মৃত্যু চিকিৎসকের স্বাক্ষর জাল করে দেয়া হয়েছে প্যাথলজি রিপোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার : মৃতবরন করা চিকিৎসকের স্বাক্ষর করে জাল করে দেয়া হয়েছে প্যাথলজি পরীক্ষার রিপোর্ট। ব্যবস্থাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে ভূয়া ডিগ্রী। দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের সঙ্গে প্রতারনা করে আসছিল বরিশাল নগরীর জর্ডান রোডের সেন্ট্রাল মেডিকেল সার্ভিসেস নামক একটি ডায়গণষ্টিক প্রতিষ্ঠান। বুধবার রাতে ভ্রাম্যমান অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত অভিযোগে এক চিকিৎসকসহ তিনজনকে ৬ মাস করে কারাদন্ড দিয়েছেন। সিলগালা করে দেয়া হয়েছে ডায়গণষ্টিক প্রতিষ্ঠানটি।
বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সেন্ট্রাল মেডিকেল সার্ভিসেস নামক প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালানো হয়। দন্ডিতরা হচ্ছে, চিকিৎসক নুর এ সরোয়ার সৈকত, ডায়গণষ্টিক সেন্টারের মালিক এ.কে চৌধুরী ও জসিম উদ্দিন মিলন।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মুবিনুল হক জানান, খাদিজা নামক এক রোগীকে বুধবার প্যাথলজি পরীক্ষার রিপোর্ট দেয়া হয়। ওই রিপোর্টে স্বাক্ষর ছিল গত ১৯ জুলাই মৃত্যুবরন করা ডা. গাজী আমিনুল্লাহ খানের। মৃত্যুর আগে তিনমাস অসুস্থ ছিলেন তিনি। এছাড়া ডায়গণষ্টিক সেন্টারের সাইনবোর্ডে নাম লেখা রয়েছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সদ্য মৃত্যুবরন করা বরিশাল সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ইমদাদ উল হকের নাম।
সেন্ট্রাল মেডিকেল ডায়গণষ্টিক সেন্টারে রোগী দেখেন এমবিবিএস ডিগ্রীধারী চিকিৎসক নুর এ সরোয়ার সৈকত। তিনি ২০১৯ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিএসএস পাশ করে বিএমডিসির সনদ অর্জন করেন। তিনি অন্যকোন ডিগ্রী অর্জন না করলেও ব্যবস্থাপত্রে একাধিক ভূয়া ডিগ্রী উল্লেখ করেছেন।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান বলেন, দি সেন্ট্রাল মেডিকেল সার্ভিসেস নামের ওই প্রতিষ্ঠানটি অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছিল। দালালরা সহজ-সরল রোগীদের ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষার নামে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিত। ওই ডায়গণষ্টিক সেন্টার থেকে একাধিক চিকিৎসকের নাম সম্বলিত ব্যবস্থাপত্র জব্দ করা হয়েছে।