উজিরপুরে জমি ক্রয় করে বিরোধ বাঁধায় বেকার যুবক অসহায়
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
স্টাফ রিপোর্টার : বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুটিয়া ইউনিয়নের দোসতিনা গ্রামে জমি ক্রয় করে বিরোধ বাঁধার আশঙ্কায় ঘের করেও সফলতার মুখ দেখতে পারছেন না একজন বেকার যুবক। সরকার যখন বেকার যুবকদের নিজ উদ্যোগে কর্মসংস্থান তৈরি করার ওপরে উদ্দমী হতে উৎসাহী করছেন। ঠিক তখন একজন বেকার যুবক মাছের ঘের ও বিভিন্ন ধরণের সবজি চাষের প্রকল্প গ্রহন করেও সেখান থেকে সফলতা অর্জন করতে পারছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানাগেছে দোসতিনা গ্রামের খাইরুল হাওলাদার ও তার কতিপয় ওয়ারিশগন পৈত্রিক ওয়ারিশ মূলে ৯৮শতাংশ জমির মালিক। যার মৌজা দোসতিনা, জেএল নং-১১৫, এসএস খতিয়ান নং-৪৮১, দাগ নং-১০৬৪। ওই জমি বানারীপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের আনিসুর রহমান গংদের কাছে বিক্রি করেন। ওই জমির ওপরে আনিসুর রহমান তার ছোট ভাই আজিমের সহায়তায় একসাথে মাছ ও সবজি চাষ শুরু করেন।
প্রকল্পে লভাংশ আসার শুরুতেই যোগাযোগের জন্য একটি রাস্তা নির্মাণ বিশেষভাবে প্রয়োজন হয়ে পরে। তখন আনিসুর রহমান গংরা যাদের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছেন তাদেরকে সাথে নিয়ে ঘেরের পাশ থেকে বড় সড়কে ওঠার জন্য ক্রয়কৃত পতিত জমির ওপর থেকে একটি রাস্তা নির্মাণ করা শুরু করেন।
তবে তাতে বাঁধা প্রদান করেন, সালাম হাওলাদারের ছেলে শাহনাজ কবির (৪০), শাহাদাৎ হোসেন (৩০), সাকিব হাওলাদার (২০), সালাম হাওলাদারের স্ত্রী পারুল বেগম। পরে রাস্তা নির্মাণ বন্ধ হয়ে গেলে জমির মূল মালিকগনের পক্ষে খাইরুল হাওলাদার বাদী হয়ে উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিবাদী করে উজিরপুর মডেল থানায় চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারী একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
ওই সূত্রে জানা যায়, বিবাদীরা বাদী পক্ষের সম্পত্তি জোরপূর্বক নিজেদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি বলে দখলের পায়তারায় অভিযোগের তারিখ থেকে অদ্য পর্যন্ত লিপ্ত রয়েছে। মোট সম্পত্তির মধ্য থেকে ৪০ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হলে তা নিয়ে এখন পর্যন্ত বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। বিরোধীয় সম্পত্তিতে বাদী পক্ষরা নিয়মিত চাষাবাদ করছেন। আদালতে মামলা থাকার পরেও স্থানীয়ভাবে বহুবার শালিশ মিমাংশার দিনক্ষণ ধার্য করেও বিবাদীরা সময়মতো হাজির হননি।
পরে ওই সম্পত্তিতে তারা গায়ের জোরে ধানের বীজ রোপন করতে গেলে বাদীপক্ষদ্বয় নিষেধ করলে খাইরুলসহ কতেক স্বাক্ষীকে এলোপাতারিভাবে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে অভিযোগ দায়েরের দিন বেলা সাড়ে ১১ টার সময়।
পরে জমির দখল না ছাড়লে পুনরায় মারধর, বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দিয়ে এলাকা ছাড়া করাসহ বিভিন্ন ধরণের হুমকি-ধামকি দিয়ে তাদেরকে জমি থেকে বিতারিত করে দেয়। বর্তমানে বাদী পক্ষ নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। এদিকে বেকার যুবক আনিসুর রহমান তার ঘের সংলগ্ন জমির পাশ ঘেষে রাস্তা নির্মাণ করতে না পাড়ায় বড় ধরণের লোকসানের মূখে পড়বে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন।