কদর বেড়েছে খাটিয়ার
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
স্টাফ রিপোর্টার : ঈদ-উল আযহাকে সামনে রেখে বরিশালের সর্বত্রই কদর বেড়েছে তেঁতুল গাছের তৈরি খাটিয়ার। প্রতিবছর কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে কদর বাড়ে খাটিয়ার। তাই ঈদের দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে ব্যবসায়ীরাও চড়াদামে তেঁতুল গাছের তৈরি এ খাটিয়া বিক্রি করছেন।
সূত্রমতে, ঈদ-উল আযহায় পশু কোরবানী করার পরে মাংস ছাটাই (টুকরা) করার জন্য প্রয়োজন হয় খাটিয়ার। যাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাংস ভালোভাবে ছাটাই করা যায়। সব গাছ দিয়ে খাটিয়া তৈরি করা যায়না। খাটিয়া তৈরি করতে প্রয়োজন তেঁতুল গাছের। এ গাছ ছাড়া অন্য গাছ দিয়ে খাটিয়া তৈরি করলে মাংসের সাথে গাছের গুড়ি উঠে মাংসের মান নষ্ট হয়ে যায়। তাই ঈদ-উল আযহা আসলেই তেঁতুল গাছের চাহিদা বেড়ে যায়। সূত্রে আরও জানা গেছে, কাঠ ব্যবসায়ীরা গ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে তেতুঁল গাছ সংগ্রহ করে স্ব-মিলে খন্ড খন্ড করে খাটিয়া তৈরি করে থাকেন।
নগরীতে তেঁতুল গাছ দিয়ে তৈরি করা খাটিয়া বিক্রেতারা জানান, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ছোট, মাঝারি ও বড় তিন ধরনের খাটিয়া রয়েছে। একটি ছোট খাটিয়া তিন’শ টাকা, মাঝারি চার’শ টাকা এবং বড় ধরনের খাটিয়া পাঁচ থেকে ছয়শ’ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
কাঠ ব্যবসায়ী কামাল সিকদার জানান, গত কয়েক বছর থেকে গ্রামাঞ্চলে তেঁতুল গাছ পাওয়া বড়ই দুস্কর হয়ে উঠেছে। যাওবা পাওয়া যায় তা চড়ামূল্যে ক্রয় করতে হচ্ছে। ফলে তেঁতুল গাছ দিয়ে তৈরি করা খাটিয়ার দামও পূর্বের চেয়ে একটু বেশি নেয়া হচ্ছে।
স্ব-মিলের শ্রমিক মামুন সরদার বলেন, কাঠ ব্যবসায়ীরা এক সিএফটি তেঁতুল গাছ তিন’শ টাকা দরে ক্রয় করেন। ওই এক সিএফটি গাছে বড়, ছোট ও মাঝারি মিলিয়ে কমপক্ষে চারটি খাটিয়া তৈরি করা হয়। যা কম হলেও এক হাজার টাকা থেকে ১২শ’ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়। এতে কাঠ ব্যবসায়ীরা ভালোই লাভবান হচ্ছেন। ###