শেবাচিমের করোনা ওয়ার্ড রোগীতে পরিপূর্ণ
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) করোনা ওয়ার্ড রোগীতে পরিপূর্ণ। ১৫০ বেডের করোনা ওয়ার্ডে রবিবার চিকিৎসাধীন ছিলেন সর্বাধিক ১৪৬ জন রোগী। রোগী ও তাদের স্বজনদের ভিড়ে করোনা ওয়ার্ডেই স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা হচ্ছে না।
গত বছরের ১৭ মার্চ শের-ই বাংলা মেডিকেলে করোনা ওয়ার্ড চালুর পর রেকর্ড সংখ্যক ১৪৬ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন রবিবার। রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।
হাসপাতালের পরিচালক কার্যালয় সূত্র জানায়, দুপুরে করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন ১৪৬জন রোগী। যার মধ্যে করোনা পজেটিভ রোগী ছিলেন ৪৫ জন। এর আগে গত ৮ এপ্রিল দ্বিতীয় সর্বাধিক ১৪৪ জন রোগী ভর্তি ছিলো করোনা ওয়ার্ডে।
বিগত ২৪ ঘন্টায় এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১৭জন রোগী। একই সময়ে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ওয়ার্ডে মারা গেছে ২জন রোগী। যদিও তাদের করোনা শনাক্ত হয়নি। মৃত্যুর পর তাদের নমূনা পাঠানো হয়েছে পিসিআর ল্যাবে।
এদিকে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে থাকা ১২টি আইসিইউ বেডের সবগুলোতে মুমূর্ষ রোগীরা চিকিৎসাধীন রয়েছে। আরও অনেক রোগী আছে যাদের আইসিইউ সেবা প্রয়োজন। কিন্তু বেড খালী না থাকায় তারা আইসিইউ সেবা পাচ্ছেন না।
দেড়শ’ শয্যার করোনা ওয়ার্ডে ১৪৬ জন রোগীর চিকিৎসায় ৩ শিফটে দায়িত্ব পালন করছেন মাত্র ৯জন ডাক্তার এবং ১৫ জন নার্স। সে হিসেবে প্রতি শিফটে গড়ে প্রায় ৫০ জন রোগীর চিকিৎসায় নিয়োজিত রয়েছেন একজন করে চিকিৎসক। গত এক বছরেও করোনা ওয়ার্ডের জন্য স্থায়ী জনবল নিয়োগ না করায় হাসপাতালের অন্যান্য ওয়ার্ড থেকে ধরা করা চিকিৎসক এনে কোন মতে চালিয়ে রাখা হচ্ছে করোনা ওয়ার্ডের চিকিৎসা সেবা।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. মনিরুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, করোনা ওয়ার্ডের সেবা যে খুব ভালোভাবে চলছে তা বলা যাবেনা। চালানোর জন্যই তারা করোনা ওয়ার্ড চালাচ্ছেন। জরুরী লোকবল নিয়োগ করা না হলে আগামী দিনে করোনা ওয়ার্ডের চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে পড়বে আশংকা তার। তিনি বলেন, লোকবল সংকটে চিকিৎসা সেবার বেহাল দশার কথা বারবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ লোকবল নিয়োগ করলে করোনা ওয়ার্ডে সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করেন সহকারী পরিচালক ডা. মো. মনিরুজ্জামান।
অপরদিকে গত ২৪ ঘন্টায় শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে ১৮৯ জনের নমূনা পরীক্ষায় ৭০ জনের করোনা পজেটিভ হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৭.২৩ ভাগ।
মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবের সহকারী অধ্যাপক ডা. একেএম আকবর কবির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।