কুয়াকাটা সৈকতে উল্লাসে মেতে উঠছে পর্যটকরা
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
উত্তম কুমার হাওলাদার : বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী উপলক্ষে পর্যটন কেন্দ্র সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটার বালিয়াড়িতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেতে উঠছে পর্যটকরা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত অবধি উন্মুক্ত মঞ্চে সুরের মুর্ছনায় আগত পর্যটকদের মাতিয়ে তুলেন শিল্পীরা। আর গানের ফাঁকে ফাঁকে চলে স্থানীয় রাখাইনদের নৃত্য। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পরিবেশিত গান ও কবিতায় মন কাড়ে পর্যটকদের। এ সাংকৃতিক অনুষ্ঠানে প্রতিদিনই বাড়ছে পর্যটকের ভীড়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা পুলিশ ও কুয়াকাটা পৌর সভার যৌথ উদ্যোগে ১০ দিন ব্যাপী এ সাংস্কৃতিক আনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মঙ্গলবার রাতে বালু ভাস্কর্যের পাশে উন্মুক্ত মঞ্চে ছোট নকুল নামের তাপস মজুমদার, বাংলাদেশ টেলিভিশনের নতুন কুড়ি শিল্পী নওমি আক্তারের একাধিক গানের সাথে সৈকতে উল্লাসে মেতে ওঠে আগত পর্যটকসহ স্থানীয়রা।
এছাড়াও কুয়াকাটার শিল্পী গোষ্টির ওস্তাদ রেজাউল করিম, ইমন ও আশিক সৈকতের বালিয়াড়ির উন্মুক্ত মঞ্চে সংগীত পরিবেশন করেন। আর এ অনুষ্ঠান চলবে আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত জানিয়েছেন আয়োজকরা। সাংস্কৃতিক আনুষ্ঠানে কুয়াকাটা হোটেল মোটেল নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ও আগত পর্যটকরা উপস্থিত ছিলেন।
পর্যটক জহির রায়হান বলেন, সাগরে পাড়ে দাঁড়িয়ে মৃদু বাতাস আর সৈকতে উন্মুক্ত মঞ্চে সংঙ্গীত উপভোগ করব এটা ভাগ্যের ব্যাপার। দেখলাম স্থানীয় রাখাইন শিল্পীদের নৃত্য। সারাদিন বন্ধুদের নিয়ে ঘোড়াঘুড়ি ক্লান্তি যেনো এখানেই শেষ হয়েছে।
আনুষ্ঠান শেষে ঢাকার শিল্পী নওমি আক্তারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, একদিকে সমুদ্রের নির্মল বাতাস। আর মাথার উপরে চাঁদের আলো। সৈকতে দাঁড়ানো এতে পর্যটকের সামনে পারফর্ম করা এই প্রথম। ভালই লেগেছে। তবে দেশে বিভিন্ন এলাকায় গান করেছি। ছোট নকুল নামের তাপস মজুমদার বলেন, নকুল কুমার বিশ্বাস একজন গায়ক। গান লেখেন, সুর করেন। তারই গান মত গান গাওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি দর্শক ও শ্রোতারা মুগ্ধ হয়েছে।
কুয়াকাটার শিল্পী গোষ্টির পরিচালক হোসাইন আমির বলেন, পর্যটকদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে স্থানীয় রাখাইন শিল্পীরাও এ উন্মুক্ত মঞ্চে নৃত্য করেছে। এছাড়া অনুষ্ঠানের শুরু থেকে আমাদের শিল্পীর পাশপাশি দেশের বিভিন্ন শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেছেন। আশা করি ২৬ মার্চ পর্যন্ত সুন্দর ও শান্তি পূর্নপরিবেশের মধ্যে অনুষ্ঠান সম্পন করতে পারবো।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জেলা পুলিশ ও কুয়াকাটা পৌরসভার উদ্যোগে বালু ভাস্কর্য লাগোয়া সৈকতের নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চে টানা ১০ দিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক আনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠান চলবে ২৬ মার্চ পর্যন্ত বলে তিনি জানিয়েছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. সোহরাব হোসেন বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ সর্বদা পর্যটকদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া সৈকতের নির্মিত বালু ভাস্কর্য সহ পর্যটন স্পট গুলেতে পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে।