ছাত্রলীগকে সঠিক দয়িত্ব পালন করতে হবে : মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
পিরোজপুর অফিস : মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রী শ.ম.রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, সব সংগ্রামে সর্বোাচ্চ ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জল ভূমিকা ছিল। সব সময় ছাত্রলীগকে সঠিক দয়িত্ব পালন করতে হবে। দেশকে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আন্দোলন ছিল সেই আন্দোলনকে বেগবান করেছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের কর্মীদের মাদক, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও নৈতিকতার প্রশ্নে আপোষহীন থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগের রাজনীতিকে উজ্জিবিত করে হয়েছিলেন ছাত্রলীগের প্রাণ পুরুষ। বাংলাদেশের যা কিছু গৌরবময় অর্জন এই সকল অর্জনের কৃতিত্বের সম্মুখ সারির দাবিদার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ১৯৬৯ এর গণ অ™ু¢ত্থান,৬২ শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন,১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ৬ দফাকে মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌছানো এবং ১৯৭০ এর নির্বচনে ছাত্রলীগের ছিলো গৌরব উজ্জল ভুমিকা। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ছাত্রলীগই প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ওই আন্দোলনে বিশ^জিৎনন্দী সহ অধিকাংশই ছিলো ছাত্রলীগের নেতা কর্মী। তিনি সোমবার দুপুরে পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের শহিদ ওমর ফারুক অডিটরিয়মে জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর ৪৫ তম শাহদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী এ সময় নিজের কথা উল্লেখ করে বলেন, ছাত্রলীগের একজন কর্মী ছিলাম সেটা নিয়ে আমি গর্ববোধ করি। যড়যন্ত্রকারীরা বহুবার মারতে চেয়েছিলো আমাকে। কিন্তু প্রানে বেঁচে আছি এখন আওয়ামীলীগের কর্মী হিসেবে কাজ করতে পারছি এটাই গর্বের। আমি জিয়াউর রহমানের ভয়াবহ সামরিক শাসনের সময় ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে ছাত্রদের ম্যান্ডেট পেয়েছিলাম। তখনও বেশ কয়েকবার আমাকে মেরে অজ্ঞান অবস্থায় হত্যার উদ্দেশ্যে রেল লাইনের ফেলে আসা হয়েছিলো। আজ আমার আবার ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই আশির দশকে। যখন আমি ছাত্রলীগের কর্মী ছিলাম।
মন্ত্রী প্রত্যেকটি ছাত্রলীগের কর্মীকে মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ,দুর্নিতীর বিরুদ্ধে সোচ্চার, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও নৈতিকতার প্রশ্ন এবং মূল্য বোধের প্রশ্নে আপোষহীন থাকার আহবান জানান। এ সময় মন্ত্রী সকলকে লেখাপড়ার দিকে মনোযোগি হওয়ার কথা বলেন।
তিনি বলেন,জিয়াউর রহমান ছাত্রদের হাতে অস্ত্র এবং টাকা তুলে দিয়েছিল। শেখ হাসিনা ছাত্রদের হাতে বই এবং কলম তুলে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ গুলো শুনবেন তিনি কিভাবে ছাত্রলীগকে কর্মসূচি পালনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। ভালো লেখাপড়া করে আগামী দিনের নেতৃত্বে হিসাবে তোমাদেরকে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে।
ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মীকে উদ্দেশ্য মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে রক্ষা করতে,বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে রক্ষা করতে, শেখ হাসিনার অগযাত্রকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে একমাত্র ছাত্রলীগ পারে অতন্দ্র প্রহরির ভুমিকায় অবতির্ন হতে।
সদর উপজেলা এ শোক সভায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আহসান মাতুব্বরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এম. এ. হাকিম হাওলাদার, সহ-সভাপতি শাহজাহান খান তালুকদার, আব্দুর রাজ্জাক খান বাদশা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান ফুলু, বাস মালিক সমিতির সভাপতি জসিম উদ্দিন খান, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি চান মিয়া মাঝি, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ আহবায়ক শফিউল হক মিঠু, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোপাল বসু, সাবেক কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন পিরু, জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউল আহসান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাকসুদুল ইসলাম লিটন, যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান শামিম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনিরুজ্জামান অনিক প্রমুখ। এসময় সহ জেলা উপজেলা পৌর ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা মোঃ ফারুক আব্দুল্লাহ। এ সময় ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।