প্রধান সংবাদ

জলাবদ্ধতায় বিপর্যস্ত দখিনের জনজীবন

আহসান হাবিব : বৈরী আবহাওয়া ও নদীবন্দরগুলোতে দুই নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করায় বরিশালের অভ্যন্তরীণ সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। কর্তৃপক্ষ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
শুক্রবার সকালে লঞ্চ চলাচল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান।
এদিকে, ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন জানান, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল থেকে বরিশাল নদীবন্দর থেকে কোনো লঞ্চ অভ্যন্তরীণ রুটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। আবার কোনো লঞ্চ বরিশাল নদীবন্দরে যাত্রী নিয়েও আসেনি।
এদিকে কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ও বৃষ্টিপাতের কারণে নগরের বিভিন্ন সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নগরজীবন। এছাড়া বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি এখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তবে একটানা মুষলধারায় বৃষ্টি হওয়ায় এটি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বরিশালে সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে, সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া আবুপুরের নয়াভাঙ্গলী নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখানের মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ও ভোলার খেয়াঘাট সংলগ্ন তেতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আর সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী বরিশালের পার্শবর্তী ঝালকাঠি জেলায় ১৭৭ মিলিমিটার, ভোলায় ১৭৫ মিলিমিটার, বরগুনায় ২৩৫ মিলিমিটার, পিরোজপুরে ১২০ মিলিমিটার, পটুয়াখালীতে ১৫৪ মিলিমিটার এবং সাগর তীরবর্তী খেপুপারায় ২২৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

মন্তব্য করুন

Back to top button