রাশিয়ার সহায়তা নিচ্ছে অক্সফোর্ডের টিকা
যুক্তরাষ্ট্রে ফাইজারের টিকা অনুমোদনের সুপারিশ
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
অনলাইন ডেস্ক : অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় তৈরি করোনাভাইরাসের টিকার কার্যকারিতা বাড়াতে এবার রাশিয়ার সহায়তা নিচ্ছে যুক্তরাজ্যের ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি টিকার সমন্বয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা করা হবে। এর উদ্দেশ্য, দুটি টিকার মিশ্রণ ঘটালে তা কভিডের বিরুদ্ধে বাড়তি সুরক্ষা দেয় কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা।
গতকাল শুক্রবার এ ঘোষণা দিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি টিকার নির্মাতা গামেলিয়া ইনস্টিটিউট। এতে অক্সফোর্ডের বহুল আলোচিত টিকার চূড়ান্ত অনুমোদন আরও পিছিয়ে যেতে পারে। অক্সফোর্ডের টিকাটি নিয়ে ব্যাপক আশাবাদ তৈরি হলেও সম্প্রতি ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় দেখা গেছে, এর কার্যকারিতা গড়ে ৭০ শতাংশ। তবে সেই পরীক্ষাতেও ভুল ডোজ দেওয়ায় যুক্তরাজ্য সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি টিকাটি।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও গামেলিয়া ইনস্টিটিউট বলেছে, এ বছরের শেষ দিকে দুটি টিকার সমন্বয়ে কার্যকারিতা বাড়ানোর পরীক্ষা শুরু হবে। এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়নি প্রতিষ্ঠান দুটি। অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই উদ্যোগ রাশিয়ার টিকার প্রতি পশ্চিমা কোম্পানির আস্থার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখা হবে। রাশিয়ার এ টিকাটি দ্রুততার সঙ্গে তৈরি করা হলেও এর কার্যকারিতা ৯০ শতাংশ বলে গামেলিয়া দাবি করেছে। তবে পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে সন্দিহান। গামেলিয়া বলেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকাই প্রথম তাদের শরণাপন্ন হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ফাইজারের টিকা অনুমোদনের সুপারিশ :ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকা জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিতে সুপারিশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা কমিটি। এ টিকার অনুমোদন নিয়ে এফডিএর উপদেষ্টা কমিটি বৃহস্পতিবার দীর্ঘ সভা করে।
সভার পর জানানো হয়, বিশেষজ্ঞ কমিটির ১৭ সদস্য করোনা প্রতিরোধে এ টিকার জরুরি অনুমোদনের পক্ষে ভোট দেন। বিপক্ষে ভোট দেন কমিটির চার সদস্য। একজন ভোটদানে বিরত থাকেন। বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ গ্রহণ বা বর্জনের ক্ষমতা রাখে এফডিএ কর্তৃপক্ষ। তবে এফডিএ আভাস দিয়েছে, টিকাটি জরুরি ব্যবহারের জন্য আজ শনিবারই অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
এফডিএর চূড়ান্ত সম্মতির পর দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (সিডিসি) ও প্রিভেনশন অ্যাডভাইজরি কমিটিকে (এসিআইপি) টিকাটি আমেরিকার জনগণের ওপর ব্যবহারের অনুমোদন দিতে হবে। গতকাল সিডিসি ও এসিআইপির এ নিয়ে সভা করার কথা। আশা করা হচ্ছে, আগামী রোববার পরবর্তী সভার পর টিকাটির অনুমোদন দেওয়া হতে পারে। সোমবার থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে টিকাদান শুরু হতে পারে।
সানোফি ও জিএসকের টিকার পরীক্ষা পেছাল :সানোফি ও গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের (জিএসকের) টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় দেখা গেছে, এটি বয়স্ক লোকদের মধ্যে তেমন কোনো ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে পারেনি। ফলে তাদের টিকা কর্মসূচি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সানোফি ও জিএসকে প্রোটিননির্ভর টিকা তৈরি করছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় তাদের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা আগামী বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে হতে পারে।
মিসরে পৌঁছল চীনের টিকা :চীনের সিনোফার্মের তৈরি টিকা পৌঁছেছে মিসরে। বৃহস্পতিবার বিমানে করে এ টিকা কায়রো পৌঁছায়। বিনামূল্যে এ টিকা দেওয়া হবে বলে মিসর সরকার জানিয়েছে। সিনোফার্মের তৈরি টিকা ৮৬ শতাংশ কার্যকর বলে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার ভিত্তিতে জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ এ টিকা নিতে শুরু করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার কভিড টিকা নেওয়ার পর এইচআইভির পরীক্ষায় ‘ভুল রিপোর্ট’ :অস্ট্রেলিয়ায় তৈরি করোনাভাইরাসের একটি টিকার পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের কয়েকজনের এইচআইভি পরীক্ষার ফলাফল ‘পজিটিভ’ আসায় ওই টিকার পরীক্ষা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রতিষ্ঠান সিএসএল এবং ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড (ইউকিউ) যৌথভাবে ওই টিকা তৈরি করছিল।
তারা বলছে, টিকার ‘ট্রায়ালে’ অংশগ্রহণকারীদের কয়েকজনের এইচআইভি পরীক্ষার ফল ‘পজিটিভ’ এলেও সেটি আসলে সঠিক নয়। পরীক্ষায় ‘ভুল’ ফলাফল দেখাচ্ছে। টিকার ‘ট্রায়ালে’ অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্যের কোনো ঝুঁকি নেই। তবে অস্ট্রেলিয়া সরকার জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি। ফলে ইউকিউ/সিএসএলের পাঁচ কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা কেনার যে চুক্তি অস্ট্রেলিয়া সরকার করেছিল, তা বাতিল করা হয়েছে। সূত্র :বিবিসি, রয়টার্স ও এএফপি।