয়ারিংচর থেকে বর-কনেসহ ৮০-৮৫ জন আরোহী নিয়ে ডালচর যাওয়ার পথে এ নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে হাতিয়ার কেয়ারিংচর থেকে বর ও কনেসহ ৮০-৮৫ জন বরযাত্রী ভোলার ডালচর যাচ্ছিল। পথে হাতিয়া চেয়ারম্যান ঘাটের দক্ষিণ-পশ্চিমে মেঘনা নদীতে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা যাত্রীরা নদীতে সাঁতরে বাঁচার চেষ্টা করেন। ট্রলারটি স্রোতের টানে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি এলাকার টাংকির ঘাট এলাকায় ভিড়ে। পরে স্থানীয়রা ওই ট্রলার থেকে সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করে। এর মধ্যে নববধূ, তিন শিশু ও দুইজন নারী রয়েছেন।
নিহতরা হলেন, চানন্দী ইউনিয়নের আজিম নগর গ্রামের মো. ইব্রাহিমের মেয়ে নববধূ তাছলিমা আক্তার (২১), নোয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুর গ্রামের আফরিন আক্তার লামিয়া (২), একই গ্রামের আক্তার হোসেনের মেয়ে আছমা বেগম, আলমগীর হোসেনের ছেলে লিলি আক্তার (৮), হাতিয়ার কালাদুরের ফয়েজ উল্যাহ্ মেয়ে হোসনে আরা বেগম রুপা (৫), একই এলাকার আলা উদ্দিনের স্ত্রী রাহেলা বেগম (৩০), পূর্ব আজিম নগরের খোরশেদ আলমের স্ত্রী নূর জাহান (৬৫)।
উদ্ধার কাজে সাহায্যকারী স্থানীয় রফিক ও পুলিশের এক কনস্টেবল সোহাগ জানান, ট্রলারে থাকা অন্তত ৩০ জনকে জীবিত উদ্ধার হয়েছে। তারা সাঁতার কেটে বিভিন্ন মাছ ধরার ট্রলারে আশ্রয় নেয়। খবর পেয়ে হাতিয়া কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।
এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত (রাত ৯টা) নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধার কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেন জানান, এ পর্যন্ত নববধূসহ ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ২৫-৩০ জনের মতো জীবিত উদ্ধার হয়েছে। তবে এখনও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও পুলিশ।
তবে তিনি ট্রলারের যাত্রী সংখ্যা, জীবিত উদ্ধার হওয়া ও মৃতদের নাম ঠিকানা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।