অক্সিজেন দেয়ার সক্ষমতা নেই বরিশালের ৩৯ হাসপাতালের
গুরুতর করোনা রোগীর
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
স্টাফ রিপোর্টার : গুরুতর করোনায় আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করার সক্ষমতা নেই বরিশাল বিভাগের ৩৯ জেলা ও উপজেলা হাসপাতালের। বিভাগের মোট ৪৭ হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ৮টি হাসপাতালে রয়েছে সেন্টাল অক্সিজেন সেন্টার। যার কারণে ৩৯ হাসপাতালের গুরুতর করোনায় আক্রান্ত রোগী ও শ্বাসকষ্টের রোগীদের চিকিৎসা হয়না বললেই চলে।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে ও স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত দেড় বছর ধরে করোনার আগ্রাসন বেরেই চলেছে সারা দেশেসহ বরিশাল বিভাগে। গত এক সপ্তাহ ধরে এই বিভাগের করোনা আক্রান্তে প্রতিদিনই রেকর্ড ভেঙ্গে চলেছে।
আর গুরুতর অসুস্থ করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী জরুরী অক্সিজেন। যে কোনো শ্বাসকষ্টের রোগীরও জীবন বাঁচানোর প্রধান অনুসঙ্গ এই অক্সিজেন। বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতাল ও বিভাগের ৬ জেলা ও ৪০ উপজেলা হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ৮টি হাসপাতালে রয়েছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ। বাকি ৩৯টি হাসপাতালেই নেই এরকম কোন ব্যবস্থা। এসব হাসপাতালে এখনো রোগীদের প্রয়োজন মেটাতে ব্যবহার হয় অক্সিজেন সিলিন্ডার। তবে এক একটা অক্সিজেন সিলিন্ডারে সর্বোচ্চ ১২ লিটার অক্সিজেন থাকে।
চিকিৎসকরা বলছে, করোনা আক্রান্ত কোন রোগীর অক্সিজেনের মাত্রা যদি ৯৫’র নিচে নামে গেলে তার প্রতি মিনিটে দেড় লিটার অক্সিজেন দরকার হয়। এছাড়া ৮৫’র নিচে নামলে লাগে মিনিটে ১০ থেকে ১২ লিটার দরকার। এরকম রোগীর ক্ষেত্রে এক মিনিটেই শেষ হয়ে যাবে একটি সিলিন্ডার। গ্রামাঞ্চলে বহু করোনা রোগী আছে যারা শ্বাস কষ্ট শুরু হওয়ার আগে হাসপাতালে আসেনা। এসব রোগী উপজেলা হাসপাতালে এলে সিলিন্ডারের অক্সিজেন দিয়ে বাচিয়ে রাখা কোন অবস্থাতেই সম্ভব হয় নয় বলে চিকিৎসকদের ধারনা।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে থাকা সেন্টাল অক্সিজেন ব্যবস্থায় অক্সিজেন সংরক্ষন করা যাবে ২০ হাজার লিটার। এছাড়া ৪ জেলা হাসপাতালে অক্সিজেন ট্যাংকারগুলোর ধারন ক্ষমতা ৩ হাজার ৪২০ লিটার করে। আর গৌরনদী, দুমকি ও মীর্জাগঞ্জ উপজেলা ধারন ক্ষমতা ৭২০ লিটার।
অন্য হাসপাতালগুলোতে নেই অক্সিজেন সেন্টার পদ্দতি। তবে বিষেশজ্ঞদের মতামত হলো, প্রতিটি উপজেলা হাসপাতাল মেনিফোল্ড রির্জাভার এবং সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই থাকা জরুরী। আর এটা স্থাপন করা গেলে করোনাসহ অন্যান্য শ্বাসকষ্টের রোগে মৃত্যুর হার অনেক কমে যেত। আর এটা না করা গেলে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে জেলা ও বরিশাল মেডিকেলে আনার পথেই অনেক রোগী অক্সিজেনের অভাবে মারা যাবে।