Deprecated: Optional parameter $query_type declared before required parameter $number is implicitly treated as a required parameter in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 849

Deprecated: Optional parameter $order declared before required parameter $number is implicitly treated as a required parameter in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 849

Deprecated: Optional parameter $custom_content declared before required parameter $content is implicitly treated as a required parameter in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 984

Deprecated: Optional parameter $paragraph_number declared before required parameter $content is implicitly treated as a required parameter in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 984

Deprecated: Optional parameter $depth declared before required parameter $output is implicitly treated as a required parameter in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/classes/class-tielabs-mega-menu.php on line 451

Deprecated: Optional parameter $args declared before required parameter $output is implicitly treated as a required parameter in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/classes/class-tielabs-mega-menu.php on line 451

Deprecated: Optional parameter $sub_title declared before required parameter $the_post is implicitly treated as a required parameter in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/plugins/class-tielabs-fbinstant-articles.php on line 95
প্রবাসী কর্মীদের স্বপ্নভঙ্গ – বরিশাল দর্পণ
প্রবাসের সংবাদ

প্রবাসী কর্মীদের স্বপ্নভঙ্গ

বহুমাত্রিক সংকটে জনশক্তি রপ্তানি খাত


Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791

কামরুজ্জামান খান, ঢাকা : পরিবারের অভাব ঘোচানোর স্বপ্ন নিয়ে যারা বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন তারা এখন ভালো নেই। বিশেষ করে যারা ঋণ করে বাড়তি আয়ের আশায় প্রবাসে পা রেখেছিলেন তাদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস পাল্টে দিয়েছে সব হিসাব-নিকাশ। নিয়মিত কাজের বাইরে ওভারটাইম করে যারা বাড়তি আয় করতেন তারাও এখন বেকার। করোনায় ভেঙে গেছে প্রবাসীদের স্বপ্ন। বিশ্বজুড়ে লকডাউন এবং কর্মস্থলে স্থবিরতার কারণে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি খাতে বহুমাত্রিক সংকট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা একদিকে বেতন পাচ্ছেন না আবার অনেকে ছাঁটাই ও মজুরি কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। এরই মধ্যে দেশে ফিরেছেন কয়েক হাজার প্রবাসী। আরো কয়েক লাখ প্রবাসীর দেশে ফেরার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানা গেছে।
বিশ্বের ১৬৯টি দেশে বাংলাদেশের এক কোটিরও বেশি মানুষ কাজ করেন। এর মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশেরই কর্মসংস্থান মধ্যপ্রাচ্যে। বেকার হয়ে পড়ায় বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের অনেকেই এখন বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারছেন না। চাকরি নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে অধিকাংশই দেশে ফেরার সময় গুনছেন। বিশেষ করে এতদিন অবৈধভাবে বিদেশে আছেন এমন বাংলাদেশির সংখ্যাও কম নয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের অবস্থা শোচনীয়। সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, দুবাই, মালয়েশিয়া, ইতালিসহ কোথাও প্রবাসীদের জন্য সুসংবাদ মিলছে না। প্রবাস থেকে দেশের স্বজনদের কাছে প্রতিনিয়ত আসছে হতাশার খবর।
এ প্রসঙ্গে জনশক্তি, কমর্সংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শামছুল আলম বলেন, কর্মী (শ্রমিক) যায় আসে এটা নিয়মিত ঘটনা। তবে করোনার কারণে সারাবিশ্বে কাজের চাহিদা কমেছে। পরিস্থিতি বদলে গেলে আবার কাজের চাহিদা তৈরি হবে। সরকার প্রশিক্ষিত কর্মী তৈরি করে বিদেশে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি যারা বিদেশ থেকে ফিরছেন তাদের সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে দেশে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন শ্রমবাজার খোঁজা হচ্ছে। প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে কাজ করেন সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সৌদি আরবে এখনো যে কড়াকড়ি চলছে তাতে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সবাই। এছাড়া মহামারির প্রভাবে দেশটির তেলনির্ভর অর্থনীতিও মন্দার কবলে। এ অবস্থায় সৌদিতে বহু প্রতিষ্ঠানে বেতন কাটা হচ্ছে এবং শ্রমিক ছাঁটাই শুরু হয়েছে।
করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই ঘরে বসে দিন পার করছেন কাতারে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকরা। এতে চরম মানবেতর দিন পার করছেন তারা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, গত মার্চ মাসে প্রবাসীরা ১২৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন যা চলতি অর্থবছরই শুধু নয় বিগত ১৫ মাসের মধ্যেও সর্বনিম্ন। চলতি বছরের নয় মাসে গড় রেমিট্যান্স ছিল মাসে ১৫৩ কোটি ডলার। বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারির প্রভাবে প্রবাসীদের টাকা পাঠানোর পরিমাণ আরো কমতে পারে বলেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অবশ্য গত জুন মাসে বৈদেশিক মদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৩৪ ও ৩৫ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে।
মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে কর্মরত জয়নাল আবেদীন জানান তিন মাস ধরে তিনি দেশে টাকা পাঠাতে পারছেন না। গত মাসে বেতন ভাতাও পাননি। তিনি যে কারখানায় কাজ করেন সেটিও বন্ধ।
মানিকগঞ্জের সিংগাইরের জয়মন্টব গ্রামের আছিয়া খাতুনের দুই ছেলে সৌদি প্রবাসী। আরেক ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী। এতদিন তাদের সংসার খুব ভালোভাবে চলছিল। ঋণ করে ছেলেদের বিদেশে পাঠানো হলে সেই টাকা প্রায় সুদ হয়েছে। কিন্তু গত তিন মাস ধরে তারাই কষ্টে আছে। কাজ না থাকায় টাকা পাঠাতে পারছে না দুই ছেলেই। আছিয়ার চোখে এখন দুঃস্বপ্ন ভর করেছে।
ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ ও দোহারের কয়েক হাজার যুবক প্রবাসে কাজ করে। তাদের বদৌলতে বদলে গেছে অনেক গ্রামের চেহারা। দোহারের জয়পাড়া, রায়পাড়া, নারিশা, মুকসুদপুর, কার্তিকপুর, বাংলাবাজার, শাইনপুকুর, ধোয়াইর, মেঘুলা, মালিকান্দা, সুতারপাড়া ও নবাবগঞ্জের বান্দুরা, কলাকোপা, হাসনাবাদ, বাগমারা, নয়নশ্রী, গোবিন্দপুর, আগলা, চুরাইন গ্রামের আনন্দ থেমে গেছে। মূলত প্রবাসীদের পাঠানো টাকায় বদলে গেছে গ্রামগুলোর চেহারা। কিন্তু করোনাকালে প্রবাসীরা বেকার হয়ে পড়ায় গ্রামের মানুষের মুখ মলিন হয়ে পড়েছে। প্রবাসীদের পাঠানো টাকায় নির্মিত ওইসব গ্রামের বাড়িগুলো ঘুরলে অজানা আশঙ্কায় সুনসান নীরবতা চোখে পড়ে।
সৌদি আরব, কুয়েত, আরব আমিরাত, কাতার, বাহরাইন, ওমানের মতো দেশগুলোতে করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে প্রায় সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য। এখনো স্বস্তি ফেরেনি। ব্যস্ত শহরগুলোতে নীরবতা বিরাজ করছে। দিনের বেলা নগর জেগে উঠলেও বন্ধ প্রায় প্রতিটি কর্মক্ষেত্র। এমন অবস্থায় আর্থিকভাবে সংকটে পড়ছেন প্রবাসীরা। একদিকে যেমন দিন কাটছে আতঙ্কে, অন্যদিকে ঘরে বন্দি থাকায় বাড়ছে দুশ্চিন্তা। অসহায় হয়ে পড়েছেন প্রবাসী শ্রমজীবী মানুষ। অনেকেই আছেন চাকরি হারানোর ভয়ে। কাজ বন্ধ হওয়ার কারণে রোজগারও বন্ধ। ইতোমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান মাসিক বেতন কমিয়ে অর্ধেক করেছে। কেউ কেউ বিনা বেতনে ছুটি দিয়েছে কর্মীদের। অনেক প্রতিষ্ঠান আবার বেতনও দিতে পারেনি। অনেকে দেশে গিয়েও আর ফিরতে পারেননি। কয়েক লাখ টাকা খরচ করে এসব প্রবাসীর কেউ গিয়েছেন নতুন ভিসায়, যাদের প্রতি মাসে ধারদেনা শোধ করতে হয়। একদিকে যেমন নিজে চলতে হয়, অন্যদিকে পরিবার চালাতে হয়। বিদেশে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হয় প্রতিনিয়ত। আর মাস শেষে যখন বেতনের টাকাগুলো হাতে আসে, তখন চোখ-মুখের ক্লান্তির ছাপ চলে যায় নিমিষেই। কিন্তু হঠাৎ করোনার উত্তাপ সব হিসাব বদলে দিয়েছে।


Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791

মন্তব্য করুন

Back to top button