তরমুজ আবাদে যুক্ত হলো নতুন মাত্রা
সাশ্রয় হবে বৈদেশিক মুদ্রা
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
পটুয়াখালী প্রতিনিধি : বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের লেবুখালী আঞ্চলিক উদ্যান তত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র উদ্ভাবিত নিজস্ব দুটি জাতের তরমুজের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় বীজ বোর্ড।
পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার লেবুখালী আঞ্চলিক কৃষি উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র বারি তরমুজ-১ ও বারি তরমুজ-২ জাত দুটি উদ্ভাবন করে। সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় বীজ বোর্ডের সচিব বলাই কৃষ্ণ হাজরা এ জাত দুটির নিবন্ধন প্রত্যয়নপত্র প্রদান করেছেন।
এর ফলে বারি তরমুজ-১ ও বারি তরমুজ-২ জাত দুটি মুক্তায়িত হয়েছে এবং এতে করে সরকারের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে আর বাংলাদেশের কৃষক পর্যায়ে এক নতুন মাত্রা যোগ হলো।
আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, হাইব্রিড জাতের এই তরমুজ দেশের সব অঞ্চলে চাষ করা যাবে। বারি তরমুজ-১ ও বারি তরমুজ-২ একটির ভিতরে (মাংসল অংশ) হলুদ অপরটির ভিতরে (মাংসল অংশ) লাল রঙের। এ জাতের প্রতিটি গাছে দুই থেকে তিনটি ফলন হবে, যা গড়ে চার থেকে পাঁচ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়।
গাছ লাগানোর ৯০ থেকে ১০০ দিন সময় প্রয়োজন হয় ফলনে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের দক্ষিণ উপকূলে কৃষকের লাভজনক এই ফলটি চাষে প্রতিবছর প্রচুর অর্থ ব্যয় হয় তরমুজের বীজ সংগ্রহ করতে। প্রতিবছর তরমুজের বীজ বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। আর এ বাবদ বছরে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা ব্যয় হয়।
আর এসব বীজ হাইব্রিড হওয়ায় উৎপাদিত ফল থেকে বীজ সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় না। এ ছাড়া প্রতিবছর আলাদা আলাদা জাতের বীজ আমদানি করার ফলে এর অঙ্কুরোদ্গম, সফল পরিচর্যা করতে কৃষকদের বিভিন্ন সময় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।
তাই দেশের এলাকা সহিষ্ণু তরমুজের নিজস্ব জাত উদ্ভাবনে সফল হয়েছেন পটুয়াখালী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা। লেবুখালী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষনা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বারি তরমুজ বিজ্ঞানী রেজাউল করিম জানান, জাত দুটি ওপেন পলিনেটেড ভ্যারাইটি (পরাগায়ন) হওয়ায় কৃষকরা এ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন এবং অঙ্কুরদ্গম হবে। ফলে কৃষককে প্রতিবছর বীজ ক্রয় করতে হবে না। অনেক সময় আমদানি করা বীজ অঙ্কুরদ্গম হয় না। তখন কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হন। পাশাপাশি শুধু গ্রীষ্মকালেই নয় এই জাত দুটি সারা বছর আবাদ করা যাবে।
কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বারি তরমুজ বিজ্ঞানী ড. মো. ইদ্রিস আলী হাওলাদার জানান, জাত দুটি অনুমোদন পাওয়ায় তরমুজের বীজ আর বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে না। তাই দেশের টাকা দেশেই থাকবে। অপর দিকে তরমুজটি যেমন খেতে মিষ্টি, তেমনি এর সাইজও অনেকটা ফ্যামিলি সাইজের। ফলে ক্রেতারাও এটি কিনতে আকৃষ্ট হবেন।