দেশে আঘাত হানার আশঙ্কা নেই ইয়াসের
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
অনলাইন ডেস্ক : আবারও বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ভারতের ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানলেও বাংলাদেশে সরাসরি আঘাত হানবে না। তবে ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে দেশের উপকূলে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
বুধবার আবহাওয়াবিদ শাহানা সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানলেও বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়বে না।
আবহাওয়া অফিসের ১৮ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তর-উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি আরো উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বেলা ১২টা নাগাদ ডামরার উত্তর ও বালাশোরের দক্ষিণ দিক দিয়ে ভারতের উত্তর ওডিশা-পশ্চিমবঙ্গ অতিক্রম করেছে। এটি আরো উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পরবর্তী ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিমি পর্যন্ত বাড়ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ইয়াস উপকূল অতিক্রমকালে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ও পূর্ণিমার প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৬ ফুট অধিক উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।