কার্যকারিতা হারাচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
বিশেষ প্রতিনিধি : ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেছেন, দেশের বাজারে প্রচলিত জীবন রক্ষাকারী প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধগুলো কার্যকারিতা হারাচ্ছে।
চিকিত্সকের পরামর্শ ও ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই সাধারণ ভাইরাল অসুখ-বিসুখেও (জ্বর, ঠান্ডা, কাশি) উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের কারণে ওষুধ কাজ করছে না।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে মেডিসিনস, টেকনোলজিস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস সার্ভিসেসের (এমটিএপিস) সহায়তায় ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল অ্যাওয়ারনেস উইক (১৮-২৬ নভেম্বর)’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মহাপরিচালক বলেন, অপব্যবহার, অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার এবং যথাযথভাবে ব্যবহার না করায় দ্রুত রোগব্যাধি সারিয়ে তুলতে একসময়ের আশীর্বাদস্বরূপ আবির্ভূত হওয়া অ্যান্টিবায়োটিক এখন কার্যকারিতা হারিয়ে অভিশাপে রূপ নিচ্ছে। শুধু মানুষের জন্য উত্পাদিত ওষুধেই নয়, পোলট্রি, মত্স্য খামারসহ বিভিন্ন প্রাণির রোগ সারাতেও উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের অপব্যবহার হচ্ছে, যা পরিবেশের ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, শুধু আইন করে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স তথা এর অপব্যবহার রোধ করা যাবে না। অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধ করা না গেলে ভবিষ্যতে রোগব্যাধি সারাতে ওষুধ পাওয়া যাবে না, মৃত্যুঝুঁকি বাড়বে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তুলতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে।
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে গণমাধ্যম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে উল্লেখ করে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ওষুধ উত্পাদনে জড়িত বিভিন্ন কোম্পানি, চিকিত্সক, প্যারামেডিকস ও ফার্মাসিস্টদেরও সচেতন হতে হবে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে হবে।
আলোচনাসভায় অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স সম্পর্কে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরেরে উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক সাইদুর রহমানের গবেষণা তথ্য তুলে ধরে সালাউদ্দিন বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে ৪৪ শতাংশ এক্সেস গ্রুপের এবং ৫৪ শতাংশ ওয়াচ গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহূত হচ্ছে। অথচ নিয়মানুসারে এক্সেস গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিকই বেশি ব্যবহূত হওয়ার কথা ছিল।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এস এম শফিউজ্জামানসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা।